বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিন দফায়ও শেষ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংস্কার কাজ

তিন বছরেও শেষ করা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সভাকক্ষকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকমানে উন্নত করার কাজ। গত জুন পর্যন্ত আর্থিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৪২ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন কাজ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে।

কিন্তু নির্ধারিত সময় তো দূরের কথা— তিন দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ করা যায়নি। এবার চতুর্থবারের মতো সময় বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রুচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কার কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রুচিশীল ও সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কাজও শুরু হয় ছোট এ প্রকল্পটির। কিন্তু তিন বার সংশোধন করেও শেষ করা যায়নি।

এবার চতুর্থবার সংশোধনের প্রস্তাব করা হলে মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে ৩টি শর্তে সুপারিশ করেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সুপারিশে বলা হয়েছে—বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ব্যাংকুয়েট হল নির্মাণ, পলাশ হলের পরিবর্তন, ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়া হলের পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ বিভিন্ন সভাকক্ষের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিপিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও ছাড় করতে হবে। কোনো অঙ্গের ব্যয় প্রকল্প দলিলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে যেন বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২০২২ সালের জুন থেকে কার্যকর হওয়া সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকার ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বিনিয়োগ প্রকল্প সংশোধনের ব্যাপারে (৪.১.২ এ) উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো প্রকল্প দুইবারের বেশি সংশোধন করা যাবে না। বিশেষ কারণে তৃতীয়বার বা তৎপরবর্তী সংশোধনের ক্ষেত্রে অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করতে হবে। তারই অংশ বিশেষ অবহিত করার জন্য প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়।

যে কোনো প্রকল্প সংশোধন করতে হলে আইএমইডির সুপারিশ লাগে। বারবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে আইএমইডির সচিব আবু হেনা মো. মোর্শেদ জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। আইএমইডি ও পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব প্রদীব রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যেহেতু আমি বর্তমানে দায়িত্বে নেই। তাই কিছু বলা যাবে না। ছোট এ প্রকল্প আপনার সময়েও সংশোধন হয়েছে। এমন প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলেই না দেখে কিছু বলা যাবে না। এটাই স্বাভাবিক।

ছোট প্রকল্প হলেও চতুর্থবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজে কোনো উত্তর না দিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী (প্রজেক্ট) সার্কেল-১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে কোনো উত্তর পাওয়া না গেলেও পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এ অনুমতি পেতে দেরি হয়। বিধায় যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপত্তা অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু করা সম্ভব হয় না। বিধায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল।

তবে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এই মেয়াদে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পরিপত্র অনুসারে পিআইসি ও পিইসি সভা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে এক হাজার ২৭৫ বর্গমিটার শাপলা হলের সংস্কার কাজ, ৩৭০ বর্গমিটার পলাশ হলের, ৫১৪ বর্গমিটার মাশরুম হলের, ৫৭ বর্গমিটার শিমুল কল-অন রুমের, ২৩২ বর্গমিটার জেনারেল ক্যাফেটেরিয়ার, ২৪২ বর্গমিটার ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার, ১০০ বর্গমিটার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের, ১৭০ বর্গমিটার আইসিসি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের অফিস কক্ষগুলোর, ১২১ বর্গমিটার আইসিটি ব্লকের, ১২২ বর্গমিটার সচিব সভা কক্ষের, ১২৫ বর্গমিটার কেবিনেট হল লাউঞ্জের, এক হাজার ৯৫১ বর্গমিটার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন ব্লকের ছাদের সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৯৬টি আসবাবপত্র কেনা হবে। ২ হাজার ৯০৩ বর্গমিটার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রতিস্থাপন কাজ, ২০০ বর্গমিটার টেরাকোটা সরবরাহ ও সংস্থাপন কাজ, ১০০ বর্গমিটার পেইন্টিংস সরবরাহকরণ, ১২০ বর্গমিটার ২টি স্টোর এবং ২৬০ বর্গমিটার ব্যাংককুয়েট হল নির্মাণ কাজ করা হবে।

সূত্র জানায়, অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া দুই বার সংশোধন করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে তৃতীয়বার সংশোধন করে মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তারপরও মাত্র ৪২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তাই বাকি কাজ শেষ করতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া