বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেট্রোরেল লাইন-৬

১৬ স্টেশন, ট্রেন চলবে ১০০ কিলোমিটার বেগে

স্বপ্নের মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলেই ঢাকাবাসী যোগাযোগের ক্ষেত্রে নবযুগে প্রবেশ করবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের একাংশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে চায় সরকার। এ জন্য উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞের একটা বড় অংশ হচ্ছে মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণ।

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর আওতায় থাকবে ১৬টি স্টেশন। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত এই স্টেশনগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে জনবহুল এলাকা এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায়। ইতিমধ্যে চারটি স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। যেগুলোতে বর্তমানে নিয়মিত মেট্রোরেলের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা চলছে।

২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন থাকবে যথাক্রমে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। এর জন্য রেললাইন, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও স্টেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ অংশে বাণিজ্যিক চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে শুরু করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে মানুষের ঘনত্বের বিষয়টি। মিরপুর এলাকা জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এবং ওই এলাকায় বাসবাসকারি জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ কর্মসূত্রে প্রতিদিন সকালবেলা নগরীর ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, সচিবালয়, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় যাতায়াত করেন। যাদেরকে কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। যুদ্ধ করতে হয় গন্তব্যের যানবাহন ধরতে। মেট্রোরেল লাইন-৬ চালু হলে তাদের এই কষ্ট লাঘব হবে।

বাড়ছে মতিঝিল পর্যন্ত

মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রথমে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পরবর্তিতে এটির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে কমলাপুর পর্যন্ত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে সায়ও দিয়েছেন। ইতিমধ্যে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার জন্য কাজও শুরু করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই অংশের পূর্ণাঙ্গ নকশা ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এর আগে সামাজিক সমীক্ষা, ঘরবাড়ির জরিপ, ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, পুনর্বাসন পরিকল্পনা. পরিবেশের উপর কি প্রভাব ফেলবে তার মূল্যায়ন এবং মৌলিক নকশা তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে।

ডিপোতে এখন সাত সেট ট্রেন

জাপান থেকে মেট্রোরেলের রেল কোচ আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। প্রথম রেল কোচ বা ট্রেন সেট দেশে আসে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল। এরপর পর্যায়ক্রমে গত ৩ জুন, ১৯ ও ২০ আগস্ট এবং ৭, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ছয় সেট রেল কোচ (ট্রেন) উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সেটের কার্যকরী পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখন তৃতীয় থেকে সপ্তম সেট ট্রেনের কার্যকরী পরীক্ষার কাজ চলছে।

অন্যদিকে, ভায়াডাক্টের উপর দুই দফা ট্রেন চলাচলের পরীক্ষা শেষে গত ২৩ অক্টোবর থেকে প্রথম সেটের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা চলবে ছয় মাস। এরপর তিন মাস চলবে সমন্বিত পরীক্ষা। এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরুর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে পাঁচ মাস। এরপরই আগামী বছরের ডিসেম্বরে সরাসরি যাত্রী পরিবহনে আসবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।

১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে

দেশের প্রথম মেট্রোরেল ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে। যা দেশে কোনো ট্রেনের সবচেয়ে বেশি গতিতে চলার রেকর্ড। মেট্রোরেলের ট্রেনগুলোর সবকিছু জাপানে তৈরি হলেও ট্রেনের ব্রেক সিস্টেম ও এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট আনা হয়েছে যথাক্রমে জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া থেকে।

মেট্রোরেল সূত্রে জানা গেছে,আগামী বছর ডিসেম্বরে মেট্রোরেল যখন চালু হবে তখন গড়ে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পর পর একটি ট্রেন চলবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। তবে গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টায় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টায় ট্রেনের সময় বাড়বে ও কমবে। মেট্রোরেলের যে সাত সেট কোচ বা ট্রেন দেশে আনা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে ছয়টি করে কোচ রয়েছে। এতে একসঙ্গে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব দুই হাজার ৩০৮ জন।

ভাড়া নির্ধারণ হচ্ছে শিগগির

ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলে এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যেতে প্রত্যেক যাত্রীকে কত টাকা গুনতে হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ভাড়া নির্ধারণ করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তারা যাত্রী ভাড়ার একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি সেটি পরীক্ষা করে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রারেল চালানোর ক্ষেত্রে খরচসহ সবিকিছু বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। বিশেষ করে মানুষের সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। বাস বাড়ার চেয়ে যদি মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি হয়ে যায়, তাহলে যাত্রীরা মেট্রোরেল ব্যবহারে অনাগ্রহ দেখাতে পারেন। আবার ভাড়া এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন মেট্রোরেলের খরচ উঠানো যায়।

ভাড়া নির্ধারণের সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। খুব শিগগির ভাড়া বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারপর এ সংক্রান্ত একটা কমিটি আছে, তারা এটা পরীক্ষা করবে। এরপর তারা সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।’ কবে নাগাদ ভাড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মাস খানেক লাগবে।’

এসএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া