২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত
চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ গণমাধ্যমকে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ।
অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন ভর্তিপ্রার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করেন তারা। তবে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দেয়।
ধর্ষণের সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল রাজপথে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, “মাগুরায় আমাদের বোনকে যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল আন্দোলনে থাকবে। তাদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।”
সোমবার (১০ মার্চ) হাইকোর্ট গেটের সামনের সড়কে ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনটি নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ধর্ষণ, এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রায় হাজারখানেক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ছবি: সংগৃহীত
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমরা শুধুই গতানুগতিক বক্তব্য শুনে আসছি। তাদের আন্তরিকতার অভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করছি।”
তিনি আরও বলেন, “ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে এবং রাজপথে নেমেছে। ছাত্রদল তাদের সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছে। আমরা সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “গত ১৫ বছরে সমাজ ব্যবস্থার যে ধ্বংস হয়েছে, তা আমরা পরিবর্তন চাই। আমাদের বিশ্বাস, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সরকার নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে।”
রাকিবুল ইসলাম রাকিব অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা যতদিন আছেন, দয়া করে ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিটি ঘটনার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে, নাহলে আমরা আপনাদের ওপর আঙুল তুলতে বাধ্য হবো।”
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল সরকার বলে মনে হচ্ছে। দেশবাসী সমর্থন দেওয়ার পরও তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। মাগুরার আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার মতো ঘটনা দেখিয়েছে, যে সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।”
তিনি বলেন, “২০২০ সালে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা দেওয়া হলেও বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ছাত্রদল সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
মানববন্ধনে ছাত্রদল নেতারা সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এবং ধর্ষণ ও নিপীড়নের সঠিক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার বান্ধবী আরজে মাহভাশ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, আনুষ্ঠানিকভাবে ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এক মাসও পেরোয়নি, তার আগেই চাহাল ধরা পড়েছেন নতুন এক সুন্দরী নারীকে নিয়ে।
রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় উপস্থিত ছিলেন চাহাল। তার সঙ্গী এই ‘নতুন নারী’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে চাহালের নতুন সঙ্গী হিসেবে যে নাম উঠে এসেছে, তা হলো আরজে মাহভাশ।
আরজে মাহভাশ ও যুজবেন্দ্র চাহাল। ছবি: সংগৃহীত
মাহভাশের জন্ম আলিগড়ে। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণজ্ঞাপন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রেডিও জকি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার পর, ইউটিউবে নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্বাধীনতার বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও তৈরির মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন।
মাহভাশের নাম নিয়ে বহু দিন ধরে গুজব চলছিল যে, তিনি চাহালের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। তবে, সরাসরি ক্যামেরায় দেখা যাওয়ার পর, মাহভাশ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলেছেন, "বলেছিলাম না, জিতে ফিরব। আমি ভারত দলের জন্য শুভ শক্তি।"
আরজে মাহভাশ। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে, চাহালও নিজের অনুরাগীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যে, এই ধরনের ভিত্তিহীন খবর না ছড়ানোই শ্রেয়, কারণ এটি তার পরিবারকে কষ্ট দিতে পারে।
ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে চাহালের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক উঠেছিল। ২০২০ সালে তারা বিয়ে করেন, কিন্তু পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের পর, তাদের মধ্যে কোনও ধরনের খারাপ মন্তব্য হয়নি এবং সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ধনশ্রীকে নিয়ে নানা ট্রোলিং শুরু হয়। তবে, ধনশ্রীর পরিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও অর্থ দাবি করা হয়নি এবং এমন কোনও প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরানোর জন্য খুব শিগগিরই একটি বিশেষ আইন করা হবে। তিনি বলেছেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন দেখতে পাবেন।”
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “পাচার করা টাকা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই তৎপর ছিল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বারবার বলে আসছেন যে, এটি বাংলাদেশের মানুষের টাকা এবং এটি ফেরানো সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই টাস্কফোর্স পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
প্রেস সচিব জানান, “টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে সহায়তা করা হবে। প্রায় ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করার পরিকল্পনা চলছে।”
প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন যে, “এটি বাংলাদেশের টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এটি ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।” এ বিষয়ে প্রতি মাসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের পরপরই আরেকটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, “বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠানো হচ্ছে। একটি কেসে দেখা গেছে, শুধুমাত্র টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের অন্যতম উদাহরণ।”
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
এই নতুন আইন দেশের অর্থনীতি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।