শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে কাউন্সেলিং জরুরি’

মাঝে মধ্যেই কতিপয় পুলিশ সদস্যের উগ্র আচরণ, নিরাপত্তার বদলে সাধারণ মানুষকে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক পুলিশের আচরণগত বেশ কিছু ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে যথাযথ কাউন্সেলিং প্রয়োজন। অন্যথায় জটিলতা আরও বাড়তে পারে। রাস্তায় দায়িত্ব পালনের সময় তাদের কথা কম বলতে হবে এবং চালকদের সঙ্গে কৌশলে ভালো ব্যবহার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে অটোরিকশা চালকদের (ব্যাটারিচালিত রিকশা) হামলার ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ট্রাফিক পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশের বেশ কিছু সদস্য মাঝে মাঝে মানুষের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করে। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষার সাধারণ মানদণ্ডও তারা মানে না।

জানা যায়, পুলিশ প্রথমে প্রতিবন্ধী এক রিকশাচালককে মারধর করে। এই ঘটনা প্রচার হওয়ার কিছু সময় পর অটোরিকশা চালকেরা সংগঠিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলা করে। এতে মিজানুর রহমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। অবশ্য মিরপুর ও পল্লবী ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অটোরিকশা সড়কে নিষিদ্ধ। সে জন্য নিয়মিত অভিযানে দুটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এরপর কতিপয় অটোরিকশা চালক একত্রিত হয়ে এই হামলা করেন।

সমাজ বিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে তাদের মানুষের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে এ নিয়ে কাউন্সেলিং করা দরকার। বিভিন্ন সময় তাদেরকে নিয়ে সেমিনারসহ অন্যান্য কোর্স চালু রাখা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ হলো সাধারণ মানুষের বন্ধু, সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কেন খারাপ আচরণ করবে বা মানুষ কেন তাদের প্রতি খারাপ ধারণা নিবে। এসব থেকে সাধারণ মানুষ এবং পুলিশকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাই যদি এ বিষয়ে সচেতন হয় তাহলে এ ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা কমে আসবে।

মিরপুর পুলিশ বক্সে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি ‍পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পাঁচটি ট্রাফিক বক্সে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশে এবং পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে। ওই এলাকার কিছু মানুষের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, মনোবল ভাঙা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলা করা হয়েছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের আচারণগত কোনো সমস্যা নেই।’

রাইড শেয়ারিং চালক মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ অনেক সময় আমাদের উপর অত্যাচার করে এবং জোর করে মামলা দেয়, খারাপ ব্যবহার করে। তাদের আচরণের কাউন্সেলিং করা দরকার।’

পাঠাও চালক জয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমাদের মতো শ্রমিক, দিন মজুরদের উপর মাঝে মাঝে ট্রাফিক পুলিশ অত্যাচার করে। তারা বিনা কারণে মামলা দেয় এবং খারাপ খারাপ কথা বলে, ২-৩ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে রাখে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা বেশি। সাধারণ চালক ও ট্রাফিকের মধ্যে মাঝে মাঝে ঘুষের কিছু ঘটনা ঘটে। এসব থেকে স্বার্থ কেন্দ্রিক অনেক সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। পুলিশকে পুরোপুরি জনবান্ধব হিসেবে তৈরি করতে হলে তাদের বিভিন্ন সেমিনার, কোর্স এবং কাউন্সেলিং চলমান রাখা উচিত। কারণ, মিরপুরের ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু না কিছু ত্রুটি ছিল যার কারণে হয়তো এসব ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন অনেক মানুষকে ফেস করে সেখান থেকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয় তাদের। অনেক সময় তারা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না, যার কারণে মানুষের সঙ্গে তাদের ঝগড়া বা বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। পুলিশকে মনে রাখতে হবে তারা জনগনের সেবক। পুলিশকে দায়িত্বরত অবস্থায় কথা কম বলতে হবে এবং কৌশলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া, সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলাচলের সময় আইন মেনে চললে এবং পুলিশের নির্দেশনা মেনে চললেই বিভিন্ন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব।’

কাউন্সেলিং বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, থানা থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন, পুলিশ ক্যাম্প,ট্রাফিক বিভাগ সবখানেই কাউন্সেলিং চলছে। দিনের শুরুতে পুলিশ সদস্যদের হাজিরা নেওয়ার সময় সবাইকে একসঙ্গে করে সিনিয়র অফিসাররা এই কাউন্সেলিং করে থাকেন। বিশেষ করে যানবাহন তল্লাশি বা চেক করার নামে সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রানি করা না হয় সেই ট্রেনিং তাদের দেওয়া হয়।

কাউন্সেলিংয়ে পুলিশ সদস্যদের কী বলা হয় বা হয়ে থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো তল্লাশি চালাতে হলে কী নিয়ম মানতে হবে, কী ধরনের আচরণ করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষকে যেনো সম্মান দেওয়া হয়, তাদের প্রতি যেনো ভদ্র আচরণ করা হয়, সেগুলো তাদের বলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা হওয়ার আশঙ্কায় এই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং এটি নেওয়া হয়। মানবাধিকারের বিষয়টিও থাকছে কাউন্সেলিংয়ে।’

জানতে চাইলে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসক ফারহানা আক্তার বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে কেবল মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দিলে হবে না। রাষ্ট্র যদি জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার ব্যবস্থা না করে সেখানে কেবল কাউন্সেলিং দিয়ে হবে না। ট্রাফিক পুলিশ বা অন্যান্য দায়িত্বে থাকা পুলিশের পেশাগত কাজের মানোন্নয়নে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ,পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি দায়িত্বশীল অঙ্গ।

জানতে চাইলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী ফেরদাউস সুলতানা বলেন, পুলিশকে মানবিক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে চালক বা সাধারণ মানুষ যাতে তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট না হয় সেদিকে নজর রেখে কৌশলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু