পদ্মা সেতুর জন্য মন্ত্রিসভায় অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ
ফাইল ফটো
পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং উদ্বোধনের জন্য অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা।
রবিবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অভিনন্দন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। অপরদিকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে তার পাশে থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এর সব কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগণের। এভাবে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাদের শক্তি (আমার জন্য) সবচেয়ে বড় শক্তি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মী এবং কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার উত্তরে বলেছেন, ‘এই শুভেচ্ছা আমার দেশের জনগণের জন্য। আমার জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু তৈরি করাটাই একটি ইতিহাস। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী এবং সচিব যারা ছিলেন অর্থ বরাদ্দে এতটুকু কার্পণ্য করেননি বরং কিভাবে আমরা নিজেদের টাকায় করতে পারি সে জিনিসটি আরও সহজ করে দিয়েছেন।
তিনি এজন্য অর্থমন্ত্রণালয়সহ কেবিনেট এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০১২ সাল থেকেই তো এই যুদ্ধ শুরু। কত অপবাদ, ষড়যন্ত্র এরজন্য মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর সব থেকে দুঃখজনক যে আরও আগে সেতুর কাজ শুরু করা গেলে আরও আগেই শেষ করা সম্ভব হতো।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেতু নির্মাণের ফলে মানুষের জীবন-জীবিকার আমুল পরিবর্তন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু তৈরির আগে প্রতিবছরই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা দেখা দিত অথচ এই একটি সেতু নির্মাণের পর সেখানের মঙ্গা আর নেই। সেখানে পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সাপ্লাই চেইন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইলিশের মওসুম এসে যাওয়ায় রাজধানীতে বসেই তাজা ইলিশ প্রাপ্তিও সম্ভব হবে, অন্যদিকে জেলেরাও লাভবান হবে।
তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা বিরাট মাইলফলক।
এনএইচবি/আরএ/
