রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘রমজানে খেজুর খাওয়ার সৌভাগ্য হবে না’

‘শুনেন, খেজুর হল ইফতারের প্রধান আইটেম। খেজুর দিয়েই অধিকাংশ রোজাদার রোজা ভাঙে। অথচ এ বছর রমজানে সেই সৌভাগ্য হবে না। সব জিনিষের দাম বাড়ছে। খেজুরের দামও নাকি আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এখন বলেন, কেমনে খেজুর কিনব।’ এভাবেই আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকার বাসিন্ধা নুরুল ইসলাম।

পেশায় চাকরিজীবী এই নুরুল বলেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচই তো কমিয়ে এনেছি। এবারের রমজানেও খরচ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়তি দামের কারণে হয়ত খেজুরই আর কিনব না।

শুধু নুরুল ইসলাম নয়, এমন আক্ষেপ এখন নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটে, মধ্যবিত্তদেরও কণ্ঠে। যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে, রমজানে খরচ চালানোই কঠিন এ সব পরিবারের।

‘রোজা’ আর ‘খেজুর’ একে অপরের পরিপূরক। সারাবছর খেজুর বিক্রি হলেও রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটা মাথায় রেখেই এক মাস আগে রমজানের জন্য খেজুর আমদানি করা হয়েছে। তারপরও খেজুরের বাজারে অস্থিরতা। রমজানের আরও এক মাস বাকি থাকলেও এখনই যে যেভাবে পারছে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানে খেজুরের চাহিদার বিষয়টিকে পুঁজি করে একশ্রেণির আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট, পাইকার, আড়তদার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনই খেজুর ও ফলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এলসি খোলার জটিলতা, পরিবহন ব্যয় ও ক্রয়ে বেশি দামের কারণে খেজুর ও অন্য ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

অবশ্য খেজুরের মোকাম বাদামতলীর বিক্রেতারা বলছেন, যথেষ্ট খেজুর আমদানি হয়েছে। সমস্যা হবে না। তবে দামের ব্যাপারে তারা কিছু বলছেন না। এ সুযোগে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্য জিনিসের মতো এবার খেজুরের দামও অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। খেজুরের কেজি এক হাজার টাকার বেশি। কিনব কীভাবে? ইফতারির অন্য কিছু কি লাগবে না। শুধু খেজুরে এত টাকা গেলে অন্য আইটেম কীভাবে কিনব? আয় তো আর বাড়েনি।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে বিক্রমপুর ফল বিতানের সামনে কথা হয় আলী হোসেনের সঙ্গে। তিনিও অসহায়ত্ব প্রকাশ করে করে বলেন, আয় কি বেড়েছে যে এত বেশি দামে খেজুর কিনব। চাল, চিনি তেলের মতোই অবস্থা খেজুরের।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ক্রেতা বলেন, আমাদের বেতন তো বেড়েছে অনেক বছর আগে। সে তুলনায় কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে। ইফতারির প্রধান উপকরণ খেজুরেরও দাম সেই পথে। তাহালে আমরা কিনব কীভাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশে রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট খেজুর আমদানি (এলসি খোলা) হয়েছে। এরমধ্যে অক্টোবরে ৪ হাজার ৬৭১ টন, নভেম্বরে ৪ হাজার ৪৭১ টন ও ডিসেম্বরে ১২ হাজার ৮৪১ টন আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ১০ হাজার টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। এভাবে গত চার মাসে প্রায় ৩২ হাজার টন খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে।

গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলসি নিস্পাত্তি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টন ও জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৫৬১ টন। এভাবে সাত মাসে খেজুরের এলসি নিস্পত্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৫ টন। রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও এলসি নিস্পত্তি হবে। কাজেই চাহিদার তুলানায় দেশে যথেষ্ট পরিমান খেজুর আমদানি হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজানের আগে দেশে যথেষ্ট খেজুর আমদানি হচ্ছে। ডলার সংকটের কোনো প্রভাব পড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সূত্র বলছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা এক লাখ টন। এরমধ্যে রমজানেই অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজার টন লাগে। অন্যান্য মাসে লাগে ৫ হাজার টন করে।

খেজুরের ব্যাপারে বাদামতলী বাজারের ফল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজানে যা খেজুর লাগবে তা এসে গেছে। সারা বছরে যা লাগে রমজানে তার থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়। এবারে রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ডলারের দাম বাড়তির কারণে খেজুরের দাম একটু বেশি। তবে প্রতি কেজিতে কি পরিমাণ দাম বেড়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

খেজুরের দাম সম্পর্কে যা বললেন ব্যবসায়ীরা

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার পণ্যের মধ্যে খেজুরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা বাজারে জাতভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।

টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে সাধারণ মানের এ সব খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর ফল বিতানের জনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যা বাড়ার আগেই বেড়ে গেছে। এক মাসে আগে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আজুয়া খেজুর এখন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইরানি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই খেজুরের দাম এক মাস আগেও ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি দাম মেডজুল জাম্বু খেজুরের। প্রতি কেজি ১২০০ টাকা। মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। তবে বেশি বিক্রি হয় খুরমা, আলজেরিয়ান ও বড়ই খেজুর। যার প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। খোলা জাহিদি খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

একই বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের মনির বলেন, সৌদি খেজুরের দাম বেশি। দাম আগেই বেড়েছে। আগের ৫০০ টাকারটা এখন ৬০০ টাকা কেজি। বর্তমানে কার্টুনে ৫০০ টাকা বেড়েছে। ডলারের কারণে অন্য বারের চেয়ে এবারে বেশি বেড়েছে।

আড়ত, পাইকারের হাত ঘুরে রাজধানীর পাড়া-মহাল্লাতেও যেতে যেতে দাম বেড়ে গেছে খেজুরের দাম। এভাবে দাম বাড়তে থাকায় তা ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের আটি বাজারের ফল ব্যবসায়ী আনিছুর জানান, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাহলে খেজুরের দাম বাড়বে না কেন?

তবে টিসিবি বলছে, সাধারণ খেজুরের কেজি ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু টিসিবির বাজারদরে বেশি দামের খেজুরের হিসাব তুলে ধরা হয়নি। কারণ বাজারে সর্বনিম্নে জাহিদি খেজুর ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ জাম্বু খেজুর ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গড় করলে প্রতি কেজি ৬০০ টাকার বেশি কেজি হয়।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান শবনম বুবলী। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে হয়ে যান চিত্রনায়িকা।

সিনে ক্যারিয়ারের ৯ বছরের মাথায় নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বুবলী নাম লেখালেন প্রযোজনায়। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, বুবলীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বিগ প্রোডাকশন। এর ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য, মিউজিক ভিডিও। কার্যক্রম শুরু হবে নাটক দিয়ে। যেটি নির্মিত হবে আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। আর সিনেমার ঘোষণা আসবে আগামী বছর।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিগ প্রোডাকশনের ভাবনা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। আমি সব সময় মানসম্পন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। প্রযোজক হিসেবেও চাইব ভালো কাজ উপহার দিতে।

প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও বিশেষ ভাবনা আছে বুবলীর। তিনি বলেন, আমি চাই সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবেন। অনেকে হয়তো ভালো কাজ করেন, কিন্তু নতুন হওয়ার কারণে বড় কোনো কাজে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।

বিগ প্রোডাকশনের পরিকল্পনা জানিয়ে বুবলী বলেন, আমি সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর জন্য আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাই চলতি বছর নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যাত্রাটা শুরু হবে কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কাজ আসতে থাকবে। বিগ প্রোডাকশন থেকে সিনেমা নির্মাণ হবে আগামী বছর। সে সময় বড় আয়োজন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বুবলী। আসছে রোজার ঈদে একাধিক সিনেমায় তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘পিনিক’ ও ‘জংলি’ সিনেমা দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টা সাথে দেখা করতে

চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  

ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এই সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।

সকাল ৮টায় কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে করে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকার পথে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

ঢাকার পথে রওনার আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীন। এজন্য আমরা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করব। এরপর নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। সেখান থেকেই অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলবে। যতদিন দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন ক্যাম্পাসে ফিরব না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাহস করে যেতে পারছি না । তাই নিজেদের অর্থায়নে ক্যাম্পাসে বাস ডেকে এনেছি।

'আমরা কুয়েট অথরিটির কাছে বাস সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা আমাদের কোনো সহায়তা করেননি। সরকার যেহেতু আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আমরা চোখে লাল কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাস টোটালি শাটডাউন করে চলে যাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে কোন রকমের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ চলবে না, বলেন তারা।

তারা আরও বলেন, 'ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস আসেনি। আমাদের নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, যা জুলাই বিপ্লবের পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হামলা করতে কেউ সাহস করেনি । অথচ এই হামলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে গেছে ,হাত তিন টুকরো হয়ে গেছে।

যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের ওপর দাঁড়িয়েছে সেই সরকার আমাদের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও যোগাযোগ করেনি । সেই সরকারকে আমাদের রক্তের দায় নিতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানোর তিন দিন পার হয়েছে, কিন্তু সরকারের থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এই ক্যাম্পাস আমাদের জন্য সেফ না। যেখানে হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে কুয়েটের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা এখন আমরাই দিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যেসব শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তারা অনেক জায়গা থেকে হুমকি পাচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কিত, আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরে সেইফ না । আমরা অভিভাবকহীন। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই।

তারা বলেন, ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে ই-মেইলে চিঠি পাঠান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা স্বত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। এসময় কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। এতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং চার ঘণ্টা যাবত এই হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  

ছবিঃ সংগৃহীত

নাটোরে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসরঘরে ঢুকে বরকে মারধর ও বাসরঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বরের মা, নানীসহ আরও তিনজন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু।

এ ঘটনায় শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ওই গ্রামের মিন্টু আলী শাহের ছেলে আরাফাত শাহের (২১) সঙ্গে নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া ছোটময়না এলাকার আব্দুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে দুইদিন ধরে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে উদ্‌যাপন করেন আগত অতিথিরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আওয়াল শাহ অভিযোগ করলে বরের বাবা মিন্টু বক্সের সাউন্ড কমিয়ে দেন।

পরে শুক্রবার রাতে ফের উচ্চশব্দে গান বাজালে আব্দুল আওয়াল শাহ ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কয়েকজন এসে বর, তার মা, নানীসহ চারজনকে মারপিট করে। এসময় তারা বাসর ঘরটিও ভাঙচুর করেন।

মিন্টু আলী শাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে আব্দুল আওয়াল শাহ তার ছেলেসহ স্থানীয় তিনজন আমার ছেলেকে বাসর ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে মারপিট করেন।

এরপর তারা বাসর ঘরে ঢুকে বাড়িতে আগত অতিথিদের বলে- তোরা এখন গান বাজা, আমরা বাসর করবো।’ এরপর ঘরে থাকা খাটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এলাকার কাউকে ঘুমাতে দিচ্ছে না বিয়ে বাড়ির লোকজন। আমরা তাদের গান বাজাতে মানা করেছি, কাউকে কোনো মারপিট করা হয়নি।

এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় গ্রাম্যভাবে বসা হয়েছে, বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটছে।

তবে তিনি বলেন, ভাঙচুর করেনি, এগুলো মিথ্যা। এখন সেই সালিশে আছি, পরে কথা বলি।

তাহলে সালিশ করছেন কী নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইযে মারামারি করিছিল, তখন হয়তোবা ইয়া হইছে…। ওরা নিজেরাই হয়তো ভাঙচুর করি এখন ঝামেলা করতিছে।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছিল। বাসরঘরের ফুলটুল টান দিয়ে ছিঁড়ছে, অন্য কিছু না। গান বাজাচ্ছিল এ নিয়ে, রাগের মাথায় দুই একটু হয় না!

চারজন আহত হয়েছে জানেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসরঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি থানায় পাইনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)