বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘রমজানে খেজুর খাওয়ার সৌভাগ্য হবে না’

‘শুনেন, খেজুর হল ইফতারের প্রধান আইটেম। খেজুর দিয়েই অধিকাংশ রোজাদার রোজা ভাঙে। অথচ এ বছর রমজানে সেই সৌভাগ্য হবে না। সব জিনিষের দাম বাড়ছে। খেজুরের দামও নাকি আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এখন বলেন, কেমনে খেজুর কিনব।’ এভাবেই আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকার বাসিন্ধা নুরুল ইসলাম।

পেশায় চাকরিজীবী এই নুরুল বলেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচই তো কমিয়ে এনেছি। এবারের রমজানেও খরচ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়তি দামের কারণে হয়ত খেজুরই আর কিনব না।

শুধু নুরুল ইসলাম নয়, এমন আক্ষেপ এখন নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটে, মধ্যবিত্তদেরও কণ্ঠে। যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে, রমজানে খরচ চালানোই কঠিন এ সব পরিবারের।

‘রোজা’ আর ‘খেজুর’ একে অপরের পরিপূরক। সারাবছর খেজুর বিক্রি হলেও রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটা মাথায় রেখেই এক মাস আগে রমজানের জন্য খেজুর আমদানি করা হয়েছে। তারপরও খেজুরের বাজারে অস্থিরতা। রমজানের আরও এক মাস বাকি থাকলেও এখনই যে যেভাবে পারছে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানে খেজুরের চাহিদার বিষয়টিকে পুঁজি করে একশ্রেণির আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট, পাইকার, আড়তদার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনই খেজুর ও ফলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এলসি খোলার জটিলতা, পরিবহন ব্যয় ও ক্রয়ে বেশি দামের কারণে খেজুর ও অন্য ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

অবশ্য খেজুরের মোকাম বাদামতলীর বিক্রেতারা বলছেন, যথেষ্ট খেজুর আমদানি হয়েছে। সমস্যা হবে না। তবে দামের ব্যাপারে তারা কিছু বলছেন না। এ সুযোগে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্য জিনিসের মতো এবার খেজুরের দামও অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। খেজুরের কেজি এক হাজার টাকার বেশি। কিনব কীভাবে? ইফতারির অন্য কিছু কি লাগবে না। শুধু খেজুরে এত টাকা গেলে অন্য আইটেম কীভাবে কিনব? আয় তো আর বাড়েনি।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে বিক্রমপুর ফল বিতানের সামনে কথা হয় আলী হোসেনের সঙ্গে। তিনিও অসহায়ত্ব প্রকাশ করে করে বলেন, আয় কি বেড়েছে যে এত বেশি দামে খেজুর কিনব। চাল, চিনি তেলের মতোই অবস্থা খেজুরের।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ক্রেতা বলেন, আমাদের বেতন তো বেড়েছে অনেক বছর আগে। সে তুলনায় কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে। ইফতারির প্রধান উপকরণ খেজুরেরও দাম সেই পথে। তাহালে আমরা কিনব কীভাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশে রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট খেজুর আমদানি (এলসি খোলা) হয়েছে। এরমধ্যে অক্টোবরে ৪ হাজার ৬৭১ টন, নভেম্বরে ৪ হাজার ৪৭১ টন ও ডিসেম্বরে ১২ হাজার ৮৪১ টন আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ১০ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। এভাবে গত চার মাসে প্রায় ৩২ হাজার টন খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে।

গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলসি নিস্পাত্তি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টন ও জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৫৬১ টন। এভাবে সাত মাসে খেজুরের এলসি নিস্পত্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৫ টন। রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও এলসি নিস্পত্তি হবে। কাজেই চাহিদার তুলানায় দেশে যথেষ্ট পরিমান খেজুর আমদানি হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজানের আগে দেশে যথেষ্ট খেজুর আমদানি হচ্ছে। ডলার সংকটের কোনো প্রভাব পড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সূত্র বলছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা এক লাখ টন। এরমধ্যে রমজানেই অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজার টন লাগে। অন্যান্য মাসে লাগে ৫ হাজার টন করে।

খেজুরের ব্যাপারে বাদামতলী বাজারের ফল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজানে যা খেজুর লাগবে তা এসে গেছে। সারা বছরে যা লাগে রমজানে তার থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়। এবারে রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ডলারের দাম বাড়তির কারণে খেজুরের দাম একটু বেশি। তবে প্রতি কেজিতে কি পরিমাণ দাম বেড়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

খেজুরের দাম সম্পর্কে যা বললেন ব্যবসায়ীরা

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার পণ্যের মধ্যে খেজুরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা বাজারে জাতভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।

টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে সাধারণ মানের এ সব খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর ফল বিতানের জনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যা বাড়ার আগেই বেড়ে গেছে। এক মাসে আগে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আজুয়া খেজুর এখন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইরানি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই খেজুরের দাম এক মাস আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি দাম মেডজুল জাম্বু খেজুরের। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। তবে বেশি বিক্রি হয় খুরমা, আলজেরিয়ান ও বড়ই খেজুর। যার প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। খোলা জাহিদি খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

একই বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের মনির বলেন, সৌদি খেজুরের দাম বেশি। দাম আগেই বেড়েছে। আগের ৫০০ টাকারটা এখন ৬০০ টাকা কেজি। বর্তমানে কার্টুনে ৫০০ টাকা বেড়েছে। ডলারের কারণে অন্য বারের চেয়ে এবারে বেশি বেড়েছে।

আড়ত, পাইকারের হাত ঘুরে রাজধানীর পাড়া-মহাল্লাতেও যেতে যেতে দাম বেড়ে গেছে খেজুরের দাম। এভাবে দাম বাড়তে থাকায় তা ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের আটি বাজারের ফল ব্যবসায়ী আনিছুর জানান, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাহলে খেজুরের দাম বাড়বে না কেন?

তবে টিসিবি বলছে, সাধারণ খেজুরের কেজি ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু টিসিবির বাজারদরে বেশি দামের খেজুরের হিসাব তুলে ধরা হয়নি। কারণ বাজারে সর্বনিম্নে জাহিদি খেজুর ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ জাম্বু খেজুর ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গড় করলে প্রতি কেজি ৬০০ টাকার বেশি কেজি হয়।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার