নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হলে তারা খুশি হবেন: সিইসি
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে উন্নত দেশগুলো খুশি হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা। তারা চান বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবিষয়ে ইসির যা করণীয় সেটা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার (৩ জুলাই) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে অংশ নিয়ে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৪টি দেশের কূটনৈতিকরা এমন অবস্থানের কথা জানান। উন্নত ৩৮টি দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক সংগঠন হচ্ছে ওইসিডি। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, তারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন তারই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। তারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই তারা ইলেকশনটা যদি ইনক্লুসিভ, অ্যাকসেপ্টবল, ফ্রি এবং ফেয়ার হয়, তাহলে তারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবেন এই আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন। আমরা আমাদের দিকে থেকে ইলেকশন কমিশন হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় আমরা করবো। উনারা প্লিজড। বলেছি ভবিষ্যতেও যখন প্রয়োজন হয়, আসবেন।
কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা কিছু বলেছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন- ওরা যেটা বলেছে সহযোগিতা করার কথা। আমরা চট করেই নিজেরা কিছু বলিনি। আমরা বলেছি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখবো। কোনো টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা তাদের জানাবো।
কী ধরণের সযোগিতা করবে এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা বলেছি সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখবো। আমরা এখনো সহযোগিতা চাইনি।
সক্ষমতা বাড়ানোর সহযোগিতা নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ইলেকশন রিলেটেড। যেটা হতে পারে ভোটার এডুকেশন, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয় হতে পারে। আমি তো বলেছি আমরা তাদের জানাইনি এখনো। আমরা যদি মনে করি কোনো রকম সহযোগিতা বা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স বা ট্রেনিং প্রয়োজন হবে, তখন তাদের জানাবো। এজন্য নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কী ধরণের সহযোগিতা উনারা দেবেন বা আমরা কী ধরণের সহযোগিতা চাইবো। তারা পর্যবেক্ষন করে কথা বলেছেন-আমরা বলেছি আমাদের এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিকলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। ফরেন ওবজারভারদের বিষয়ে আপনারা ফরেন মিনিস্ট্রিতে একটু কথা বলে দেখতে পারেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্বের বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা তেমন কিছু বলেনি। তারাও খুব ভালো করেই জানেন এখনো কিছু কিছু দল ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারাও বিশ্বাস করেন, আমরাও চেষ্টা করে যাবো, যেন ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসএম/এএস