বন্যার ক্ষতি জীবন দশায় ফেরত পাওয়া যাবে কিনা সংশয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী
হাওড় অঞ্চলের বন্যায় যে ধরণের ক্ষতি হয়েছে তার নিজের জীবন দশায় ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (৪জুলাই) ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন-ঘন বন্যা: কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা এর আয়োজন করেছে। সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা এর সভাপতি আজিজুল পারভেজ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলটেবিল আলোচনায় হাওর অঞ্চল উঠে আসা বক্তব্যের সমালোচনার তিনি বলেন, সবার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, হাওরের মানুষের তো এমন ভাগ্য নয় যে আজীবন তাদের পানির নিচে বসবাস করতে হবে। তারা সারাজীবন ধূতি পড়ে মাছ ধরবে, আর আপনারা গুলশান বনানীতে আরামদায়ক জীবনযাপন করবেন তা কাম্য হতে পারে না। অথচ দেশের এই পরিবর্তনেও তারা হকদার। তাদের উন্নয়ন করতে গিয়ে অন্যদের সমস্যা হবে এই হিসাব বৈজ্ঞানীরা করবেন। কাজেই এটা নাই ওটা নাই বিবেচনার চেয়ে সমাধানের পথ বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে বিগত ২৫ বছরে যে পরিমাণ সক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই ধরনের বন্যায় শতকরা এক ভাগ লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা, এমন কোনো রাস্তা নেই যার ক্ষতি হয়নি। বন্যার তুলনায় প্রাণহানি কম হয়েছে, তবে আমি কিন্তু বন্যা হোক সেটা চাচ্ছি না। তাই বলে আমরা কি হাওর অঞ্চলে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিব।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, অতি শিগগিরই স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সার্ভেয়ার তৈরি করে বন্যা কবলিত এলাকায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে। বন্যা আর হবে না বলছি না, বন্যা হবে এটা মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকায় আগে ত্রাণ পরবর্তীতে নির্মাণ। যদিও কোথাও কোথাও ত্রাণ চাচ্ছে না, ক্যাশ টাকা চাচ্ছে।
বক্তব্যে রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ড. এম ফিরোজ আহমেদ; সদস্য, পদ্মা সেতু প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্যানেল; ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার; সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন; সাবেক সচিব, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব; সাবেক চেয়ারম্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, ঢাবি, সাবেক চেয়ারম্যান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা , অধ্যাপক ড. জি. এম তারেকুল ইসলাম, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট, বুয়েট, অধ্যাপক ড. কাজী মতীন উদ্দীন আহমেদ; ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শরীফ জামিল; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার; স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মো. আরিফুল ইসলাম, পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইপিডি , ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার-(আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, মুস্তাফিজ শফি, সম্পাদক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
এমএইচ/