বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে কাউন্সেলিং জরুরি’

মাঝে মধ্যেই কতিপয় পুলিশ সদস্যের উগ্র আচরণ, নিরাপত্তার বদলে সাধারণ মানুষকে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক পুলিশের আচরণগত বেশ কিছু ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে যথাযথ কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অন্যথায় জটিলতা আরও বাড়তে পারে। রাস্তায় দায়িত্ব পালনের সময় তাদের কথা কম বলতে হবে এবং চালকদের সঙ্গে কৌশলে ভালো ব্যবহার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে অটোরিকশা চালকদের (ব্যাটারিচালিত রিকশা) হামলার ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ট্রাফিক পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশের বেশ কিছু সদস্য মাঝে মাঝে মানুষের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করে। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষার সাধারণ মানদণ্ডও তারা মানে না।

জানা যায়, পুলিশ প্রথমে প্রতিবন্ধী এক রিকশাচালককে মারধর করে। এই ঘটনা প্রচার হওয়ার কিছু সময় পর অটোরিকশা চালকেরা সংগঠিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলা করে। এতে মিজানুর রহমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। অবশ্য মিরপুর ও পল্লবী ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অটোরিকশা সড়কে নিষিদ্ধ। সে জন্য নিয়মিত অভিযানে দুটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এরপর কতিপয় অটোরিকশা চালক একত্রিত হয়ে এই হামলা করেন।

সমাজ বিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে তাদের মানুষের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে এ নিয়ে কাউন্সেলিং করা দরকার। বিভিন্ন সময় তাদেরকে নিয়ে সেমিনারসহ অন্যান্য কোর্স চালু রাখা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ হলো সাধারণ মানুষের বন্ধু, সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কেন খারাপ আচরণ করবে বা মানুষ কেন তাদের প্রতি খারাপ ধারণা নিবে। এসব থেকে সাধারণ মানুষ এবং পুলিশকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাই যদি এ বিষয়ে সচেতন হয় তাহলে এ ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা কমে আসবে।

মিরপুর পুলিশ বক্সে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি ‍পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পাঁচটি ট্রাফিক বক্সে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশে এবং পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে। ওই এলাকার কিছু মানুষের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, মনোবল ভাঙা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলা করা হয়েছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের আচারণগত কোনো সমস্যা নেই।’

রাইড শেয়ারিং চালক মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ অনেক সময় আমাদের উপর অত্যাচার করে এবং জোর করে মামলা দেয়, খারাপ ব্যবহার করে। তাদের আচরণের কাউন্সেলিং করা দরকার।’

পাঠাও চালক জয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমাদের মতো শ্রমিক, দিন মজুরদের উপর মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ অত্যাচার করে। তারা বিনা কারণে মামলা দেয় এবং খারাপ খারাপ কথা বলে, ২-৩ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে রাখে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা বেশি। সাধারণ চালক ও ট্রাফিকের মধ্যে মাঝে মাঝে ঘুষের কিছু ঘটনা ঘটে। এসব থেকে স্বার্থ কেন্দ্রিক অনেক সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। পুলিশকে পুরোপুরি জনবান্ধব হিসেবে তৈরি করতে হলে তাদের বিভিন্ন সেমিনার, কোর্স এবং কাউন্সেলিং চলমান রাখা উচিত। কারণ, মিরপুরের ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু না কিছু ত্রুটি ছিল যার কারণে হয়তো এসব ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন অনেক মানুষকে ফেস করে সেখান থেকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয় তাদের। অনেক সময় তারা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না, যার কারণে মানুষের সঙ্গে তাদের ঝগড়া বা বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। পুলিশকে মনে রাখতে হবে তারা জনগনের সেবক। পুলিশকে দায়িত্বরত অবস্থায় কথা কম বলতে হবে এবং কৌশলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া, সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলাচলের সময় আইন মেনে চললে এবং পুলিশের নির্দেশনা মেনে চললেই বিভিন্ন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব।’

কাউন্সেলিং বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, থানা থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন, পুলিশ ক্যাম্প,ট্রাফিক বিভাগ সবখানেই কাউন্সেলিং চলছে। দিনের শুরুতে পুলিশ সদস্যদের হাজিরা নেওয়ার সময় সবাইকে একসঙ্গে করে সিনিয়র অফিসাররা এই কাউন্সেলিং করে থাকেন। বিশেষ করে যানবাহন তল্লাশি বা চেক করার নামে সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রানি করা না হয় সেই ট্রেনিং তাদের দেওয়া হয়।

কাউন্সেলিংয়ে পুলিশ সদস্যদের কী বলা হয় বা হয়ে থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো তল্লাশি চালাতে হলে কী নিয়ম মানতে হবে, কী ধরনের আচরণ করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষকে যেনো সম্মান দেওয়া হয়, তাদের প্রতি যেনো ভদ্র আচরণ করা হয়, সেগুলো তাদের বলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা হওয়ার আশঙ্কায় এই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং এটি নেওয়া হয়। মানবাধিকারের বিষয়টিও থাকছে কাউন্সেলিংয়ে।’

জানতে চাইলে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসক ফারহানা আক্তার বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে কেবল মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দিলে হবে না। রাষ্ট্র যদি জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার ব্যবস্থা না করে সেখানে কেবল কাউন্সেলিং দিয়ে হবে না। ট্রাফিক পুলিশ বা অন্যান্য দায়িত্বে থাকা পুলিশের পেশাগত কাজের মানোন্নয়নে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ,পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি দায়িত্বশীল অঙ্গ।

জানতে চাইলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী ফেরদাউস সুলতানা বলেন, পুলিশকে মানবিক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে চালক বা সাধারণ মানুষ যাতে তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট না হয় সেদিকে নজর রেখে কৌশলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া