শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীর গণপরিবহন সেবা

৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে আসছে নতুন আইন

সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকার জরিমানার বিধান রেখে গণপরিবহন সেবায় নতুন আইন আসছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিকে আইনি কাঠামোতে আনতে এই আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ‘বাস পরিবহন সেবা পরিচালনা ও বিশেষ অধিকার (রুট ফ্রাঞ্চাইজ) আইন-২০২২’ নামে একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে ওই আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আইনটি তৈরি করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

নতুন আইন অনুযায়ী ঢাকা মহানগর এলাকা এবং সংলগ্ন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিগঞ্জ জেলাকে বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ এর আওতায় আনা হবে।

প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কোনো বাস পরিবহন সেবা পরিচালনের জন্য ফ্রাঞ্চাইজপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ঢাকা মহানগর ও সংলগ্ন এলাকায় বাস সেবা পরিচালন করতে পারবেন না।

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বা স্বীকৃত ভাড়ার বিনিময়ে পরিচালিত যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত বাস পরিবহন সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। সরকার বা সরকারের পক্ষে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন বাস পরিচালন সেবা দেওয়া যাবে না।

বিমানবন্দর থেকে বা বিমানবন্দর অভিমুখি আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন কাজে নিয়োজিত বাস পরিবহন সেবা; কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত হোটেল বা পর্যটন পরিসেবার জন্য নিয়োজিত বাস সেবা; সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক বা কর্মচারী পরিবহন কাজে নিয়োজিত বাস পরিচালন সেবা; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকানাধীন বা চুক্তিবদ্ধ ভাড়ার বিনিময়ে নাগরিক সেবা প্রদান কাজে নিয়োজিত বাস পরিচালন সেবা এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় অনুমোদিত অন্য কোনো বাস পরিবহন সেবা।

প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক পরিচালন কোম্পানি প্রতি বছর পরবর্তী বছরের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে সেটি অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষকে দেবে।

এই কর্মপরকিল্পনার মধ্যে থাকবে বাস রুট উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ বাস পরিবহন সেবা প্রদানের বিস্তারিত বিবরণ এবং বাস চলাচলের ফ্রিকোয়েন্সি ও পরিবহন যান বারদ্দের বিবরণ; কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিচালিত বাসের সংখ্যা ও বাসের ধরণ সম্পর্কিত বিবরণ; পুরাতন ও চলাচলের অনুপযোগী বাসের ফেইজ আউট কর্মসূচি; বাস রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত; সম্ভাব্য আয় ও আর্থিক সক্ষমতা এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাচিত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি।

আইন অনুযায়ী, এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো পরিচালন কোম্পানি ব্যর্থ হলে উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনের ৩৩ ধারায় প্রশাসনিক জরিমানা করা হবে।

প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় ফ্রাঞ্চাইজ এর মেয়াদ, বর্ধিত মেয়াদ ও নবায়ন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফ্রাঞ্চাইজ প্রদানের মেয়াদ হবে প্রদানের তারিখ থেকে ১০ বছর। উক্ত মেয়াদের মধ্যে তফসিলে উল্লেখিত বাস রুট পরিবর্তন হলে মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে এটি বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

ফ্রাঞ্চাইজ কোম্পানির আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ ক্রয় আইনের বিধান সাপেক্ষে ফ্রাঞ্চাইজ এর মেয়াদ অনধিক দুই বছর সময়ের জন্য নবায়ন করতে পারবে।

কোনো পরিচালন কোম্পানি তার ফ্রাঞ্চাইজ বা এর অংশ বিশেষ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না।

তবে কোনো পরিচালন কোম্পানির আওতাভুক্ত ফ্রাঞ্চাইজ বা এর কোনো অংশ বিশেষ, কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অপর ফ্রাঞ্চাইজ এর কাছে হস্তান্তর করা যাবে।

