শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাত পোহালেই কুমিল্লায় ভোটগ্রহণ

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। রাত পোহালেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের গোমতী তীরের শহর কুমিল্লায়। এটি হচ্ছে এই করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন। ভোটাররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। ১৫ জুন (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ। এই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তাদের মেয়াদে প্রথম কোন বড় নির্বাচন করতে যাচ্ছে। বলা যায়, এটি আউয়াল কমিশনের প্রথম পরীক্ষা।

ইতোমধ্যে নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো নগরী ঢেকে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য নগরীতে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব। আছে স্ট্রাইকিং ফোর্সের টহল।

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কুসিক নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনী নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ভোটাররা কোন ভয় বা সংকোচন ছাড়া ভোট দিতে আসবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে।

তিনি বলেন, প্রার্থীরা যেভাবে আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালিয়েছেন-তেমনি নির্বাচনের দিনও সে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। সকলের সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। মোট কেন্দ্র ১০৫টি। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে সংঘাতমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে মাঠে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটের দিন ২৭ ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ জন সদস্য থাকবে। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩০টি টিম, ১০৫ কেন্দ্রে এক হাজার ২৬০ আনসার সদস্য ও এপিবিএনের ৫০ জন সদস্য নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়জিত থাকবেন।

অপরদিকে ভোটের আগেরদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হেভিওয়েট তিন প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু কথা বলেন নিজ বাসভবনে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার নগরজুড়ে বহিরাগতদের মহড়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করবে না: রিফাত

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র দখল করতে যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। তার দাবি বিএনপির দুই নেতা (বহিস্কৃত) প্রার্থী হওয়ায় উল্টো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। ভোটের আগেরদিন মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন কেন্দ্র দখল করবে না। বরং বিএনপির দুই প্রার্থীর দ্বন্দ্বে নৌকা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। আমরা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে রিফাত বলেন, ‘অন্য কেউ বিজয়ী হলে আমি ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নিবো।’

ভোটারবিহীন নির্বাচন মেনে নিবো না: সাক্কু

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। এখন নির্বাচনি পরিবেশের ব্যাপার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে জনগণ কেন্দ্রে যাবে,ভোট দিবে।

মঙ্গলবার(১৪ জুন) দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, এর আগের নির্বাচনেও দেখেছি কেন্দ্রের সামনে ৩০০/৪০০ লোক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়, ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে ভয় পায়। নির্বাচন কমিশন অনেক আশ্বাস দিচ্ছে, যদি তা প্রয়োগ না হয় তাহলে আমি কি ভাবে বলবো লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড থাকবে?

নির্বাচনে যেকোনো ফলাফল মেনে নেবেন কি না- এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই মেনে নেবো। কিন্তু ভোটাররা যদি কেন্দ্রে যেতে না পারে, ভোট দিতে না পারে... ভোটারবিহীন নির্বাচন আমি মেনে নেবো না।

কায়সার প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগ হয়ে যেতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, তারা (কায়সারের সমর্থকরা) কখনোই আমাকে ভোট দিতো না। এবার কায়সারের ভোট নৌকায় যাবে না, উনার ভোট উনার কাছে যাবে- এটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট।

বহিরাগতদের তাড়াতে সঠিক পদক্ষেপ দাবি কায়সারের

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত রাখতে নির্বাচনী এলাকাজুড়ে ‘ছড়িয়ে ছিটিয়ে’ থাকা বহিরাগতদের তাড়াতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকালে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকায় ধর্মসাগর পাড়স্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

কায়সার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নগরীজুড়ে বহিরাগত লোকজন মহড়া দিচ্ছেন। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। বহিরাগতদের তাড়াতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত।

ভোটের দিন সরকারি আাধা-সরকারি অফিস খোলা থাকার বিষয়টিকে ‘চক্রান্ত’ মনে হচ্ছে- উল্লেখ করে কায়সার বলেন, সিটি এলাকায় ইপিজেড রয়েছে। এখানে অসংখ্যক শ্রমিক কাজ করেন। ভোটের দিন তারা যখন বের হবে তখন রাস্তায় জ্যাম হবে, ভোটারদের কেন্দ্রে আসা-যাওয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই ইপিজেড-এ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হোক।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু যা ভোট পাবেন, আমি তার ডাবল পাবো আশা করি।

ভোটের মাঠ ছেড়ে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘মৃত্যু ছাড়া কেউ আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না।’

জেএস/এনএইচবি/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত