শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন বাজেট বাস্তবায়নেই শঙ্কা

করোনার ধকল না কাটতেই বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। নিত্যপণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা। মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার দৌড়ে ব্যয় কুলাতে পারছে না জনগণ। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বৃহম্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রায় পৌনে সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে। এতে আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

তারমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই ঘাটতি পূরণে বিদেশি ও দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে অর্থের জোগান থেকে শুরু করে বাস্তবায়নে শঙ্কা রয়েছে।

বাজেটের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাহ্যাচড়া। কারণ আমদানি ব্যয় মেটাতে টাকা অবমূল্যায়ন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ডলারের দাম ৯২ টাকা হয়েছে। রিজার্ভ কমে ৪২ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। বাজার সামলাতে ব্যাংকের কাছে প্রায় প্রতিদিন ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে, রাজস্ব বাড়াতে তাগিদ দেওয়া হলেও ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। যা খুবই দরকার ছিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডলারের সংকট দুর করতে ও আমদানি ব্যয় মেটাতে সরকার বাজেটে বিভিন্ন সময়ে পাচার করা টাকা আনতে জোড়ালোভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা অর্থ পাচাররোধে কাজ করছে। তাই বাইরে থেকে টাকা ফেরতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারাই দেশে টাকা ফেরত আনবে তাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। আইন করেই তাদের সেই সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজেটে তা ঘোষণা করা হয়েছে। কাজেই যারা দেশে টাকা পাঠাবে তাদের ভয়ের কিছু নেই। গোপনীয়তা মানা হবে। এটা দেশের জন্য করা হচ্ছে। এ কাজে কেউ বাধা দেবেন না।’

তারপরও অর্থনীতিবিদ এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া অনৈতিক। শুধু তাই নয়, এটা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্যও নয়।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘পাচার করা টাকা কর দিয়ে দেশে আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এতে সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হয়। এটা অনৈতিক। এটা থেকে কোনো অর্থ আসবে না। কারণ যারা দেশের বাইরে টাকা পাচার করে, তারা দেশে ফিরে আসার জন্য টাকা পাচার করে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনও বলেছেন, ‘৭ শতাংশ কর পরিশোধের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার প্রস্তাব অনৈতিক ও বেআইনি। এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কোনো কর্তৃপক্ষ।’

শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও বলেছেন, ‘ব্যবসায়ীরা ২৭ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে। এ ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আর কেউ বিদেশে টাকা পাচার করেছে, সে টাকা দেশে আনা হলে সৎ ব্যবসায়ীরা উৎসাহ হারাবে। ডলারের সংকট দূর করতে সরকার হয়ত পাচার করা টাকা আনার কথা বলছে। কিন্তু আমরা এটা সমর্থন করি না। কারণ পাচার করা অর্থ দেশে আনা হলে ভালো ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবেন।’

আবার করোনার ধকল সামলে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাপে দেশের মূল্যস্ফীতি সবাইকে দগ্ধ করে তুলেছে। সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করলেও পরিত্রাণের ইতিবাচক দিক এখনও অস্পষ্ট। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কমানো হয়নি অনেক নিত্যপণ্যের দাম। এ ছাড়া বাজেট ঘোষণার দিনই সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ২০৫ টাকা লিটার করা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে বেশি করে ব্যয় করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি যে ঋণের সুদ আসবে সেটি পরিশোধেই সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা মোট ব্যয়ের ১৯ দশমিক দুই শতাংশ।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশীয় শিল্পকে রক্ষায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আমদানিকৃত পণ্যের উপর। এমনকি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য থাকলেও ল্যাপটপ আমদানিতেও কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সব কারণে আগামীর বাজেট ব্যবসাবান্ধব হলেও জনবান্ধব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, ‘বাজেটে কোথাও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে আবার কোথাও কমানো হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে আমরা যে সংকটকালীন অবস্থায় আছি, সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ইনোভেটিভ প্রস্তাব এই বাজেটে আসেনি। বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থচিন্তা করে বাজেট তৈরি হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।

করোনার প্রভাবে অনেকে বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্রের হার ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বেড়ে গেছে। অথচ সামাজিক নিরাপত্তাখাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ দশমিক আট শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ৮২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয় করার প্রস্তাব করেছেন। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। এটা এক বছরের ব্যবধানে বাড়লেও তা আশানুরুপ নয়। কারণ করোনায় বেকারত্ব অনেক বেড়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, এ বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন। যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে হবে। ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই তিন লাখ টাকা প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তা বাড়ানো দরকার।’

কোভিভ-১৯ পরিস্থিতি এবং রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, পণ্যের কাঁচামালের মূল্য এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।

কঠিন সময়েও বাজেটের আকার রেকর্ড পরিমান বাড়ানো হয়েছে। ৬ লাখ সাড়ে তিন হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যয়ের মধ্যে আড়াই লাখ কোটি টাকাই খরচ হবে উন্নয়ন খাতে। তাই এই ব্যয়ের ক্ষেত্রে দক্ষদের যুক্ত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কারণ উন্নয়ন ব্যয়ের নামে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তারা হরিলুট করছে। অযথা বিদেশ ভ্রমন, শিক্ষা সফরের নামে ব্যয় করছে। যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে সেগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাওড়ে বাঁধ নির্মাণেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের উপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রবৃদ্ধি সচল রাখতে হবে। ঢালাওভাবে সব কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের উপর কর বৃদ্ধি, এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখার যে প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে’।

ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বিশাল বাজেট অর্জন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। বাজেট বাস্তবায়নে প্রফেশনালদের সম্পৃক্ততা আব্যশক। ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করা দরকার।’

জেডএ/এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত