ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ কোটি মুসলমানের জন্য রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এই সময় সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সিয়াম পালন করে থাকেন মুসলিমরা। ব্যতিক্রম নন মুসলিম ক্রীড়াবিদরাও, যারা রোজা রেখেই মাঠে নামেন। যদিও দীর্ঘ সময় না খেয়ে ও পানীয় গ্রহণ না করে খেলাধুলায় অংশ নেওয়া সহজ নয়, তবু ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অনেক খেলোয়াড় রোজা রেখেই খেলেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, বুন্দেসলিগা ও লা লিগার মতো শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোতে মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য ইফতারের সময় ৯০ সেকেন্ডের বিরতি দেওয়া হয়। তবে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
চলতি মাসে উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। দলটিতে উসমান ডেম্বেলে, এন'গোলো কান্তে, এলিয়াস গুয়েন্ডোজি, ইব্রাহিমা কোনাটে ও ফেরল্যান্ড মেন্ডির মতো পাঁচজন মুসলিম খেলোয়াড় রয়েছেন। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ রোজা রাখতে পারবেন না।
ফরাসি ফুটবল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ এর আগেও মুসলিম খেলোয়াড়দের প্রতি এমন আচরণ দেখা গেছে। গত বছর ফ্রান্সে ইফতারের সময় রেফারিদের খেলা বন্ধ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে রোজা রাখা খেলোয়াড়রা ইফতার করতে না পারেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিএসজি সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশাল ব্যানারে লিখেছিলেন— "একটি খেজুর, এক গ্লাস পানি, এফএফএফের দুঃস্বপ্ন।"
এছাড়া, মুসলিম খেলোয়াড়দের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে গত বছর ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মিডফিল্ডার মাহামাদু দিয়াওয়ারা ফুটবল ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, "তারা (ফ্রান্স) ইসলাম ধর্মকে সম্মান করে না।"
তবে এফএফএফ সভাপতি ফিলিপ ডায়ালো এ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, "কারো প্রতি কোনো বৈষম্য নেই। কিন্তু যখন আমরা ফরাসি দলে থাকি, তখন আমাদের অবশ্যই দলের কাঠামোকে সম্মান করতে হবে।"
