সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিন দফায়ও শেষ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংস্কার কাজ

তিন বছরেও শেষ করা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন সভাকক্ষকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকমানে উন্নত করার কাজ। গত জুন পর্যন্ত আর্থিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৪২ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন কাজ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে।

কিন্তু নির্ধারিত সময় তো দূরের কথা— তিন দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ করা যায়নি। এবার চতুর্থবারের মতো সময় বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রুচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কার কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রুচিশীল ও সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কাজও শুরু হয় ছোট এ প্রকল্পটির। কিন্তু তিন বার সংশোধন করেও শেষ করা যায়নি।

এবার চতুর্থবার সংশোধনের প্রস্তাব করা হলে মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে ৩টি শর্তে সুপারিশ করেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সুপারিশে বলা হয়েছে—বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ব্যাংকুয়েট হল নির্মাণ, পলাশ হলের পরিবর্তন, ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়া হলের পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ বিভিন্ন সভাকক্ষের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিপিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও ছাড় করতে হবে। কোনো অঙ্গের ব্যয় প্রকল্প দলিলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে যেন বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২০২২ সালের জুন থেকে কার্যকর হওয়া সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকার ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বিনিয়োগ প্রকল্প সংশোধনের ব্যাপারে (৪.১.২ এ) উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো প্রকল্প দুইবারের বেশি সংশোধন করা যাবে না। বিশেষ কারণে তৃতীয়বার বা তৎপরবর্তী সংশোধনের ক্ষেত্রে অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করতে হবে। তারই অংশ বিশেষ অবহিত করার জন্য প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়।

যে কোনো প্রকল্প সংশোধন করতে হলে আইএমইডির সুপারিশ লাগে। বারবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে আইএমইডির সচিব আবু হেনা মো. মোর্শেদ জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। আইএমইডি ও পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব প্রদীব রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যেহেতু আমি বর্তমানে দায়িত্বে নেই। তাই কিছু বলা যাবে না। ছোট এ প্রকল্প আপনার সময়েও সংশোধন হয়েছে। এমন প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলেই না দেখে কিছু বলা যাবে না। এটাই স্বাভাবিক।

ছোট প্রকল্প হলেও চতুর্থবার সংশোধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজে কোনো উত্তর না দিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী (প্রজেক্ট) সার্কেল-১ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে কোনো উত্তর পাওয়া না গেলেও পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এ অনুমতি পেতে দেরি হয়। বিধায় যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিরাপত্তা অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু করা সম্ভব হয় না। বিধায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল।

তবে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে। যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এই মেয়াদে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পরিপত্র অনুসারে পিআইসি ও পিইসি সভা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে এক হাজার ২৭৫ বর্গমিটার শাপলা হলের সংস্কার কাজ, ৩৭০ বর্গমিটার পলাশ হলের, ৫১৪ বর্গমিটার মাশরুম হলের, ৫৭ বর্গমিটার শিমুল কল-অন রুমের, ২৩২ বর্গমিটার জেনারেল ক্যাফেটেরিয়ার, ২৪২ বর্গমিটার ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার, ১০০ বর্গমিটার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রের, ১৭০ বর্গমিটার আইসিসি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের অফিস কক্ষগুলোর, ১২১ বর্গমিটার আইসিটি ব্লকের, ১২২ বর্গমিটার সচিব সভা কক্ষের, ১২৫ বর্গমিটার কেবিনেট হল লাউঞ্জের, এক হাজার ৯৫১ বর্গমিটার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন ব্লকের ছাদের সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৯৬টি আসবাবপত্র কেনা হবে। ২ হাজার ৯০৩ বর্গমিটার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রতিস্থাপন কাজ, ২০০ বর্গমিটার টেরাকোটা সরবরাহ ও সংস্থাপন কাজ, ১০০ বর্গমিটার পেইন্টিংস সরবরাহকরণ, ১২০ বর্গমিটার ২টি স্টোর এবং ২৬০ বর্গমিটার ব্যাংককুয়েট হল নির্মাণ কাজ করা হবে।

সূত্র জানায়, অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া দুই বার সংশোধন করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে তৃতীয়বার সংশোধন করে মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তারপরও মাত্র ৪২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তাই বাকি কাজ শেষ করতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর আত্রাইয়ে সন্ধ্যার আকাশ থেকে বিরল আকৃতির শীলা এবং হালকা বৃষ্টি হয়েছে,যা এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হঠাৎ শুরু হওয়া শীলাবৃষ্টির সঙ্গে মিশে ছিল ছোট ছোট বরফখণ্ড (শীলা), যা প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে আত্রাইয়ের সাহেবগঞ্জ,পাঁচুপুর ও আহসানগঞ্জ এলাকায় পরিলক্ষিত হয়।

