গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৪ জুলাই) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী লিখেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।
গ্যাস স্বল্পতার কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের জন্য কনের বাড়িতে যাওয়ার পথে মুন্না রাজগড় (২৭) নামে এক বরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দিনগত রাতে উপজেলার মাধবপুর চা বাগান এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্না রাজগড় জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের রাজকী চা বাগানের গড় লাইন এলাকার আসুক গড়ের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা-বাগানের নতুন লাইন এলাকায় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। সাজানো গাড়িতে সেজেগুজে কনের বাড়ির পথে রওনা দেন মুন্না। প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের নতুন লাইন এলাকার সম্পদ রাজগড়ের মেয়ে সুমি রাজগড়ের সঙ্গে মুন্নার বিয়ের কথা ছিল। আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাজেদুল কবীর জানান, "হাসপাতালে আনার পর তার পালস ও শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ পাই। তারপরও নিশ্চিত হতে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।"
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক শামিম আকিজ বলেন, "এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।"
মুশফিকুর রহিম ও তার স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মন্ডি। ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটকে আচমকাই বিদায় বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবের একজন মুশফিকুর রহিম। তার এমন সিদ্ধান্তের পর থেকেই সাবেক-বর্তমানদের কেউ করছেন স্মৃতিচারণ, কারও কণ্ঠে ঝড়ছে প্রশংসা। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন টাইগার ব্যাটারের স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মন্ডি। ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ওজু ছাড়া ব্যাটও ছুঁতেন না মুশফিক।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মুশফিককে নিয়ে তার স্ত্রী লেখেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, তোমার অসাধারণ ওয়ানডে ক্যারিয়ার কেটেছে। নিজের প্রতি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি, ভাঙা পাঁজর নিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে একসঙ্গে ২০টি পেইনকিলার নিয়েও খেলতে দেখেছি! তুমি কখনও নিজের জন্য খেলোনি, দলের জন্য এবং দেশপ্রেমের জন্য খেলেছো।'
মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত মন্ডির ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
অযু ছাড়া মুশফিক ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, 'এমন একজন সৎ মানুষ পাওয়াটা আশীর্বাদ, যিনি অযু না করে কখনোই তার ব্যাট ও বল স্পর্শ করতেন না।'
অতিরিক্ত সমালোচনা না করার অনুরোধ করে মুশফিকের স্ত্রী আরও লেখেন, 'আমি বিশ্বের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দয়া করে এমন পর্যায়ে সমালোচনা করবেন না যে, কাউকে আপনার জন্য প্রাথনার আসনে বসে কাঁদতে হয়। আমরাও মানুষ।'
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৫-এ পাকিস্তান, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। নতুন সূচকে ৩.০৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম, যা ২০২৪ সালে ছিল ৩২তম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) মঙ্গলবার এই সূচক প্রকাশ করে। ২০২৪ সালের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই সূচকে ১৬৩টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সূচকের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো, যার স্কোর ৮.৫। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান (৮.৩) এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে সিরিয়া (৮.০)। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আফগানিস্তান, যা ৭.২ পয়েন্ট নিয়ে নবম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া প্রথম ১৫ দেশের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার (১১তম, ৬.৯ পয়েন্ট) ও ভারত (১৪তম, ৬.৪ পয়েন্ট)। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় সূচকে দেশের অবস্থান উন্নতির দিকেই রয়েছে।
বাংলাদেশের ঠিক এক ধাপ ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৩.৫ স্কোর নিয়ে ৩৪তম অবস্থানে)। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান, যাদের স্কোর ০। নেপালের অবস্থান ৬৮তম, স্কোর ১.১।
জিটিআই ২০২৫-এর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। ছবি: জিটিআই
জিটিআই সূচকের সর্বোচ্চ স্কোর ১০, যেখানে ০ স্কোর মানে কোনো সন্ত্রাসবাদী প্রভাব নেই। স্কোর ২-এর মধ্যে হলে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ‘বেশ কম’, ২ থেকে ৪-এর মধ্যে হলে ‘কম’, ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে হলে ‘মধ্যম’, ৬ থেকে ৮-এর মধ্যে হলে ‘বেশি’ এবং ৮ থেকে ১০-এর মধ্যে হলে ‘খুব বেশি’ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ ৩.০৩ স্কোর নিয়ে ‘কম’ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে।
২০২৪ সালে চারটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জন্য চারটি গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলো হলো— ইসলামিক স্টেট (আইএস), জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম), তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), আল-শাবাব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদজনিত সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল। বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই অঞ্চলে মারা গেছে। এছাড়া ২০২৪ সালে বিশ্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ১৯ শতাংশই সাহেল অঞ্চলে ঘটেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদজনিত সহিংসতার শিকার শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৫টি দেশ সাহেল অঞ্চলের।