অবশ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির কাছে কোনো ফাঞ্চাইজ বা এর কোনো অংশবিশেষ হস্তান্তর করা হলে সেটির আইনি ভিত্তি থাকবে না।

ফ্রাঞ্চাইজ এর অধিকার বা বাতিল বিষয়ে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, এই আইনের বিধি বিধান বা ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তির অধীন কোনো পরিচালন কোম্পানি বাস পরিবহন সেবা পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বা আইনের অধীন আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা আইনের অধীন কোনো অপরাধে দন্ডিত হয় তা হলে কর্তৃপক্ষ পরিচালন কোম্পানিকে ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তির প্রদত্ত অধিকার বাতিল বা প্রত্যাহার করতে পারবে।

তবে কোম্পানিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ দেওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

ফ্রাঞ্চাইজের অধিকার প্রত্যাহার বা বাতিল করা হলে কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাস পরিবহন সেবায় নিয়োজিত বাস ও সংশ্লিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে এবং অধিগ্রহণকৃত বাস ও অস্থাবর সম্পদ অপর কোনো ফ্রাঞ্চাইজ এর কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।

প্রস্তাবিত আইনের তৃতীয় অধ্যায়ে বাস রুট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বলা হয়েছে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ তে যাই থাকুক না কেন নতুন আইন অনুযায়ী বাস রুটসমূহ যে গুচ্ছ বাস রুট এলাকার জন্য প্রযোজ্য বা যে বাস রুটে এই আইন কার্যকর হবে সেই রুট এলাকায় বাস পরিবহন সেবা পরিচালন বিষয়ে উক্ত আইনের অধীন প্রদত্ত রুট পারমিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে। ফাঞ্চাইজপ্রাপ্ত কোম্পানির বাস এই রুট এলাকায় পরিবহন সেবা পরিচালনার জন্য রুট পারমিটপ্রাপ্ত বলে গণ্য হবে।

প্রস্তাবিত আইনের সপ্তম অধ্যায়ে আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি ও জরিমানার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা কোনো শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে বা চুক্তি দ্বারা নির্দিষ্টকৃত ফ্রাইঞ্চাইজ ছাড়া অন্য কোনো রুটে বাস পরিবহন সেবা প্রদান করলে কর্তৃপক্ষ আর্থিক ও প্রশাসিক জরিমানা আরোপ করতে পারবে।

এক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানার পরিমান হবে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা এবং সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা। এই জরিমানা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ ও আপিলের পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।

কোনো ফ্রাঞ্চাইজ জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পাবলিক ডিমান্ড রিকোভারি অ্যাক্ট ১৯১৩ (বেঙ্গল অ্যাক্ট নং ১১১ অভ ১৯১৩) এর অধীন সরকারি দাবি গণ্যে আদায়যোগ্য হবে।

প্রস্তাবিত এই আইনের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম রবিবার (১৫ মে) রাতে ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এরকম একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছে। এখন সেটির বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার মতামত নেওয়া হবে। তারপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। এরপর একটি আইন করতে যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ প্রবর্তনের জন্য ঢাকা মহানগরীর বাস রুট ও সার্ভিসগুলোকে প্রাথমিকভাবে নয়টি ক্লাস্টার, ২২টি কোম্পানি এবং ৪২টি রুটে পরিণত করা হবে।

এ সব রুটকে আরবান ও সাব-আরবান এই দুই ভাগে ভাগ করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোকে শহরের ভেতরে প্রবেশ সীমিত করা হবে। একই সঙ্গে রুটের দৈর্ঘ্য যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা হবে। এ জন্য নগরীর আবদুল্লাহপুর, কাঁচপুর, ঝিলমিলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা মহানগরী ও সংলগ্ন এলাকায় যাত্রী পরিবহন সেবার মানোন্নয়ন এবং বাস পরিবহনব্যবস্থা নিরাপদ, দ্রুতগামী, পরিকল্পিত, সুষ্ঠু ও আধুনিকীকরণের উদ্দেশেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত