সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে লাগবে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর বিদ্যমান নীতিমালা যুগোপযোগী করে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে ন্যূনতম পাঁচ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মেয়াদ হবে তিন বছর। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা ২০২৫ এ এসব নীতিমালার কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ নীতিমালা ‘প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা-২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ বা প্রচারের কাজে নিয়োজিত দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে (আজ থেকে) কার্যকর হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের অনুকূলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু, নবায়নের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়োজিত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিলসহ নাম ও পদবি উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে প্রধান তথ্য অফিসার বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির জন্য তথ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত আবেদন ফরমের সংশ্লিষ্ট স্থানে এতদুদ্দেশ্যে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়োজিত কর্মকর্তার সুপারিশকৃত হতে হবে। গণমাধ্যম এতদুদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ সুপারিশ করলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের আবেদন বিবেচনা করা হবে না। আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে ন্যূনতম ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি মিডিয়ায় প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রথম প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত আবেদন ফরমে সুপারিশের স্থানে আবেদনকারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন থাকতে হবে। এছাড়া নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল প্রত্যয়ন/নিয়োগপত্র নিয়োগকারীর অফিসিয়াল ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

এ ধরনের কার্ড নবায়নের ক্ষেত্রেও কার্ড ইস্যুর অনুরূপ শর্তাবলি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় কার্ড নবায়ন করা হবে না। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু, নবায়ন অথবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, যে-কোনো সময় আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যেকোনো তথ্য চাইতে পারবে। অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে নিরাপত্তা প্রশ্নে পুলিশ ভেরিফিকেশন করাতে পারবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হারিয়ে গেলে নিকটবর্তী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে এবং এর অনুলিপি সংযুক্ত করে পুনরায় কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে, পুনরায় কার্ড ইস্যুর বিষয়টি প্রধান তথ্য অফিসার বিবেচনা করবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড আবশ্যিকভাবে তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে। সময়ের ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কার্ডধারীর অনুকূলে কোনো প্রকার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বা নবায়ন করা হবে না।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে প্রতি বছর ৭ জানুয়ারির মধ্যে ন্যূনতম (ছয়) মাসের জন্য সাংবাদিকদের অপরিবর্তনীয় হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে হবে। বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সাংবাদিকদের অপরিবর্তনীয় হালনাগাদ তালিকা পাঠাতে হবে। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলে তার বর্তমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তিনি নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী ব্যক্তি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে বিরত থাকলে অথবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান তথ্য অফিসারকে লিখিতভাবে তা জানাবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তথ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠাবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুর কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশনা বা সম্প্রচারের লাইসেন্স/নিবন্ধন বাতিল করা হলে কিংবা বন্ধ হলে অথবা ডিএফপি মিডিয়া তালিকা থেকে বাদ গেলে কিংবা গণমাধ্যম প্রতিনিধির মৃত্যু হলে বা তিনি মিডিয়া থেকে চাকরিচ্যুত হলে অথবা পদত্যাগ করলে উক্ত গণমাধ্যমের প্রতিনিধির অনুকূলে প্রদত্ত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যবহার করে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রধান তথ্য অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি অ্যাক্রিডিটেশন কমিটিতে পাঠাবেন।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কর্মরত সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ‘কোড অব কনডাক্ট’ বা এই নীতিমালার কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে কমিটি তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করবে এবং তথ্য অধিদপ্তর তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে অথবা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে প্রধান তথ্য অফিসার কার্ড বাতিলের জন্য প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির নিকট সুপারিশ করতে পারবেন।

রাষ্ট্রীয় কোনো কর্মসূচির নিউজ কাভারেজ কিংবা অন্য কোনো পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আগত বিদেশি সাংবাদিকদের সাময়িকভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া যাবে। তবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন শেষে ৭ দিনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে উক্ত কার্ড প্রধান তথ্য অফিসার বরাবর ফেরত দিতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের সুবিধাপ্রাপ্ত সাংবাদিক সরকারের বিভিন্ন সংবাদ উৎস, তথ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক ইস্যুকৃত সংবাদ ম্যাটেরিয়াল, স্থিরচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও লিখিত তথ্য প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বিধান অনুসরণ করে প্রবেশাধিকার পাবেন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বা বাতিল প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি করবে। কারও কার্ড বাতিল হলে বা কমিটির কোনো সিদ্ধান্তে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি আপিল কমিটিতে আপিল করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু ও বাতিলের ক্ষেত্রে আপিল কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তবে প্রধান তথ্য অফিসার যৌক্তিক কারণে কোনো কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন যা পরবর্তী সময়ে কমিটি কর্তৃক অনুমোদন করতে হবে।

কোনো আবেদনকারী বা গণমাধ্যম প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসত্য, প্রতারণামূলক/জাল তথ্য বা প্রমাণক সরবরাহ করলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ওই আবেদনকারী বা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন ২ বছর হতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবে। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কোনো ব্যক্তি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার করলে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

তবে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যাবহার করে গুরুতর অপরাধ করলে প্রধান তথ্য অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্থগিত করতে পারবেন, যা পরবর্তী সময়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডটি স্থগিত থাকবে এবং বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কার্ডটি বাতিল হবে। তবে আপিল আদালতে বা চূড়ান্তভাবে নির্দোষ সাব্যস্ত হলে তিনি পুনরায় কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হবে ডিজিটাল।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের নিয়মাবলি বিষয়ে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক/কলামিস্টগণ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবেন। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকগণ পেশাগত এবং প্রধান তথ্য অফিসার নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যাদি প্রদান সাপেক্ষে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্য হবেন।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং মূলধারার গণমাধ্যমে বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রচার বা প্রকাশের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। প্রতিবেদনগুলো প্রধান তথ্য অফিসার যাচাই সাপেক্ষে কমিটিতে উপস্থাপিত হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে কর্মরত সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারদের মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে। তবে কার্ড প্রদানের সংখ্যা কোনোক্রমেই মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না এবং একক কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না।

উল্লিখিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্যাডে সিলসহ প্রদান করতে হবে। এই তালিকায় উল্লিখিত সাংবাদিকের বেতন ও নিয়োগ প্রাপ্তির প্রমাণাদিসহ অন্য যেকোনো তথ্য অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যাচাই-বাছাই করবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্যে ভুল পাওয়া গেলে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা সর্বনিম্ন ২ বছর হতে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত স্থগিত করা যাবে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দেশটির প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মুসলিম আমেরিকানদের কর্মস্থলে ছুটির প্রয়োজন হয়নি, পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের বিশেষ আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। তবে অভিবাসন মর্যাদার অভাবে কিছু প্রবাসী ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেননি।

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রধান প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, ব্রুকলিনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, কুইন্সের আল আমিন মসজিদ, ওজোনপার্কের আল আমান মসজিদ এবং ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে। এছাড়া, নিউজার্সি, ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, শিকাগো, টেক্সাসসহ অন্যান্য রাজ্যের মসজিদগুলোতেও একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাতকে ঘিরে প্রবাসী মুসলিমদের মধ্যে ছিল বিশেষ আয়োজন। মহিলাদের পাশাপাশি শিশু-কিশোর ও তরুণদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। মসজিদভিত্তিক কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়, যাতে মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর তিনি উদযাপন করছেন সেখানে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবির সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন— "ঈদ মোবারক।"

তারেক রহমান লিখেছেন, ১৭ বছর ধরে নিপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছিলেন। ২০২৪ সালে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে। প্রায় দুই দশক পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। তিনি শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা এখনো সেই সংগ্রামের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সব দেশবাসীকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। বিশেষভাবে এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যাতে কেউ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।

এছাড়া, তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান, যাতে মানুষ বাড়ি ফেরার পথে বাড়তি দুর্ভোগে না পড়ে।

তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য কিছু চক্র এখনো সক্রিয়। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান। যদি জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যর্থ হয়, তবে এই শক্তিগুলো অর্জিত বিজয়কে দুর্বল করার চেষ্টা করবে বলে সতর্ক করেন।

সবশেষে তিনি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঈদের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি করতে না পারে।

তিনি প্রার্থনা করেন, স্বাধীন বাংলাদেশের এই প্রথম ঈদ সবার জন্য শান্তি, ঐক্য এবং আনন্দ বয়ে আনুক।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া ও সদর উপজেলার সাহেব কাচারী-সংলগ্ন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিক উদ্দিন জানান, মৃত ব্যক্তিরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বাচর গ্রামের ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৯৫), একই এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী দিলরুবা (৪০), ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলামের মেয়ে দিলরুবা (৭) ও তার বড় বোন রীতি (১৪)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে দ্রুতগতির বালুবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার