এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুরো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এনআইডি ইসিতেই থাকা উচিত এবং সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই, এনআইডি ইসিতেই থাকুক। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব। তবে, কমিশন কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। সরকারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”
সরকারের কাছে কমিশনের অবস্থান লিখিতভাবে জানানো হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সবদিক বিবেচনা করেই সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, সরকার এখনো এনআইডি সেবা কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে এবং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, “এনআইডি যদি ইসি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সেবা সহজ করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে, বিগত সরকার এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য আইন করেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে দেয়। এখন আবারও সরকার এনআইডি আলাদা কমিশনের অধীনে রাখার পরিকল্পনা করছে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনআইডি আলাদা কমিশনে নেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে ১৩ মার্চ থেকে সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।
দুপুরে সিইসির দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বের হয়ে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান।
