শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত রেল কর্মকর্তা কুদরতের সম্পত্তির পাহাড়

রাজশাহীর বহরমপুরে কুদরতের বিলাসবহুল বাড়ি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি রেলের সাবেক প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) কর্মকর্তা কুদরত ই খুদার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় গোটা রেল অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং রেলভবনের চায়ের কাপের প্রধান আলোচনা এই প্রেম কাহিনী। শুধু নারী কেলেঙ্কারীই নয় রেলে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়।

উল্লেখ্য যে, রাজশাহী রেল মেডিকেলের হিন্দু ধর্মের এক মহিলা কর্মচারীর সাথে তার ৩ বছরের অনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরে তাকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় উক্ত মহিলা কর্মচারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিম) থেকে বদলি করে ঢাকায় যুগ্ম মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করে আনা হয়। টুম্পা ছাড়াও আরও অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকায় কুদরতের সাথে প্রায়ই তার উপপত্নী টুম্পা রাণীর সাথে মনোমালিন্য হত। কিন্তু তবুও তার এ অপকর্মের পথচলা থামাতে পারেনি। এই কাজে কুদরতকে সহযোগিতা করতে কয়েকজন ঠিকাদার। আরও পড়ুন: রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নারী কেলেঙ্কারি, রেল সচিবের কাছে অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

 মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা এবং টুম্পা রাণী সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি তার আরেক মহা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রেলের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নিয়ে তিনি দুর্নীতি করেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পশ্চিমাঞ্চল যান্ত্রিক বিভাগে প্রায় ৪৭৩ জন্য কর্মী আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয় যা সবই অনুমোদন করেন কুদরত ই খুদা। আউট সোর্সিং নিয়োগ বিধিমালা -২০১৮ এর ৩(১) ধারা মতে- আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন পদ সৃষ্টির প্রয়োজন হবে না এবং কোন পদের বিপরীতেও এ সেবা ক্রয় করা যাবে না। ৩(১০) ধারা মতে আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির বয়স সীমা ১৮-৬০ বছর। ১২ টি ক্ষেত্রে ৫ ক্যাটাগরিতে আউটসোর্সিং নিয়োগ সম্পন্ন করা যাবে অঞ্চলভেদে যাদের ন্যূনতম বেতন ১৬, ১৩০/ টাকা থেকে ১৯,১১০/ টাকা পর্যন্ত।

পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬(৫) ধারা মতে সন্তোষজনক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা যাবে অর্থাৎ একবার আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে গেলে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আর চাকুরির নিয়ে চিন্তা থাকার কথা না।

আগে যে টিএলআর বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা ছিল কেবল শূন্য পদের বিপরীতে, ফলে সেখানে পদ শূন্য না থাকলে নিয়োগ করার কোন সুযোগই থাকতো না। অথচ এখন একেবারে এক্ষেত্রে উদারহস্ত যে কোন সরকারি অফিস ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে কোন পদে যত ইচ্ছে নিয়োগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া প্রতি বছর শেষে সেবাদানকারী ঠিকাদারের সাথে সেবা গ্রহণকারী কর্মকর্তা পুনরায় ১ বছরের চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।

এই বিধিমালার পুরো অসদব্যবহার করতে কুদরত তার পুরো শক্তি নিয়োগ করেন। লোকজনের মাঝে তার বাহিনী ছড়িয়ে দেয় যে এটা এক ধরনের সরকারী চাকুরী। ৬০ বছর পর্যন্ত একজন কর্মচারী এই চাকরি করতে পারবে। এমন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কুদরত বাহিনী তথা কিছু অসাধু ঠিকাদার, কিছু দালাল, নারী ঠিকাদার এবং সুযোগসন্ধানী নানা গ্রুপের প্ররোচনায় চাকরিপ্রার্থী প্রত্যেকের নিকট ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের বিনিময়ে তিনি ৪৭৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন যাতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয় যেখানে কুদরতের শেয়ার ২০-৩০% এর কোন অংশেই কম নয় বলে জানা যায়।

কুদরত ই খুদা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে নিয়োগ দিলেও বাস্তবে তার প্রতি জনের বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার পরই নিয়োগে সম্মতি দিতেন। রাজশাহী, লালমনিরহাট, পাকশী, সৈয়দপুর এই ৪ জায়গায় ৪৭৩ জন নিয়োগে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নিয়োগ বাণিজ্য করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

