শিগগিরই চালু হচ্ছে বরিশাল শেবাচিমের বার্ন ইউনিট
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কার্যক্রম শিগগিরই চালু করা হবে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম।
এক বছর ৮ মাস ধরে বন্ধ থাকায় সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হন দগ্ধ রোগী ও স্বজনেরা। এর পরই এটি চালু করার উদ্যোগের কথা জানালেন এ কর্মকর্তা।
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে একজন চিকিৎসক পদায়নের কথা জানানো হয়েছে। যদিও প্রজ্ঞাপন এখনও হাতে পৌঁছায়নি। তবে জানানো হয়েছে, পদায়ন করা চিকিৎসক 'কনসালট্যান্ট' পদমর্যাদার এবং তিনি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত।
হাসপাতালের নিচ তলায় ২০১৫ সালের ১২ মার্চ ৮ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালু করা হয়। তখন ওয়ার্ড পরিচালনার দায়িত্ব পান সহকারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান। এক বছর পরে ডা. হাবিবুর রহমান অবসরে গেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাখাওয়াত হোসেনকে এ বার্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। পরে সিনিয়র কনসাল্যন্ট ডা. একেএম আজাদ সজলকে শেবাচিমের বার্ন ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন প্রশিক্ষিত ১৬ জন সেবিকা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বার্ন ইউনিটকে ৩০ শয্যায় উন্নীতও করা হয়।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে ২০২০ সালে ২৮ এপ্রিল নগরীর কালীবাড়ি রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের লিফটের নিচে ডা. একেএম আজাদ সজলের মৃত্যু হয়। বরিশালে একমাত্র চিকিৎসকের মৃত্যুতে চিকিৎসক শূন্যতার কারণে ওই বছরের ১৫ মে শেবাচিমের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসএন