পদ্মা সেতু
৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে: গোলাম কিবরিয়া টিপু
গুণে গুণে পাঁচ দিন। তারপরই খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দেবেন মহা আনন্দে। মুহূর্তর্ই চলে যাবেন নিজ নিজ গন্তব্যে। সব কিছু চলে আসবে হাতের মুঠোয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো পদ্মা সেতু যেমন রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমাবে, তেমনি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও রাখবে বড় ভূমিকা।
জাতীয় সংসদের বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু মনে করেন, এই পদ্মা সেতু ওই অঞ্চলের ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
ঢাকাপ্রকাশ-এর বিশেষ আয়োজন ‘পদ্মা সেতুর সম্ভবনা নিয়ে জননেতার মুখে জনতার কথা’ শীর্ষক ধারাবাহিকে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। নিজের পল্টনের দপ্তরে বসে কথা বলেছেন স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদুল আলমের সঙ্গে। পদ্মা সেতু নিয়ে তার সেই কথোপকথন তুলে ধরা হলো।
পেশায় ব্যবসায়ী এই সংসদ সদস্য ঢাকাপ্রাকশ-কে বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক ব্যবসায়ীর কথা হয়েছে। যারা দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চান। অনেকে বলেছেন তারা রাজধানী থেকে পদ্মার ওই পাড়ে কারখানা শিফট করবেন।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এখানকার মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরগুলোর সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে ব্যয় কমে আসবে। পণ্য পরিবহনও দ্রুত করা যাবে। এতে সময় এবং খরচ দুটোই কমবে। আর শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাড়বে ব্যস্ততাও।
দুই বারের এই সংসদ সদস্য বলেন, বরিশাল অঞ্চলে উৎপাদিত শাক-সবজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে গিয়ে শুধু মাত্র ফেরিঘাটে অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই অর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে কৃষক যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি যারা এসব সবজির বিক্রেতা, পাইকার, তারাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পদ্মা সেতুর কারণে এখন সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন কৃষক-ব্যবসায়ী সবাই।
একইসঙ্গে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল সহজেই রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় পৌঁছাতে পারবেন। কৃষকের মধ্যে শাক-সবজিসহ ফসল উৎপাদনে উৎসাহ বাড়বে। প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে তারা উৎপাদন করবেন।
তিনি বলেন, সবকিছু হিসাব করলে পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। পদ্মা সেতু চালু হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন সেই পরিবর্তনের অপেক্ষায়।
আগামী ২৫ জুন (শনিবার) পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতুটি উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে নবযুগে প্রবেশ করবে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। অবসান ঘটবে বছরের পর বছর বঞ্চনার।
এমএ/এনএইচবি/এমএমএ/