কুদরত লালমনিরহাট, পাকশী,রাজশাহী এবং সৈয়দপুরে ১৬ টি প্যাকেজে ৬ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে উক্ত কাজগুলো দেন। এই টেন্ডারগুলো তদন্ত করলে আরও থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এই আউটসোর্সিং কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নাই এবং তাদের ন্যূনতম যোগ্যতাও নাই। কলকারখানা পরিদর্শন দপ্তর থেকে যে সার্টিফিকেট নেওয়া লাগে তার সবই ভুয়া। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে র‍য়েছে মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ, জাকি এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, এইচ এন্ড এইচ এন্টারপ্রাইজ এবং শাহ আমান্ত এন্টারপ্রাইজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুদরতের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই ৪৭৩ জনের মধ্যে অর্ধেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি। এইসব কর্মচারী সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের সাথে বেতনের ৩০% বা ৪০% দেওয়ার চুক্তিতে রয়েছেন। এর ফলে কাউকে অফিস করতে হয় না। প্রতি মাসে একদিন অফিসে এসে সাইন করে গেলেই হয়। পরে মাস শেষে ইনচার্জকে চুক্তি মোতাবেক পার্সেন্টেজ দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যায়। এভাবেই ইনচার্জরা তাদের কমিশন বাণিজ্য নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া বাকী যারা সার্ভিসে আছেন তাদেরও বড় একটা অংশ বড় স্যারদের বাসায় বাসায় ৪/৫ জন করে পালাক্রমে ডিউটি করছেন। তাদের কেউ স্যারের নিয়মিত বাজার করেন, কেউ সবজি বাগান করেন, কেউ আবার স্যারের ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করেন। এভাবেই চলছে তথাকথিত আউটসোর্সিং এর নামে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের দিনকাল। এছাড়াও রেলভবনের অনেক প্রভাবশালী স্যার মেডামদের বাসায়ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্তরা কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও আফরাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুজ্জামান (চপল) নামে কুদরতের আছে নিজস্ব ঠিকাদার বা পার্টনার। এই সাইফুজ্জামানের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কোন কাজ করা কোন ঠিকাদারের সম্ভব নয়। নতুন কোনো ঠিকাদার আসলে কৌশলে সেই ঠিকাদারকে সাইফুজ্জামানের ইশারায় কঠিন কাজ দেয়া হয়। পরে অফিস থেকে বলে দেয় এই কাজ আপনাকে উঠিয়ে দিবে সাইফুজ্জামান। তাছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগের সৈয়দপুর পার্বতীপুর পাকসী দপ্তরের প্রধানগণ অনেক সময় কাজ অন্য ঠিকাদারকে দিলেও বলে দেন মালামাল যেন সাইফুজ্জামানের থেকে নেয়া হয়। এই সুযোগে সাইফুজ্জামান (চপল) ২ লাখ টাকার মালামাল ৮-৯ লাখ টাকার বিক্রি করেন। এই লাভের একটি অংশ যায় কুদরতের পকেটে। এই ভাবে কদরতের সাথে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন সাইফুজ্জামান। এছাড়াও অনেক ঠিকাদার বলেন সাইফুজ্জামান (চপল) এর অর্ধেক সম্পদের মালিক কুদরত।এই সাইফুজ্জামানের সম্পদের তথ্য খুজলে কুদরতের আরও সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে রাজশাহীর ঠিকাদারদের একটি অংশ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও সৈয়দপুর পার্বতীপুরের অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা সাইফুজ্জামানের পকেটে থাকেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহীর পদ্মা আবাসিকে কুদরতের ব্যবসায়িক পার্টনার সাইফুজ্জামান(চপল) ও কুদরতের একাধিক ফ্লাট।ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও কুদরত একের পরে এক লাভজনক পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বহরমপুর সম্প্রতি তিনি ৫ তলার একটা আলিশান বাড়ি গড়েছেন। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৮-১০ কোটি টাকা। এই বাড়িতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। এছাড়াও রাজশাহী শহরের শিরোইল কলোনীতে তার রয়েছে একটা ৫ তলা বাড়ি, পদ্মা আবাসিকে একাধিক ফ্ল্যাট। রাজশাহী রেলভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২টি, মোহাম্মদ ও ধানমন্ডিতে ১ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে কুদরতের। তাছাড়া ঢাকায় এক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীর সাথে তার রয়েছে পার্টনারশিপ ব্যবসা।

এসব বিষয়ে জানতে কুদরত-ই-খুদার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

টুম্পা রাণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুদরতকে রেলভবনে নামকাওস্তে বদলি করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি রাজবাড়ি ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। কুদরতের এই দাপটের সহযোগী হিসেবে রয়েছে নীতিহীন কিছু রেল কর্মকর্তা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। হয়তো অচিরেই আরেকটা ঘটনার আড়ালে এসব ঘটনা সব চাপা পড়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন রেলওয়ের কর্মকর্তা কুদরতের কিছু হবে জাতিও এমনটাও আশা করে না। কারণ অসাধু ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী মহলের চাপে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনেকটাই মেরুদণ্ড সোজা করে দৃষ্টান্তমূলক কিছু পদক্ষেপ নিবে নাকি ম্যানেজ হয়ে ঘুমে থাকার ভান করবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ

দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আশ্রা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী বাবা মজিবুর রহমান (৫৮) এবং তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল মিয়া বলেন, বাবা ও ছেলে দুইজনে মিলে আশ্রা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে আশ্রা বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তাদির মুক্তকে শিক্ষার্থীরা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুক্তাদির মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে আসছিলেন।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই। সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।’‘আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন, আপনাদের চেহারাটা আয়নায় দেখেন। আপনারা যাদের মাইনরিটি বলেন, তাদের সাথে কি আচরণ করেন? আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দিতে আসবেন না। যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর আরও বলেন, আমরা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই সঙ্গে বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেব। আমরা চাই না বারবার জাতি প্রতারিত হোক। আমরা চাই ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ।

সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল এসে সম্মেলনেস্থল লোকে লোকারণ্য হয়। আয়োজকদের দাবি, ৩০ হাজার মানুষ এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মৌলভীবাজারে উন্মুক্ত স্থানে হাজারো কর্মী-সমর্থকের অংশগ্রহণে এ রকম কোনো সম্মেলন হয়নি। প্রথমবারের মতো খোলা মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর