শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়ন প্রকল্পে গলদ-২

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও যেখানে উপেক্ষিত

চিকিৎসক ও নার্সদের বসবাসের জন্য নির্মিত ২১টি ভবনে বসত গেড়েছে ঝোপঝাড় আর বটগাছ। এসব ভবন নির্মাণে সরকারের অর্থ খরচ হয়েছে ১৩৯ কোটি টাকা। কিন্তু সাত বছরেও চিকিৎসক-নার্সের দেখা পায়নি ভবনগুলো। ভবনগুলো হস্তান্তরও করা হয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের আগেই ২৬ কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সেগুলো এখন অকেজো। আড়াই কোটি টাকার আসবাবপত্রও পরিণত হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপে।

উপরের এই চিত্র উঠে এসেছে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এরপর এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোগী চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রান্তিক পর্যায়ে চক্ষু সেবা নিশ্চিত করতে ১৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সমাপ্ত এই প্রকল্পের কাজ কতোটা কার্যকর হয়েছে- তা জানতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রভাব মূল্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী প্রকল্প কার্যক্রম হয়েছে কি না সেই চিত্র এই প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।

এই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে সব কিছু দেখে থাকেন। এসময় কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে অনুশাসন দিয়ে থাকেন। কাজেই সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

কিন্তু শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন প্রকল্পে সেটা মানা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘শুনেছি এই প্রকল্পে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয়কেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ করা উচিত।’

প্রতিবেদনে যত অনিয়ম উঠে এসেছে

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষ হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন প্রকল্পে অসংখ্য অনিয়ম পেয়েছে আইএমইডি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে বিশেষায়িত এই হাসপাতালটিতে এখনো সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়নি। ফলে জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া কার্যক্রম চালু করা যায়নি। ফলে মুমূর্ষু রোগী ও শিশুদের চক্ষু রোগের অপারেশন জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এই হাসপাতালে আজও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোনো কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। ফলে হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী রোগীরা বিনা পয়সার চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। প্রকল্প প্রণয়নের সময় কোনো এক্সিট প্লান প্রস্তুত করা হয়নি।

প্রতিবেদনে একটি বড় সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ভবনের ছাদে পানি জমে স্থাপত্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সোলার প্যানেলগুলো অকেজো হয়ে গেছে। অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) নার্সদের টয়লেট ও চেঞ্জ রুমের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বহি:বিভাগের টয়লেটের কমোড ও বেসিন ভেঙে পড়ায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে এগুলো এখন তালাবদ্ধ। হাসপাতাল ভবনের লাইব্রেরিটিও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যায়নি।

দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষকে সেবা দেওয়া তো বটে, রাজধানী ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উপরও চাপ কমাতে সরকার বিশেষায়িত এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে। কিন্তু এখানেও চিকিৎসক সংকট। ৯১টি পদের বিপরীতে কর্মরত চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অপরদিকে, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুই বছর পরপর ওই ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কথা। অথচ ২০টি ভবন-ই এখনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

এসব ভবনের মধ্যে সিনিয়র চিকিৎসকদের জন্য ১৫০০ বর্গফুট, ১২৫০ বর্গফুট ও ১০০০ বর্গফুটের আবাসিক ভবন করার পর সাত বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু ভবনগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ভবনের ছাদে পানি জমে জলছাদ নষ্ট হয়ে গেছে। ১২৫০ বর্ঘফুটের অফিসার্স কোয়াটারটির আশপাশ এখন পরিণত হয়েছে বন-জঙ্গলে। ভবনের ছাদে গজিয়েছে বট গাছ। সব মিলিয়ে ভবনগুলো ব্যবহারের আগেই ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে গেছে।

একই অবস্থা সিনিয়র নার্সদের জন্য কোয়ার্টার ভবনটির। দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত থাকায় বিভিন্ন স্থানে রং নষ্ট হয়ে গেছে। আশপাশ জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে সাপের উপদ্রব। আর ভবনের নিচে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।

এ ছাড়া পুরুষ ও মহিলা স্টুডেন্ট হোস্টেল দুটিও হস্তান্তর না হওয়ায় উইপোকা বাসা বেধেছে। কয়েকটি অংশে পরেস্তরা খসে পড়েছে ও রং নষ্ট গয়ে গেছে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভবন দুটি।

শুধু বিভিন্ন ভবনই নয়, বিদ্যুৎ সবররাহের জন্য নির্মাণ করা সাব-স্টেশন ভবনটিও হস্তান্তর করা হয়নি।

যন্ত্রপাতি কেনা হয় দুই বছর আগে

বিশেষায়িত এই হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রকল্পের আওতায় কেনা হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন দিয়েছিলেন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর যন্ত্রপাতি ও আবসাবপত্র যেন কেনা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মত অবস্থা হয়েছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের ক্ষেত্রে।

প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালের জুনে। অথচ কাজ শেষ হওয়ার তিন বছর তিন মাস আগে ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালের জন্য ১২৬টি যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। কিন্তু এগুলো ব্যবহার করা যায়নি। কারণ এগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে। আর ৫৯টি অচল হয়ে গেছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে। রোগীরাও বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা থেকে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে।

প্রকল্প শেষ হয়নি যথাসময়ে

প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকার গোপালগঞ্জে একটি ১০০ শয্যার বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের ১১ মে ১৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ডিপিপি অনুযায়ি ২০১৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ডিপিপি সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২ হাজার ৩৬৫ বর্গমিটারের ২১টি ভবন এর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

গাড়ি গেল কোথায়?

এই হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের সুবিধার্থে তিনটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্পের আওতায় গাড়িগুলো কেনা হয় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে। এসব গাড়ির জন্য গ্যাস ও জ্বালানিতে ব্যয় করা হয়েছে ২১ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলেও গাড়িগুলো এখন পর্যন্ত সরকারি পরিবহনপুলে জমা হয়নি।

প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদেন আরও উঠে এসেছে, নার্স প্যারামেডিক্যাল ও ডাক্তারদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বলা হলেও ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। নেই চক্ষু সংক্রান্ত রোগের বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রমও।

গোপালগঞ্জ জেলা সদরে প্রায় ৪৫ বিঘা জমিতে গড়ে উঠা এই হাসপাতালটির আরও অনেক সমস্যার কথা উঠে এসেছে আইএমইডি’র প্রতিবেদনে।

জেএ/এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত