বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তরুণ-যুবকদের কুরে খাচ্ছে মাদক!

আজিমপুর রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে প্রথমে সিগারেট পরে মাদকে আসক্ত হয় মো. জাহাঙ্গীর। করোনাকালে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলে ১৫ সদস্যের কিশোর গ্যং।

তারপর থেকেই বেপরোয়া জাহাঙ্গীর গ্রুপ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ও সরকারি কোয়ার্টারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। কেউ বাধা দিলে সে কোয়ার্টারের দায়িত্বরত গার্ডদের মারধর করে। পুলিশের অভিযানে কয়েক বার ধরা পড়লেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ‘শয়তানের কপালে দুঃখ আছে। ও খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে। ওর উপর থেকে সন্তানের দাবি ছেড়ে দিয়েছি। যা মন চায় তাই করুক। ওর কারণে আমি মানুষের কাছে যেতে পারি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মকর্তার মেয়ে। পরে অনার্সে স্টামফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়। তার পিতা আফসোস করে বলেন, মেয়েটা ঘর ছাড়া হয়ে গেল। ওরে বিয়ে দেব, চাকরি দেব। কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনে না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং জোরে জোরে কথা বলে।

শুধু জাহঙ্গীর বা ওই মেয়ে শিক্ষার্থীই নয়। এ রকম শত শত কিশোর, তরুণ, যুবক প্রতিদিনই মাদকে আসক্ত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শহর কী গ্রাম সব জায়গায়ই মাদকাসক্তদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে।

মাদকের লাগামহীন বিস্তারে নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালো কার্যক্রম বা তৎপরতা নেই। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির মতো অপরাধ। মাদকসেবীরা মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

মাদকের এমন বিস্তারে সচেতন অভিভাবকরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দুশ্চিন্তায় স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে। তারা বলছেন, মাদকের ভায়াবহতা বাড়লেও এটি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সন্তানদের খেয়াল না রাখলে যেকোনো সময় তারা মাদকে আসক্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের সঙ্গ দিচ্ছেন স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া পথে।

অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এ বিষয়ে ছেলে মেয়েদের ছোট থেকেই কাউন্সেলিং বা পড়াশোনা করানো দরকার।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রের পিতা আযম আলী মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সকালে স্কুলে বাচ্চাকে নিজেই নিয়ে আসি। স্কুল শেষে ওর মা এসে নিয়ে যায়। একদিকে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ অন্যদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। এ জন্য আমার স্ত্রীকে বলেছি যতই কষ্ট হোক ছেলেকে একা কোথাও ছাড়বে না এবং কার সঙ্গে মিশছে সেটাও খেয়াল রাখবে।’

ঢাকা সিটি কলেজে শিহাবুলের বাবা রিয়াদ চোধুরী বলেন, ‘আমি ব্যাংকে চাকরি করি। প্রতিদিন সকালে আমার গাড়িতে করে ছেলেকে কলেজে নামিয়ে দেই। ক্লাস শেষ হলে ও কলেজের শিক্ষকের মোবাইল দিয়ে ফোন করে, তখন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেই বা নিজেই গিয়ে এক সঙ্গে বাসায় চলে যায়।’

তিনি বলেন, এখন ছেলে-মেয়েদের খোঁজ-খবর না নিলে ওরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ জঙ্গিদের লাইনে আবার কেউ খারাপ বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। এ জন্যই এত সতর্কতা।’

তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব (ছন্মনাম)। সে অসৎ বন্ধুদের সঙ্গে চলে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাদকের টাকা যোগাতে সে বাসা থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত। তার পিতা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আফসোস করে বলেন, ছেলেটা যে কবে মাদকে আসক্ত হলো আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না! ওকে ধরে জোর পূর্বক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চিকিৎসা করতে ভর্তি করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, এখন ছেলে মেয়েরা মাদকে আসক্ত হওয়ার মূল কারণ হলো অবাধ স্বাধীনতা এবং সোসাল নেটওয়ার্কের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। অনেক অভিভাবক আছেন যে তারা সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন না।

গাড়ি চালক বা কাজের লোক দিয়ে বাচ্চাদের তদারকি করান। তাদের সঙ্গে পিতা-মাতা না আসায় অনেক বাচ্চা মন খারাপ করে। অন্য বন্ধুদের দেখে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কোনো তাদের বাবা-মা স্কুল-কলেজে তাকে নিতে আসেনি? এসব নিয়ে একাকিত্বে ভোগে অনেক ছেলে মেয়েরা। এজন্য বাচ্চাদের বড় হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে থাকা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু, কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দিনদিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাদকাসক্তির কারণে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে ইয়াবা সেবন বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সবাইকে এর কুফলগুলো ভালো ভাবে সমাজে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা এককভাবে মাদক দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সামাজিক ভাবে সবাইকে মাদককে না বলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘দিনদিন মাদকের চাহিদা বাড়ছে যার কারণে এতে আসক্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সমাজ ধংস হচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো যথাযথ উদ্যোগ চোখে পড়ে না।’

তিনি বলেন, অপরাধীকে নয় অপরাধকে না বলুন। মাদকের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী এবং বহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

তৌহিদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বের হতে হলে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া তেমন কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া