তিস্তা চুক্তিও করবেন প্রধানমন্ত্রী: এনামুল হক
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আপাতত বন্যার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই, যদি হঠাৎ করে কোনো ব্যত্যয় ঘটে। জলাভূমি কমেছে, সংরক্ষিত এলাকাতেও মানুষের থাবা পড়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বসে নেই তাই জলাভূমি কমা রোধে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সিলেটবাসীর কষ্ট লাঘব করার জন্য যা প্রয়োজন তা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মানবতার দল। দলটির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও সব সময় মানবতার পাশে থাকে। স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ইউনিয়নের মেম্বার সবাই কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার দুর্গত মানুষের পাশে আছি, থাকব।’
সোমবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন-ঘন বন্যা: কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা এর আয়োজন করেছে।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মীরা, সরকার ও দল সবসময় মানবতার পাশে ছিল আছি। হাওর অঞ্চলসহ সারাদেশে কীভাবে বন্যা, নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি, কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আন্ত:সীমায় ২৫টি নদীর ডেটা নাই। ১৫/১৬ নদীর ডেটা আছে। তাই ৫৪টি নদীর ডেটা সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। গঙ্গা চুক্তির আগে নানা সমালোচনা করা হয়েছে তারপরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গা চুক্তি সই সাক্ষর হয়, তেমনি ভাবে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তিস্তা নদীর চুক্তিও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা এর সভাপতি আজিজুল পারভেজ সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, মো. শাহাব উদ্দিন, মন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, ড. এম ফিরোজ আহমেদ; সদস্য, পদ্মা সেতু প্রকল্প বিশেষজ্ঞ প্যানেল, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, সাবেক সচিব, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব, সাবেক চেয়ারম্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, ঢাবি, সাবেক চেয়ারম্যান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা , অধ্যাপক ড. জি. এম তারেকুল ইসলাম, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট, বুয়েট, অধ্যাপক ড. কাজী মতীন উদ্দীন আহমেদ, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শরীফ জামিল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার; স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মো. আরিফুল ইসলাম, পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইপিডি, ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, মুস্তাফিজ শফি, সম্পাদক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
এমএইচ/এমএমএ/