সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ব্রয়লার মুরগির দাম লেখা ২০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা। রাজধানীর অভিজাত ক্রেতাদের বাজার হিসেবে পরিচিত হাতিরপুল কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা গেল, একাধিক দোকানে মুরগির মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এর মধ্যে মায়ের দোয়া পোলট্রি হাউসে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। অথচ স্টিকারে দাম লেখা ২০০ টাকা। চোখের সামনে সেই স্টিকার খুলে ২১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এই কাঁচাবাজারের ক্রেতা সাধারণত হাতিরপুল ও এর আশপাশের এলাকায় বাসিন্দারা। তারা নিয়মিত এ বাজার থেকে কেনাকাটা করেন। এ বাজারে মাছ, মাংস, সব ধরনের সবজি, ফলমূলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যায়।

এলিট শ্রেণির কাঁচাবাজার নগরীর হাতিরপুল প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই বাজারকে বলা হয়, কিছু পণ্যের দাম পূর্ব নির্ধারিত হলেও অন্য সব কাঁচাবাজার থেকে হাতিরপুল কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এই বেশি দাম নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগের শেষ নেই।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারের অধিকাংশ ক্রেতা চাকরিজীবী, যারা প্রতিদিন বাজার করেন না। এদের কেউ এক সপ্তাহ, কেউ ১৫ দিন আবার কেউ এক মাসের কাঁচাবাজার একসঙ্গে করে নিয়ে যায়। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। তবে তাদের মধ্যে যারা হাতিরপুল কাঁচাবাজারে পণ্য ক্রয় করতে আসেন তাদেরকে ক্রয় করার ক্ষেত্রে দরকষাকষি করতে দেখা যায়।

গরুর মাংস কিনতে আসা একজন নারী এনজিও কর্মী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন. ‘মাংসের দাম পূর্বনির্ধারিত হলেও অন্যান্য কাঁচাবাজার থেকে হাতিরপুল কাঁচাবাজারে যে মাংস পাওয়া যায় সেটা অপেক্ষাকৃত ফ্রেশ মাংস। তাই কিছুটা দাম বেশি। বাজার দূরে হলেও এখান থেকেই মাসিক বাজার করি।’

১১২ নম্বর মাংসের দোকানের মো. বশির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অন্যান্য বারের রমজানে যে পরিমাণ মাংস বিক্রি করেছি এবার তার ধারেকাছেও যাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। আজ সকাল ৭টায় দোকান খুলেছি এখন সকাল ১০টা অথচ মাংস (গরু) বিক্রয় করেছি দুই কেজি। মাংসের দাম কিছুটা কমেছে,এখন ৭২০ টাকা প্রতি কেজি।

কাঁঠাল বাগানের বাসিন্দা মন্নাফ মিয়া নামে একজন ক্রেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আপনি বেশ কয়েকজনকে দাম জিজ্ঞাসা করছেন এবং আমি আপনার গলায় কার্ড ঝুলানো দেখে সবজি কিনতে রিকশা থেকে নেমে এসেছি। কারণ, সাংবাদিকদের সামনে অন্তত কিছু কম দামে সবজি কিনতে পারব।’

মায়ের দোয়া খাসির মাংসের দোকানদার বিল্লাল হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতি কেজি মাংস ১১০০ টাকা, সকাল থেকে এক কেজিও বিক্রি হয়নি। দাম বেশি তাই কাস্টমার কম। কাস্টমারদের অনেকেই দাম জিজ্ঞাসা করে না কিনে চলে যান।

বেলা সাড়ে দশটার দিকে কথা হয় মুরগির (দেশি) দোকানদার আবুল হাসান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে আমি এখানে মুরগির মাংস বিক্রি করছি। দেশি মুরগির মাংস বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৬৬০ টাকা। কয়েক দিন পূর্বে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করেছি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি কোনো দোকানে ২০০ টাকা আবার কোনো দোকানে ২১০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালী কক প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা। দেশি মুরগি কোনো দোকানে প্রতি কেজি ৬৬০ টাকা আবার কোনো দোকানে ৬৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী তারেক মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সকাল হয়েছে তিন ঘণ্টা, তারপরও বিকিকিনি নাই। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে কাস্টমার ছাড়া সকালেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছি। সব কিছুর দাম বেশি তাই কাস্টমার কম, এটা ধরেই বসে আছি।

তিনি বলেন, ফুলকপি বড় সাইজ ৪০/৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চিকন লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, কয়েক দিন আগে ১০০/১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। কাঁচা মরিচ খুচরা প্রতি কেজি ১০০ টাকা। তবে পাইকারি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সাদা মরিচ প্রতি কেজি ৭০/৮০, লেবু (বড়) এক হালি ৬০ টাকা, ছোট লেবু প্রতি হালি ৫০/৫৫, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা।

কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী রিয়াদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, রোজার মাসে সকালে তুলনামূলক বেচাকেনা কম হয়। দশটার পর থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে কম। রুই মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৩২০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ও গরু মাংস কিনতে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা (অবসর প্রাপ্ত) আবুল কালাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বাসার কাছে বাজার তাই নিয়মিত বাজার এখানেই করি। যদিও অনেকে বলে থাকেন এই বাজারে নাকি দাম বেশি রাখা হয়।

দাম বেশি জেনেও হাতিরপুল কাঁচাবাজারে কেন আসেন এমন প্রশ্নে তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘আরে মিয়া সুস্থ থাকতে কে না চায়, তাই বেশি দাম জেনেও অপেক্ষাকৃত ফ্রেশ পণ্যের সন্ধানে এখানে আসি।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

জমজ দুই বোনের চমক, এসএসসি পরীক্ষায় পেলো জিপিএ-৫

অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্ণা। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এসএসসি পরীক্ষায় অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্ণা জমজ দুই বোন চমক দেখিয়েছেন। তারা উভয়ই জিপিএ-৫ পেয়েছে। গৌরবময় এমন সাফল্য অর্জন করায় ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ও আরেকজন প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

অর্পা ও অর্ণা টাঙ্গাইল পৌর শহরের আদালত রোডস্থ ওয়ালটন প্লাজার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহা ও গৃহিনী সুম্মিতা ঘোষ দম্পতির জমজ দুই কন্যা সন্তান। টাঙ্গাইলের ড্যাফোডিল ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল থেকে ওই দুইবোন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং তারা একসাথেই বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছিল।

 

অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্ণা। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গত রবিবার ১২ মে ফলাফলে দেখা যায়, জিপিএ -৫ প্রাপ্তের মধ্যে অর্পার প্রাপ্ত নম্বর- ১ হাজার ১২৩ আর অর্ণার প্রাপ্ত নম্বর-১ হাজার ১১৪। জমজ দুই বোন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।

অর্পিতা সাহা অর্পা জানায়, ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক হতে চায়। দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকার স্বপ্ন দেখছে সে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলের আর্শিবাদ কামনা করেছে সে।

অর্মিতা সাহা অর্ণা জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে। স্বপ্ন পূরণে সকলের আর্শিবাদ কামনা করেছে অর্ণা।

জমজ দুই কন্যার বাবা অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমি চাই আমার মেয়েরা মানুষের মত মানুষ যেন হয়। তাদের স্বপ্ন ও আশা পূরণে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তারা যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে এটিই আমার প্রত্যাশা।