অনেকেই এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, বিশেষ করে শীলার আঘাতে টিনের ছাদে তীব্র শব্দে স্থানীয়রা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উঠেন। তবে এতে কোনো প্রাণহানি বা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শীলাবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, যা সাধারণত মৌসুম পরিবর্তনের সময় তীব্র গরমে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরে জলীয় বাষ্প জমে বরফে পরিণত হয়ে ভারী হয়ে পড়ে। স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসলের সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে,আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে,তবে শীলা আবার হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায়নি।এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে এবং জরুরি সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা সোমবার (৭ এপ্রিল) ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এই কর্মসূচির মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গড়ে ওঠা বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং এ ঘটনার বিরুদ্ধে সমবেদনা জানাতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’-এর দুই সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং এ বি জোবায়ের দেশের প্রতিটি বিভাগে এই কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘MARCH For Palestine’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংহতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিজের ফেসবুক পোস্টে ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের লিখেছেন, “আমাদের মজলুম গাজাবাসী ভাইবোনেরা আগামীকাল বিশ্বব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছেন। তারা গণহত্যা বন্ধের দাবিতে একযোগে বিশ্বের সব দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশেও আমরা ৭ এপ্রিল সারাদিনের জেনারেল স্ট্রাইক পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীকাল সবাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অফিস-আদালত বন্ধ রাখুন। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করুন। আসুন, বৈশ্বিক প্রতিবাদের অংশ হই। আওয়াজ তুলুন—Free, Free Palestine।”

সাদিক কায়েম তাঁর পোস্টে বলেন, “ইয়া গামযাহ! তোমাদের শাহাদাত ও লড়াইয়ের প্রতি আমাদের গভীর সংহতি। ইনশাআল্লাহ, শিগগিরই আমরা তোমাদের সংগ্রামে সরাসরি অংশ নেবো। গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাই।”

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, “‘MARCH For Palestine’-এর আহ্বানে আগামীকাল দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে রাজু ভাস্কর্যে বিকেল ৪টায় সংহতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে ৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনের পক্ষে হরতাল পালিত হবে। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তাই সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে আমাদেরও রাজপথে নামতে হবে, প্রতিবাদ জানাতে হবে। একটিও জীবন যেন অবহেলায় হারিয়ে না যায়—এই চেতনাতেই আমাদের কর্মসূচি।”

Header Ad
Header Ad

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে একটি বিয়েবাড়ির গেটে বরপক্ষে প্রবেশের সময় পার্টি স্প্রে ছেটানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে কনে পক্ষের অনুরোধ সত্ত্বেও ফিরে গেছে বরপক্ষ।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে কনের বাবা সামেদ মাতুব্বর ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা যায়, তিন মাস আগে মোবাইলে সামেদ মাতুব্বরের মেয়ে বর্ণা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার চরব্রহ্মনদী ভেন্নতুলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার বিয়ে হয়। দুপক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য দিন ধার্য করে।

মেয়ের বাড়িতে ১৩০ জন মেহমানের খাবার আয়োজন করা হয়। ছেলে পক্ষ এলে মেয়ের বাড়ির লোকেরা ছেলেকে গেটে আটকায়। সেখানে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে পরিণত হয়। এতে কনের বাবাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে নববধূকে না নিয়েই ফিরে যান জামাই।

মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর বলেন, গেটে দুপক্ষের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্প্রে করছিল। এর মধ্যে দুপক্ষের ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বড়দের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানের চেয়ার টেবিল ও খাবার নষ্ট করা হয়। বরপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি কিন্তু তারা মেয়েকে না নিয়ে চলে যায়।

বর নাঈম মোল্লা বলেন, ছয় বছর প্রবাস জীবন খেটে বিয়ে করার জন্য এসেছি বাংলাদেশে। কীভাবে কী হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। আমার এক চাচাকে কনেপক্ষরা মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমাকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরে চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি তাদের হেফাজতে আমাদেরকে পার করে দিয়েছে।

ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বুধবার
এসএসএফের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
আওয়ামীপন্থি ৮৪ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ, ৯ জনের জামিন
গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে সোমবার দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান সারজিসের
ইতিহাস সৃষ্টি করে মার্চে এলো ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
দুদকের সাবেক অ্যাম্বাসেডর থেকে আসামি হতে যাচ্ছেন সাকিব!
গাজায় ইসরায়েলি মিসাইলের আঘাতে মরদেহ উড়ছে আকাশে! (ভিডিও)
মা হারালেন অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
‘দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেননি বলেই টিউলিপ পদত্যাগ করেছেন’