ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর ঈদযাত্রায় তুলনামূলকভাবে কম দুর্ঘটনা ঘটলেও ঈদের দিনেই দেশের ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে চট্টগ্রামে, যেখানে এক দুর্ঘটনাতেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম: লোহাগড়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত ৯ জন। নিহতরা সবাই টেকনাফের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ছিলেন।
বগুড়া: শেরপুরে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত। এক ঘটনায় বাবা-মেয়ে বাসচাপায় প্রাণ হারান।
মেহেরপুর: মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস ও পাখিভ্যানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৩ জন।
গাজীপুর: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে এক নারী ও এক শিশুসহ ২ জন নিহত, আহত ৪ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আরও ২ জন আহত।
কিশোরগঞ্জ: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত।
ফরিদপুর: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিহত।
নাটোর: মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে এক যুবকের মৃত্যু।
মাগুরা: সড়ক পার হওয়ার সময় এক নারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত।
ঝিনাইদহ: আলমসাধুর চাপায় এক শিশুর মৃত্যু।
এই ঈদের দিনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল সম্পর্কিত। কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, আবার কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল অন্য যানকে ধাক্কা দিয়েছে বা চাপা দিয়েছে।
সতর্কতা ও করণীয়
- চালকদের আরো সচেতন হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
- ঈদে অতিরিক্ত ভিড় ও যানবাহনের চাপ থাকায় যাত্রীদেরও সতর্ক হতে হবে।
- মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ঈদের আনন্দ যেন শোকের ছায়ায় ঢেকে না যায়, সে জন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে রাস্তায় চলাফেরা করতে হবে।
