শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধের আলোচিত-অনালোচিত (১)

একাত্তরেও ষড়যন্ত্র: ধরা পড়ে গৃহবন্দী ছিলেন খন্দকার মোশতাক

ছবি : সংগৃহীত

খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য জাতীয় বেইমান হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধকালে। তার স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস হয়ে পড়লে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে নিস্ক্রিয় করা হয়েছিল। এমনকি কৌশলে গৃহবন্দীও করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির অজুহাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বদলে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করে যুক্ত থাকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। এ কারণে তাকে নিস্ক্রিয় করা হয়েছিল-এ তথ্য তখন প্রচার হয়েছিল। এ কারণে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। সে তথ্য ততটা প্রচারিত ছিল না। গৃহবন্দী থাকার বিষয়টি জানা গেলো খন্দকার মোশতাক আহমেদের তৎকালীন একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ড. কামাল সিদ্দিকীর কাছ থেকে।

পাকিস্তানের সিএসপি অফিসার ড. কামাল সিদ্দিকী নড়াইলের মহকুমা প্রশাসক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের যোদ্ধা হিসেবে তিনি যোগ দেন খুলনা সীমান্তের ভারতের গজাডাংগা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। কিন্তু মুজিবনগর সরকার তাকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে যোগদানের জন্য কলকাতায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের কাছ থেকে বার্তা পেয়ে প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী স্বয়ং তাকে এ নির্দেশ দেন। কলকাতায় গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।

ড. কামাল সিদ্দিকী জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে ব্রিফ করেন। খন্দকার মোশতাক সম্পর্কে বলেন, ‘উনি  (মোশতাক) একটু আলাদা কিসিমের লোক। উনি কম্প্রোমাইজ চান, বোধ হয় পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সম্পর্ক করতে চান। কিন্তু আমার কোনো উপায় ছিল না, একটি গণতান্ত্রিক দলের লোক হিসেবে তাকে (মোশতাক আহমদকে) মন্ত্রিসভায় নিতে হয়েছে। এ জন্য তার তৎপরতার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। বিশেষ কিছু নজরে এলে তৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।’

ড. কামাল সিদ্দিকী জানান, তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বাম ধারার রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জানতেন। আওয়ামী লীগের নেতা, বিশেষ করে খন্দকার মোশতাক আহমেদ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের নির্দেশ মতো তিনি কাজে যোগ দিলেন। তিনি বলেন, ‘একদিন মোশতাক আহমেদের অফিসের টেবিলে দেখি একটি কার্ড। কার্ডটি কনসোলেট জেনারেল অব ইউনাইটেড স্টেট ইন কলকাতার। দেখে আশ্চর্য হলাম। এই কার্ড কোথা থেকে এলো। আমি তো সব সময় থাকি মন্ত্রীর সঙ্গে। তাকে তো কখনও দেখিনি। কার্ডটি হাতে নিয়ে এ সব ভাবছি। এমন সময় মোশতাক সাহেব তার রুমে এলেন, আমার হাতে কার্ডটি দেখে চিলের মতো ছোঁ মেরে নিয়ে নিলেন। নির্দেশ মতো ঘটনাটি পরদিন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে জানালাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন আমাকে অনেক কথাই বলে যায়। কিন্তু তাদের সব কথা আমি আমলে নিই না। আমরা আমাদের লোক সম্পর্কে আমাদের সোর্স থেকে না জানলে তো ব্যবস্থা নিতে পারি না। এখন আমরা ব্যবস্থা নেব। এর পর জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্টে মোশতাকের সফর বাতিল হয়ে গেল।’

ড. সিদ্দিকী জানান, ‘মোশতাকের সফর বাতিলই হলো না। তিনি গৃহবন্দী হলেন। বাইরে আর বের হতে পারতেন না। তার একটা অভ্যাস ছিল বিকালে নদীর পাড়ে গিয়ে হাটাহাটি করা। মিস ঘোষ বলে একজন ভারতীয় কর্মকর্তাকে ফোন করে বললে তিনি গাড়ি পাঠাতেন। কিন্তু ওই ঘটনার পর মিস ঘোষকে ফোন দিলে তিনি আর রেসপন্স করতেন না। পারমিশন দিতেন না, গাড়িও আসতো না। খন্দকার মোশতাক সেটি বুঝে গিয়েছিলেন। গাড়ির জন্য ফোন দিলে কোনো রেসপন্স না পাওয়ার বিষয়টি খন্দকার মোশতাককে জানাই। তিনি আমাকে বলেন, তুমি বুঝো না ওরা আমাকে গৃহবন্দী করেছে।’

সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদল যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। এ রকম খবর সাপ্তাহিক ‘জয়বাংলা’র ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু পরে খন্দকার মোশতাককে বাদ দিয়ে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিল। আর সেপ্টেম্বর পরবর্তী সময়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় কাজ করতেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার পর মন্ত্রিসভায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয়েছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের লেখা আত্মজীবনী, কিসিঞ্জারকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ও লেখক ক্রিস্টোফার হিচেনস-এর লেখা ‘দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার’, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামের ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা মঈদুল হাসানের ‘মূলধারা ‘৭১’, জেনারেল ওসমানীর জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের ‘একাত্তরের রণাঙ্গন কিছু অকথিত কথা’ বইতে খন্দকার মোশতাক আহমদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।

এসব তথ্য থেকে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে কনফেডারেশনের মাধ্যমে যুক্ত থাকার ষড়যন্ত্র করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ৩০ জুলাই ১৯৭১ মোশতাকের প্রতিনিধি হিসেবে কুমিল্লার এমপি আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জহিরুল কাইয়ুম কলকাতা মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। তিনি একাধিকবার দূতাবাসে গিয়ে ইঙ্গিত দেন শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির বিনিময়ে প্রয়োজনে স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষ করতে রাজী মুজিবনগর সরকার। এর আগে মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব আলম চাষীও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। তিনি মোশতাকের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ইচ্ছা এবং তার ভিসার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম তার ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’ বইতে লিখেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোশতাক, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্যদের অগোচরে পাকিস্তানের সাথে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেন। একইসাথে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেন।’

‘একাত্তরের রণাঙ্গন কিছু অকথিত কথা’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ‘জুলাই মাসের দিকে কলকাতায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ‘মুজিবনগর সরকারের এই মন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার শর্তেও বঙ্গবন্ধুকে হায়েনাদের কবল থেকে ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী। ...এই নেতা মুজিবকে উদ্ধারের জন্যে  মার্কিন পররাষ্ট্র সেক্রেটারি হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। পাশাপাশি অতি সংগোপনে এমন গুজবও ছড়িয়ে পড়ে যে, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ও অন্যরা শেখ মুজিবের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশ স্বাধীন করতে চাচ্ছেন। এদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের চেয়ে স্বাধীনতা অর্জনই বড়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিরে আসুন; এটা এরা চান না।’

জুলাইর দিকে মোশতাকের সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও মুক্তিবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তখন মোশতাক জানান, ইন্দিরা গান্ধী যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। তাকে প্রেসিডেন্ট নিক্সন সরাসরি বলে দিয়েছেন পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুজিবের প্রাণরক্ষা দুটো একসঙ্গে সম্ভব নয়। যদি মুজিবের অনুসারীরা তাদের নেতার প্রাণরক্ষা করতে চান, তাহলে পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকেই আপোষরফার চেষ্টা করতে হবে। ইন্দিরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার মুজিবনগর সরকারের নেতৃবৃন্দের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন এবং মোশতাকের অভিমত একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষমতা আছে বঙ্গবন্ধুকে সহি-সালামতে ফিরিয়ে আনার। সেক্ষেত্রে তাদের শর্তে রাজী হওয়াই উচিত। কারণ, বঙ্গবন্ধুই না থাকে, তাহলে কিসের স্বাধীনতা! [একাত্তরের রণাঙ্গন কিছু অকথিত কথা]

