রাজধানীর মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজের গেট থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালী যান। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সড়কের পর মহাখালীতে রেললাইনও বন্ধ করে অবরোধ করেন তারা। এ সময় দাবি আদায়ের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশ নেয়া তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। গতকালের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করেছি।’
এদিকে অবরোধের কারণে জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এই পথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা উপকূল ট্রেনটি আটকা পড়ে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর একই দাবিতে মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেছিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ নতুন এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। কনসার্ট চলাকালীন নারী ভক্তদের গালে ও ঠোঁটে চুম্বন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৭০ বছর বয়সী এই গায়ক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তার আচরণ দেখে অনেকেই বিস্মিত ও হতাশ। তবে এসব সমালোচনা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন উদিত। বরং তার দাবি, এটি তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং তিনি ভক্তদের খুশি করতেই এমনটা করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিতর্কিত এই ঘটনা মাসখানেক আগের হলেও তা সম্প্রতি আলোচনায় আসে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে উদিত নারায়ণ ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও এমন হয়েছে। নারী ভক্তদের চুম্বন করেছি, সবটাই জনপ্রিয়তার কারণে।”
‘প্যাহেলা নেশা’, ‘জাদু তেরে নজর’, ‘তেরে নাম’-এর মতো বহু হিট গানের শিল্পী উদিত নারায়ণ আরও বলেন, “ভক্তরা আমাকে ভালোবাসেন, আমি কেমন মানুষ তা তারা জানেন। বহু মানুষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেন, আর তারা ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইলে তা গ্রহণ করাই স্বাভাবিক। প্রচুর ভিড় হয়েছিল, কেউ সেলফি তুলতে চেয়েছেন, কেউ হাত মিলিয়েছেন, আবার কেউ আমার হাতে চুম্বন করেছেন। এতে অযথা বিতর্কের কিছু নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার পরিবারে কখনো কোনো বিতর্ক ছিল না। কিন্তু এখন যেন জোর করে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। আমার ছেলে আদিত্যও এসব থেকে দূরে থাকে। দীর্ঘ ৪৬ বছর বলিউডে কাজ করছি, কখনো আমার ইমেজ নষ্ট হয়নি। আমি সবসময় ভক্তদের ভালোবাসা সম্মান করেছি এবং আজও করি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উদিত নারায়ণ মঞ্চে তার জনপ্রিয় গান ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ পরিবেশন করছেন। এসময় অনেক নারী ভক্ত মঞ্চের সামনে জড়ো হন। প্রথমে তারা দূর থেকেই সেলফি তোলার চেষ্টা করেন, কিন্তু উদিত নিজেই মাটিতে বসে তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং পরপর কয়েকজনের গালে চুম্বন করেন।
এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কেউ মন্তব্য করেছেন, “ভাই, বয়স তো কম হলো না, এবার থামুন।” আরেকজন লিখেছেন, “বুড়ো বয়সে কি ভিমরতি হলো?” কেউ আবার মজা করে প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কি এআই দিয়ে বানানো?”
তবে উদিত নারায়ণের বক্তব্যই স্পষ্ট করেছে, ভিডিওটি কোনো এআই-সম্পাদিত নয়, বরং তার স্বাভাবিক আচরণ হিসেবেই তিনি এটিকে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও নেটিজেনরা তার এমন কর্মকাণ্ডকে মোটেও ইতিবাচকভাবে নেয়নি, বরং তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে অনলাইনে।
টাঙ্গাইলে রডমিস্ত্রি ফুল চাঁন মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা বলেন, এক জন রডমিস্ত্রিকে বিনাদোষে দুস্কৃতকারীরা গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। অবিলম্বে ফুলচানের খুনিদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির করছি। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে দাইন্যা ইউনিয়নের তিন শতাধিক সাধারণ লোকজন অংশ নেয়।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু, টাঙ্গাইল জেলা রাজ ও রড মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মিয়া, নিহত রড মিস্ত্রি ফুলচানের বাবা স্বন্দেশ মিয়া প্রমুখ।
গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ছোট বিন্নাফৈর এলাকায় রডমিস্ত্রি ফুলচান মিয়াকে (২৪) দুর্বৃত্তরা গলাকেটে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের নামে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ পাকিস্তানিকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পরে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) রোববার তাদের করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে এফআইএ’র একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যাওয়ার পর এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পাকিস্তানের রাজানপুর, কাশমুর, নাউশাহরো, ফেরোজ, লাহোর, পেশাওয়ার, মোহমান্দ এবং লারকানা এলাকার বাসিন্দা।
এফআইএ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে, বিদেশে কেউ যেন পর্যটন বা ধর্মীয় ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত হতে না পারে, সে জন্য পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে আরও কঠোর যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি ও সৌদি আরবে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাঈদ আহমেদ আল মালিকির মধ্যে এক বৈঠকের পর দেশটির সরকার এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) ৪ হাজার ৩০০ জন পেশাদার ভিক্ষুকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
পাকিস্তানে ভিক্ষাবৃত্তি দমনের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া এসব কঠোর পদক্ষেপের পরও অনেকে প্রতারণামূলক উপায়ে ওমরাহসহ বিভিন্ন ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।