বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর জামাতা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বহাল তবিয়তে

বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী । ছবি সংগৃহিত

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর জামাতা মো:জিল্লুর রহমানের চৌধুরী এর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি শত শত অভিযোগ। অসংখ্য অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি এখনো স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় চাকরির ক্ষেত্রে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাকে পদায়ন করা হয় :

(১) জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর (২০১৫ হতে ২০১৬ পর্যন্ত)

(২) জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম

(২০১৬ নভেম্বর হতে ২০১৮ অক্টোবর পর্যন্ত)

(৩) বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা (৩রা জুলাই ২০২২ হতে ১৫ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত)

(৪) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ

(২০ জুলাই ২০২৩ হতে চলমান ) এ সময় তিনি অতিরিক্ত সচিব হতে পদোন্নতি লাভ করে গ্রেট-১ কর্মকর্তা হন.

বাংলাদেশের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর দখলে রয়েছে দেশের চব্বিশটি স্থল বন্দর। শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ স্থল বন্দর এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী। চেয়ারে বসেই শুরু করেন অনিয়ম-দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্য। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৫ একর জমিতে গড়ে তুলেন আলিশান বাড়ি। মালিক হয়ে যান একাধিক বিলাসী গাড়ি। শ্বশুরবাড়ি এলাকায় লালমনিরহাটে স্ত্রীর নামে একশত একর জমি কেনেন জিল্লুর রহমান। দুর্নীতির টাকায় এলাকায় সমাজ সেবা করে বেড়ান জিল্লুর রহমান। একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান খুলে সেখানে অবৈধ আয় এর দোকান খুলে বসেছেন তিনি। আট থেকে দশ জন শিশুকে এতিম দেখিয়ে সরকারি-বেসরকারি অর্থ হাতানো শুরু করেন জিল্লুর রহমান। তার অবৈধ আয় এর অন্যতম খাত নিয়োগ-বাণিজ্য,বড় বড় প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ,টেন্ডার বাজি । আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে শত শত নিয়োগ দিতে থাকেন জিল্লুর রহমান। যাতে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অন্য দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষে স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে পারিবারিক কেন্দ্র বানিয়ে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত দুই মাসের মধ্যে স্থল বন্দরে নিজ পরিবারে মধ্যে যাদের চাকরি দিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

(১) আবু রায়হান চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক), আপন বড় ভাইয়ের ছেলে।

(২) সামিয়া আক্তার নীলা, ফায়ার হাইড্রেন অপারেটর, আপন বোনের মেয়ে।

(৩) তানভির আহমদ,ফায়ার হাউজ ড্রাইভার,আপন মেজ ভাইয়ের ছেলে।

(৪) মো. আতাউর,পাওয়ার হাউজ ড্রাইভার, আপন বড় ভাই নাতি.

(৫) মোহাম্মদ শরীফ মোল্লা, কার ড্রাইভার, আপন বোনের পালিত ছেলে।এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী ফাতেমা খাতুন লাভলীকে চলতি মাসের ১ তারিখে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। এই নেত্রী ৩রা আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাৎকারের ছবি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্থলবন্দরে একটি গাড়ি পেলেও তিনি তার দখলে রাখেন তিনটি গাড়ি। বাধ্য হয়ে বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক ভাড়া গাড়িতে অফিস করেন। এছাড়াও একের পর এক ভৌতিক প্রকল্প দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি। জিল্লুর রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে বন্দরের অনেককে দিতে হয়েছে মাশুল। বদলি,কারণ দর্শানোর নোটিশ, বিভাগীয় ব্যবস্থার মত শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তার দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতা অপব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর জামাতা হওয়ায় সরকার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছেন। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ৩ হাজার ৪শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পসহ ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারিতায় জিল্লুর রহমানকে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয়।তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নিজ ক্ষমতায় বাটা লাগতে পারে সেজন্য ৮ই আগস্ট তড়িঘড়ি করে আরো কিছু নিয়োগ-বাণিজ্য করেন।

এছাড়াও গত ৫আগস্ট সরকার পতনের দু-দিন পর রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সরকারি বাসায় সপরিবারে তার শ্বশুর সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ আত্মগোপনে ছিলেন। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তার শ্বশুর লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ন্যাম ভবনের বাসার মালামাল আনতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয় মালামাল সহ স্থলবন্দরের দুটি গাড়ি। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর থেকে আরেকটি মাইক্রোবাস যোগে বন্দরের কতিপয় নিরাপত্তাকর্মী গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে বন্ধুর চেয়ারম্যান ও সরকারি গাড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জিল্লুর রহমান বলেন।তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরের গাড়িচালক মাজেদুর রহমান লিটন বলেন, সোমবার দুপুরে স্যারের (জিল্লুর রহমান) গাড়িটি ন্যাম ভবনে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে স্যারদের সহায়তায় আরেক সহকর্মীকে নিয়ে ন্যাম ভবন থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি।জিল্লুর রহমান তার শ্বশুরের মালামাল নামাতে ব্যবহার করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সদর দপ্তরের নিরাপত্তারক্ষী অপুসহ কয়েকজনকে। অপু বলেন, স্যাররা বলেছেন, তাই গেছি। বেশিক্ষণ ছিলাম না। লিফটের ৯ তলায় স্যারের শ্বশুরের কিছু মাল নামিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থী ও ন্যাম ভবনের স্যাররা নিষেধ করায় ১২ টার দিকে রেখে চলে আসছি।এদিকে তার শশুররে নেম ভবনের ফ্ল্যাট হতে মূল্যবান গহনা, বস্তা ভর্তি টাকা ও মূল্যবান দ্রব্যাদি ইস্কাটন রোডের ১ নম্বর গেইটের রজনীগন্ধা ভবনের ৫ তলায় তার নির্ধারিত সরকারি ফ্লাটে নিজ হেফাজতে সরিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, গ্রেট-১(পরিচিতি নং-৬১০৩) এর বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হলেও তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে অভিযোগটি দুদক আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সাহসও পর্যন্ত পায়নি।

এই অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।

Header Ad

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (ইনসটে: সাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ভারতের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুর মধ্যে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে বলেও নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার’ প্রসঙ্গ টেনেও তাকে প্রশ্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথু মিলারে কাছে জানতে চান—‘গণহত্যা ও নৃশংসতার পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছিলেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাইছে, সে বিষয়ে আপনাদের পর্যবেক্ষণ কী?’

জবাবে মিলার বলেন, এসব প্রশ্নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা উন্মুখ।

এরপরই এই সাংবাদিক ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন’— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জংশঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভবনে এসেছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে—ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি-না।’

জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে এতটুকুই বলতে পারি—ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক সমস্যাগুলো প্রায়ই উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।

Header Ad

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি (কেরু চিনিকল) এর টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করে ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ২০/২৫ জন উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে কেরু কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে দর্শনা থানায় এ মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান, কেরু চিনিকলের টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুরের ঘটনায় কেরু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়েরের জন্য একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯ পৌনে ৯ টায় দর্শনা থানায় অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং- ০৬, তাং-০৮-১০-২৪ইং ধারা-১৪৩, ৪৪৮, ৩৭৯ ও ৪২৭।

সোমবার (৭ অক্টোবর) কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ২০২৪- ২০২৫ মাড়াই মৌসুম চালুর লক্ষ্যে ৯ টি খামার ও ডোঙ্গার  (কেইন কেরিয়ার) এর ঠিকাদারির টেন্ডার ড্রপের দিন ছিল। সকাল থেকেই সকল প্রকার সহিংসতা এড়াতে কেরু কর্তৃপক্ষ দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল কেরু জেনারেল অফিসের নিচে উপস্থিত রেখেছিল। তারপরও টেন্ডার বাক্স খোলার পর বিএনপি ও যুবদলের নামধারী ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্তরা মিলে কেরু জেনারেল অফিসের ৩য় তলায় উঠে টেন্ডার বাক্স নিচে নামিয়ে ভাঙচুর করে।

Header Ad

এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সজীব ওয়াজেদ জয় এবং জুনায়েদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় মামলায়।

এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। একের পর এক মামলায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আলাদা আলাদা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে ২৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা
এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে
আ. লীগের ‘নিরীহ’ নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: রিজভী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা, খামারিসহ তিন আড়তদারকে জরিমানা
পদত্যাগ করলেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্য
শেখ হাসিনা ভারতে, দুবাইয়ে যাওয়ার খবর গুজব: সজীব ওয়াজেদ জয়
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই: ফারুক
শাহজালালে প্রবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার ও বিশ্রাম ব্যবস্থা