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৩মে) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক গণপূর্তমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ প্রদান করেন।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে ১২৬০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্ত্রী রাজধানীর করাইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। ৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেন।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জনান।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে। এছারা সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সাথে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জমাকৃত টাকা পেতে গ্রাহকরা দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য জমাকৃত টাকা নিয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানটি উধাও হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় দিন পার করছেন গ্রাহকরা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জানা গেছে- ২০১৪ সাল থেকে নওগাঁ শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস। ভবিষ্যতের জন্য শত শত গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা সঞ্চয় বা জমা করেছিল। অনেকের বাৎসরিক মেয়াদ পূরণ হয়েছে আবার অনেকের এখনও মেয়াদ পূরণ হয়নি। যাদের মেয়াদ পূরণ হয়েছে তারা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা নেয়ার জন্য অফিসে প্রতিদিনই গ্রাহকরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। আজ নয় কাল বলে সময় পার করছে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে করে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীরা মধ্যে পড়তে হয়েছে।

জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে কৃষক সাজেদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য এ বীমাতে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন। গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তার মেয়াদ পূর্ণ হয়। বীমাতে জমাকৃত টাকা পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম বলেন- বছরে ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা হিসেবে ১২ বছর মেয়াদী বীমা করেছি। যেখানে আমার প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে আরো প্রায় ১ বছর ৫ মাস আগে। মেয়াদ পূরন হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অফিসে আসতে বলা হয়। তারপর থেকে অফিসে এসে জমাকৃত টাকা পেতে ধর্না দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসে অফিস বন্ধ থাকে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে আরো এক বছর পরে আসার জন্য। নিজের জমাকৃত টাকা পেতে এতো ঘুরতে হবে কেন। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করে টাকাগুলো জমিয়েছি। এখন ভয় হচ্ছে যদি অফিস সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে কি হবে।

আরেক ভুক্তভোগী নওগাঁ শহরের চকদৌলত মধ্য সাহপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহাজান বাদশা। তিনি বলেন- মা সাজেদা বেগমের নামে বছরে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা হিসেবে ১২ বছরের জন্য বীমা করা আছে। মেয়াদ পূরণ হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসে। প্রায় ৫৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে। জমাকৃত টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে হিসাব খুলতে বলা হয়েছিল। একটি ব্যাংকে হিসাব খুলে হিসাব নম্বরটি বীমা অফিসে দেয়া হয়। আজ নয় কাল বলে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে টাকা নাই এখন দেয়া যাবে না। আরো কিছুদিন পরে আসেন। আমাদের সাথে প্রতারণা করার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আমার মতো অনেক গ্রাহক এসে হয়রানি হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রাহিদুল ইসলাম বলেন- ২০১৪ সাল থেকে শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় বীমার কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে তার আগে শহরের পাঁর-নওগাঁয় অফিস দিয়ে সেখানে কার্যক্রম করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের আগে গ্রাহকদের টাকা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে পরবর্তী সময় থেকে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা উত্তোরণে আমাদের সুযোগ দিতে হবে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ সার্ভিসিং সেল এর সহকারি পরিচালক (এএমডি) রহিদুল ইসলাম বলেন- এ অফিসের অধীনে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কোন ফান্ড (অর্থ) দিচ্ছে না। ফান্ড পেলে দ্রুত গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে অফিস পালিয়ে যাওয়ার কোন ভয় নেই। করোনা ভাইরাসের পর থেকে প্রতিষ্ঠান অর্থনেতিক ভাবে দুর্দিন যাচ্ছে এবং ভাল সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন- যেসব গ্রাহকদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের বিষয় অফিসকে অবগত করা হয়েছে। ফান্ড না পাওয়া পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সর্বশেষ সংবাদ

জমজ দুই বোনের চমক, এসএসসি পরীক্ষায় পেলো জিপিএ-৫
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু
২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
ঢাকাসহ ৭ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিভাজন থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসা উচিত : মির্জা ফখরুল
ভোটারকে থাপ্পড় মারায় এমপির গালে ভোটারের পাল্টা থাপ্পড়, ভিডিও ভাইরাল
শিশু জায়েদকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কেউ পাস করেনি বিরামপুরের খয়েরবাড়ী মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায়
বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার
প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা
এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল
১৩ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ১৪ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