মোশতাকের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে মুজিবনগর সরকার। ৫ ও ৬ জুলাই ১৯৭১ শিলিগুড়িতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর মুক্তি না স্বাধীনতা কোনটিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বলেন : ‘আমরা স্বাধীনতা চাই। স্বাধীনতা পেলেই বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝে পাব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যদি খোদা না করুন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে, তাইলে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েও স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে অমর ও চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তিনি একটি নতুন জাতির জনক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃত হবেন। ব্যক্তি মুজিব, ব্যক্তি নজরুল, তাজউদ্দীন, কামরুজ্জামান কেউ হয়ত বেঁচে থাকবেন না। একদিন না একদিন আমাদের সকলকেই মরতে হবে। বঙ্গবন্ধুকেও মরতে হবে। আমরা চিরদিন কেও বেঁচে থাকব না।’ [মূলধারা ’৭১]

মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছিল মোশতাককে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরউত্তর দিল্লী ব্রিফিং বৈঠকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যরা যোগ দেন। কেবল একজনকে নেওয়া হয়নি, তিনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক।

যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে মোশতাকের এই গোপন যোগাযোগের খবর তখনই প্রকাশ পায়। এ সম্পর্কে মঈদুল হাসান লিখেছেন: ‘কিসিঞ্জারের স্মৃতিকথা প্রকাশের আগে অবধি এই ঘটনার কথা অবিদিত থাকলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড যে ভিতরে-ভিতরে চলছিল তা সেই সময়ের আর একটি সূত্র থেকে প্রকাশ পায়।’

অবমুক্ত হওয়া মার্কিন নথি থেকে জানা যায়, পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যান্ড ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে প্রস্তাব করেন, কলকাতায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাককে তারা জানিয়ে রাখতে চান যে, ইয়াহিয়া তার সঙ্গে গোপন আলোচনা শুরু করতে রাজি। ফারল্যান্ডের এ প্রস্তাবে ইয়াহিয়াও রাজি হন।

জানা যায়, পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতে অনুরোধ করেছিলেন, কোনোভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকা যায় কি-না ভেবে দেখতে। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২-এ দেওয়া বক্তৃতায়ই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তানের ভাইদের বলি তোমরা সুখে থাকো। ...তোমাদের সাথে আর না। শেষ হয়ে গেছে। তোমরা স্বাধীন থাকো, আমিও স্বাধীন থাকি।’

খন্দকার মোশতাক আহমেদ আওয়ামী লীগের (আওয়ামী মুসলিম লীগ) প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের মধ্যে তিনি ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি দলের হাইকমান্ডের সদস্য ছিলেন। ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকার গঠন প্রক্রিয়ার শুরুতে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার শর্তে নিবৃত হয়েছিলেন।

স্বাধীনতার পর ১২ জানুয়ারি ১৯৭২-এ গঠিত দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় খন্দকার মোশতাক আহমদের ঠাঁই হয়নি। কিন্তু ১৯৭৩ সালে গঠিত তৃতীয় মন্ত্রিসভায় কূটকৌশলী খন্দকার মোশতাক আহমেদ স্বাধীনতার পর বিদ্যুৎ, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাকশালেরও কার্যকরী কমিটিরও সদস্য মনোনীত হন। কখনও রাষ্ট্রপতি মারা গেলে উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার কথা; কিন্তু ১৫ আগস্ট ভোরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই দিনই উপরাষ্ট্রপতি নয়, বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। শুরু হয় বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা। সেই রাতেই বেতার ঘোষণায় বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ‘জাতির সূর্য সন্তান' বলে আখ্যা দেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে তার প্রথম বক্তব্যে 'জয় বাংলা'র বদলে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' বলতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও পাকিস্তানের অনুকরণে 'রেডিও বাংলাদেশ' নাম নির্ধারণ করেন। টুপিটিকে জাতীয় টুপি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্ব পালনকালে, তার নির্দেশে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় চার নেতাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়। তিনিই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে ’ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’ জারি করেন।

খন্দকার মোশতাক ৮৩ দিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এরপর ১৯৭৬ সালে ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামে নতুন দল গঠন করেন। এখন দলটির কোনো অস্থিত্ব নেই। প্রকাশ্য কোনো অনুসারীও নেই। ১৯৯৬ মোশতাক মারা গেলে ঢাকায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। কুমিল্লায় তাকে দাফন করা জায়গাটিতে এখন প্রায়ই জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

 

এপি/এএন

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি