আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

ছবি: সংগৃহীত
আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, যার এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি: প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, বিনিয়োগ করুন, বিতরণ করুন’। ২০২৪ সালে দেশে ৫.২ শতাংশ শিশু যক্ষ্মা শনাক্ত হয়েছে, যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, বাস্তবে দেশে শিশু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ৩১৩,৬২৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে, ১৭ শতাংশ রোগী এখনো শনাক্ত হয়নি এবং তাদের এই অবস্থা যক্ষ্মা বিস্তারের বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দ্রুত শনাক্ত না হওয়া রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। তবে গত কিছুদিনে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) তাদের সহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় যক্ষ্মা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে।
ইউএসএআইডি’র সহায়তায় আইসিডিডিআরবি এবং ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে গবেষণা ও সক্রিয় রোগী অনুসন্ধান প্রকল্প চালাচ্ছিল। তবে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব প্রকল্প থমকে গেছে, যা আগামীতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বিপদের কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্টরা সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে যক্ষ্মা প্রতিরোধে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় এবং দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে, বাংলাদেশের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিয়ে এই সংকটের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প উদ্যোগ প্রয়োজন, বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।
