আমলকি খেলে যাদের সমস্যা হতে পারে
শীত পড়তে শুরু করেছে। আর এ সময় নানা ধরনের জ্বর, হজমের অসুবিধাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাপমাত্রা কমার জেরে বায়ুদূষণের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়।
এ পরিস্থিতিতে অনেকেই মৌসুমি ফল খাওয়ার কথা বলেন। এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল আমলকি। এর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
আমলকি ত্বক ও চুল ভালো করা থেকে শুরু করে হজমের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শীতকালে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে আমলকি। তাই নিয়মিত এ ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা।
কিন্তু আমলকি কি সবার জন্যই ভালো; কারও কী ক্ষতিও হতে পারে ফলটি খেলে?
অতিরিক্ত আমলকি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সুস্থ থাকতে আমলকি কতটুকু খাবেন ও অতিরিক্ত আমলকি খেলে কী হতে পারে-
১. ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি সর্দি-কাশি সারাতে কাজে লাগে। কিন্তু এ ভিটামিন সি’র উপস্থিতি এ ফলে অ্যাসিডের পরিমাণও বাড়ায়। যাদের গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি, নিয়মিত আমলকি খেলে তাদের সেই সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
২. জুস বা অন্য কোনওভাবে খাওয়ার থেকে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক-দুইটি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনে এর বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৩. আমলকিতে আছে অ্যান্টিপ্লেটলেট শক্তি। এর প্রভাবে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে। ফলে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আমলকি। কিন্তু যাদের রক্ত পাতলা হওয়ার সমস্যা আছে, তাদের আমলকি না খাওয়াই ভালো। তাহলে রক্ত আরও পাতলা হয়ে যেতে পারে। সাধারণ কাটাছেঁড়ার পরেও রক্তপাত বন্ধ হতে সমস্যা হতে পারে।
৪. কোনো অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা থাকলেও আমলকি খাওয়া বন্ধ রাখতে পারেন। কারণ রক্ত বন্ধ না হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অস্ত্রোপচারের পর রক্তপাত বন্ধ না হলে টিস্যু হাইপক্সেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৫. অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৬. আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জিও হতে পারে। এ ছাড়াও পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।
৭. এ ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর-সর্দি বা কাশি হতে পারে।
এসএন