বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দাম বেশি, ক্রেতা কম

দাম বেশি তাই ক্রেতা কম। বসে আছেন বিক্রেতারা। সেই অর্থে ক্রেতা নাই বললেই চলে। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে বিক্রি কমেছে। এ চিত্র রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সরেজমিন মালিবাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ বিক্রেতাকেই চুপচাপ বসে আছেন।

মুরগি কিনতে এসেছেন সরকারি এক কর্মচারী। কি করবেন বুঝতে পারছেন না। একেকবার দোকানিকে একেক ধরনের সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। বোঝা গেল তিনি আসলে দামে কুলাতে পারছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি কর্মচারী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সব ধরনের মুরগীর দাম আকাশছোঁয়া। এখানে এসে যেই মুরগি ধরি সেটার দামই নাগালের বাইরে। কী করব বুঝতে পারছি না।’

মুরগির দোকানি রহিম মোল্লা জানালেন, তাদেরও কিছু করার নাই। কারণ, তারাও বেশি দাম দিয়েই কিনে আনেন। বিষয়টা এমন নয় যে তারা কম দামে কিনে আনেন। আর খুচরা পর্যায়ে বেশি চাইছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রহিম মোল্লা জানান, দাম বাড়লে ক্রেতা কমবে এটাই তো স্বাভাবিক। অনেক দিনই তো হয়ে গেল দাম বাড়তি। তাই ক্রেতাও আগের মতো পাই না।

মুরগীর দোকানের পাশেই রয়েছে সাইফুল গোশত বিতান। দোকানের একটি মূল্যতালিকা রয়েছে। সেখানে দেখা গেল, খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি এবং বকরির মাংস ১০০০ টাকা কেজি।

সাইফুল গোশত বিতানের পাশেই রয়েছে তাহের গোশত বিতান। এখানেও একটি মূল্য তালিকা রয়েছে। এখানে শুধু গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। মূল্যতালিকা থেকে দেখা গেল এখানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।

দুই মাংসের দোকানিই ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বেচাবিক্রি খুবই কম। কাস্টমার কমেছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় মানুষ মাংস কেনাও কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

তারপর বাজারের আরও ভেতরে গিয়ে দেখা গেল থরে থরে সাজানো রয়েছে সবকিছু। কিন্তু বাজার একরকম ক্রেতাশূন্য।

কাঁচা তরকারির দোকানি রহমত আলী জানালেন, তিনি বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা কেজি, করলা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, কচুর লতি ৯০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০/৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা কেজি, সজনে ১২০ টাকা কেজি, লাউ ৫০/৬০ টাকা পিস এবং কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

একইভাবে মাছের দোকানগুলো ক্রেতাশূন্য হলেও মাছের দামের কিন্তু কমতি দেখা যায়নি। বেলে মাছের দামও চাওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। বড় আকারের চাষের রুই-কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট রুই-কাতলা ৩০০ টাকা, শিং-মাগুরের দাম আকারভেদে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি শিং-মাগুর আকারভেদে হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া চিংড়ি ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ফলের দামে আগুন, ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা

মালিবাগ কাঁচাবাজারে ফলে দোকানগুলো মেইন রাস্তার সঙ্গে। থরে থরে সাজানো বিভিন্ন ধরনের ফল। দোকানগুলোতে প্রচুর ফল থাকলেও ক্রেতা নেই।

দোকানিরা বিরস ভঙ্গিতে বসে আছেন। তারা বলছেন, দাম তো অনেক বেশি। আমাদেরও কিছু করার থাকে না। ফলে ক্রেতারা ফিরে যান বেশিরভাগ সময়ই।

কথা হয় কুমিল্লা ফলভান্ডারের দোকানির সঙ্গে। তিনি জানালেন, আপেল ৩৩০ টাকা, কমলা ২৫০ টাকা, বেদানা ৪৬০ টাকা, মাল্টা ২৫০ টাকা, নাসপাতি ৩৪০ টাকা, পেয়ারা ৮০ টাকা, খেজুর ১ হাজার টাকা, সাদা আঙ্গুর ২৮০ টাকা, লাল আঙুর ৫০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩৪০ টাকা, আম ১২৫০ টাকা, সবুজ আপেল ৩৩০ টাকা কেজি দরে এবং তরমুজ ৫২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

একই অবস্থা অন্য ফলের দোকানগুলোতেও দেখা গেল। দোকানে ফলের অভাব নাই, কিন্তু ক্রেতার অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনানিবাসস্থ সেনাকুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরেজা থেকে রওয়ানা হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের দীর্ঘ ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে টেনে হিঁচড়ে জবরদস্তি করে বের করে দেয়া হয়েছিল। আজ সেই সেনানীবাসের সেনাকুঞ্জে যাবেন তিনি।

এদিকে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ সিলেট সফর করেন। এছাড়া ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশ্বস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন অমন্ত্রণের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উনারা সস্ত্রীক বাসায় এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে গেছেন।

এদিকে, খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র ২৬ জন নেতাও সশ্বস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হলো।

Header Ad

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না

জহিরুল ইসলাম খান পান্না (ইনসটে: শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান পান্না)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জেড আই খান পান্না বলেন, আজ আদালতে নিয়মিত শুনানির সময় কেউ একজন জানতে চান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) আমি কারও পক্ষে লড়ব কি না। তখন আমি বলেছি, সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষেই লড়ব।

অতীতে আপনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এখন তার পক্ষে লড়তে চাইছেন। এটি আপনার আগের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না?

উত্তরে জেড আই খান পান্না বলেন, অবশ্যই সাংঘর্ষিক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে আমি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।

Header Ad

নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন

এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব এ এম এম নাসির উদ্দীন-কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহবুদ্দিন।

অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে চার কমিশনারের নিয়োগের বিষয়টিও জানানো হয়।

চার কমিশনার হলেন:

১. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

২. আবদুর রহমানেল মাসুদ, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত)

৩. বেগম তাহমিদা আহমেদ, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)

৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে