রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরিবর্তন 

দেশে পরিবর্তন এসেছে। এসেছে পরিবর্তন  মানুষের জীবনে। সমাজ পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে মানুষের জীবন। কত রংবে রঙের পরিবর্তন চারিদিকে। যার হিসাব করা কঠিন। শুধুই কঠিন না। যার হিসাব এখন আর কেউ করতেই চায় না। মুনির চৌধুরীর ভাষায় বলতে হয়, মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়। আসলে এই রঙিন দুনিয়ায় আমিও যে বদলে যেতে পারি, এ কথা ভুলেও কখনো ভাবিনি। সরল বিশ্বাস ছিল; আমি একদিন ফিরে আসবোই। কিন্তু কোন দিন আমার আর ফিরে আসা হলো না। রঙিন দুনিয়ায় আমিও রঙিন হয়ে ভুলেই গেছিলাম রুনা নামের কোন এক মেয়ের অস্তিত্ব আমার জীবনে কোনো একসময় ছিল। 
 
আমার সাথেই মেয়ে টি পড়াশোনা করতো। ক্লাস ওয়ান থেকে এসএসসি পর্যন্ত, পরে ওর আর পড়াশোনা করা হলো না। মেয়েটির আগ্রহ থাকলেও সে আর পড়াশোনা করতে পাড়লো না। তিন মাইল হেঁটে এসে বদর মাঝির ঘাট। ঘাট পার হয়ে ভ্যানে করে আরো মাইল পাঁচেক পাড়ি দিয়েই তবেই পেতাম একটা লক্কর জক্কর মার্কা ছেড়া টিনের হাই স্কুল ঘর। এখান থেকেই আশপাশ পনেরো থেকে বিশ গ্রামের ছেলে মেয়েরা এসএসসি পাশ করে। কলেজে পড়তে হলে সেই জেলা শহর ছাড়া আর কোন উপায় নেই । তাই এসএসসি পাশের পড় শতকরা প্রায় আশি থেকে নব্বই জন্য ছেলে মেয়ের পড়াশোনা থেমে যায়। অর্থাৎ এক থেকে দুইজন ছেলের কপালে জুটতো শহরের পড়াশোনা । আমার ব্যাচের একমাত্র আমিই কেবল কলেজে ভর্তি হওয়ার দুর্দান্ত সাহস যোগাড় করতে পেরেছিলাম। সেটা অবশ্যই আমার সাহস বললে ভুল হবে। সাহস টা ছিল রুনার। আমার যাবতীয় খরচ বহন করতো মেয়েটি। আমাকে ভালবাসার জন্য কত যে গঞ্জনা মেয়েটি সহ্য করেছে। সেটা ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানে না। কখনো মুখের ফাঁসা দিয়েও উচ্চারণ করে নাই। কারণ, আমি জানলে কষ্ট পাবো বলে। যাইহোক কোন এক সময় রুনার মা-বাবা আমাকে মেনে নেয়। রুনা খরচ দিলেও মাঝে মাঝে রুনার মা আমাকে খরচ পাঠাতো কাউকে না জানিয়ে, খুব গোপনে। আমিও চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতাম। এইচএসসি পাশের পড় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। জীবনে চলে আসে পরিবর্তন। সাদাকালো পৃথিবী হয়ে যায় রঙিন । আসমানি পর্দা নীল থেকে হয়ে যায় লাল । পৃথিবীর লোভ-লালসায় আমি মেতে উঠি । ভুলে যায় অতীত। হৃদয়ে ধারণ করা রুনা নামের স্মৃতির পাতার পর্দায় আধুনিকতার কালো ধুলো পরে আমার জীবন থেকে  হারিয়ে যায় গ্রামের সহজ সরল মেয়ে রুনা । রুনার জায়গায় জায়গা করে নেয় ঢাকার শহরের আলতা মডান বড়লোকের বেটি নিকৃষ্ট নিতম্বধারিণী ছলনাময়ী কল্পনা চৌধুরী সর্ণা । সর্ণা যে আমার জীবনে দুঃখের বন্যা দিয়ে চলে যাবে সে কথা কে জান তো ! তার আবেগময়ী কথায় আমি মেতে উঠি । পড়াশোনা শেষ করে আমি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করি  সাভার শাখায় । সোনালী ব্যাংকে যোগদান করার কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরে মন্ত্রণালয়ে একটি চাকরি হয় আমার কিন্তু সর্ণা যোগদান দিতে বাঁধা সৃষ্টি করে । এমন কাজ যে, কেনো করে ছিল তখন না বুঝলেও পরে অবশ্যই বুঝেছিলাম । আমাকে সর্ণা বুদ্ধি দিলো, আমার ব্যাংক থেকে সে ঋণ নিয়ে বড়  কোম্পানী খুলবে। তার সাথে তার বাবা মা ভাই কাজ করবে ।  কোম্পানী ভালো পজিশনে দাড়িয়ে গেলে আমাকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কোম্পানীর এমডি পদ নিতে হবে । আমি ওর কথায় রাজি হলাম না । কথায় আছে, রাজা শাসন করছে রাজ্য , রাজাকে শাসন করছে রানী । আমিও শাসিত হলাম আমার স্ত্রীর দ্বারা । অবশেষে কর্তৃর  ইচ্ছায় কর্ম হলো। কোম্পানী হলো, ঋণ পাশ হলো । সব হলো ।  একদিন বাড়ীতে এসে শুনি আমার স্ত্রী বিদেশে গেছে । সাথে তার বাপ-মা সবাই ।আমাকে ফাঁদে ফেলানো হয়েছে । পরে দেখি আমার নামে কারিকারি  টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে । অবশেষে সাংবাদিক লেগে গেলো আমার পিছে । আমার বিচার হলো, দশ বছর জেল । 
 
দশ বছর জেল খেটে আমি নিঃস্ব হয়ে কারাগার থেকে বের হলাম । কোথায়  যাবো । কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না । অতীতের কথা মনে পরে, নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতে লাগলো । কেমন যেন মনে হলো রুনার সাথে আমি অন্যায় করেছি । ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে । এরপরে বিদায় নিবো এই পৃথিবী নামক অযোগ্য কারাগার থেকে । জানি এতদিনে রুনা তার সংসার পেতে বসেছে । আমারই মত হয়তো সেও ভুলে গেছে যে, তার জীবনে শুফম নামের কোন একজন প্রেমিক পুরুষ ছিল। হয়তো গিয়ে দেখবো, সে তার বাচ্চা কাচ্চা স্বামীর সংসার নিয়ে খুব ব্যস্ত আছে । আমাকে আর  চিনতে পারছে না । অনেক কথা বলার পরে হয়তো চিনবে । 
 
গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । পশ্চিম আকাশে সূর্য রক্তিম লাল আভা নিয়ে ডুবে যাচ্ছে । গ্রামের মাটিতে পা রাখলাম । নির্মল মৃদু হাওয়ায় আমার হৃদয় জুড়ে গেলো । মনে হচ্ছে এই বুঝি আমি নতুন জীবন ফিরে পেলাম । আমি কৃষক শুফম, মাঠে থেকে কাজ সেরে বাড়ী ফিরছি  । আমার স্ত্রী রুনা আমার  গোসলের জন্য টিওবয়েল  থেকে পানি তুলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । কখন আসবে প্রাণের স্বামী, কখন আসবে প্রাণের স্বামী ! যাই হোক এসব আমার কল্পনা । যা আর কখনো বাস্তবে রূপ নেবে না । 
 
আমাদের সেই সালাসপুর গ্রাম আর সালাসপুর  নেই । তার বুকেও এসেছে পরিবর্তন । কাঁচা  মেঠো রাস্তা হয়ে গেছে পাকা । গ্রামে ছোঁনের ছাওনির ঘরের পরিবর্তে টিনের কিংবা বিল্ডিংয়ের ঘর উঠেছে । পরিবর্তন । সব পরিবর্তন । আমার পক্ষে আর আহমেদ আলির বাড়ী খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না । পথে অনেকের সাথে দেখা হলো , মনে হলো কেউ চিনতে পারে নি । চিনবে কেমনে ! সেই শুফম আর আজকের শুফমের মধ্যে রাত দিন তফাৎ । 
দূরে একটি ছোট্ট পিচ্চি  ছেলে দেখতে পেলাম, খেলা করছে । ওরে ডাক দিলাম । কাছে আসলো ও ।
আহমেদ আলির বাড়ি চেনো ? আমি ওরে জিজ্ঞাসা করলাম ।
কোন আহমেদ আলি ? পিচ্চি আমারে জিজ্ঞাসা করলো ।
আমি তো অবাক । এখন কী বলি ।
পাশ দিয়ে একজন মাঝ বয়সী মানুষ যাচ্ছিল । সে হয়তো আমাদের কথা ‍শুনতে পেয়েছে। ঐই পিচ্চির মাথায় থাপ্পর দিয়ে বলো, ব্যাংকারের বাড়ি নিয়ে যা । 
পিচ্চি আগে আগে আর আমি ওর পিছে পিছে চললাম ।
 
আহমেদ আলি আমার দাদা । আমার বাবা মা নৌকা ডুবিতে অনেক অনেক বছর আগেই মারা গেছেন  । বড় হয়েছি দাদার কাছেই । তিনিও মারা গেছেন আমি যখন কলেজে পড়ি। থাকার মধ্যে ছিল এক সৎ দাদী । জানি না তিনি কেমন আছেন । তার কাছেই যাচ্ছি । তার কাছ থেকে রুনাকে খুঁজে বের করে, রুনার ঠিকানায় গিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি নিবো অযোগ্য এই পৃথিবী থেকে । 
 
কিছু দূর হাঁটার পরে পিচ্চি আমাকে নিয়ে ডুকে পড়লো একটি বাড়ীতে । খালা খালা করে চিৎকার দিয়ে বাড়ীটাকে মাথায় করে তুললো ছেলেটি । তখন সন্ধ্যার আযান চারিদিকে কলরব সুরে পড়ছে । 
রান্নাঘরে রান্না ফেলে রেখে একটি মেয়ে বেরিয়ে এসে বললো , কীরে মধনা এত ডাকছিস কেন ? 
ছেলেটি আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বলো, দেখ তো কাকে নিয়ে এসেছি?
 
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি তার চোখের জল আর ধরে রাখতে পাড়লো না । পাহাড়ের বুক চিরে যেমন ঝর্ণার পানি পড়ে নদীর বুকে ঠিক তেমনি করে তার চোখের জল ঝরতে লাগলো । 
একটু কাছে তার এগিয়ে যেতেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কেঁদে উঠলো । পাশে দাড়িয়ে থাকা সেই পিচ্চি চিৎকার করে বলে উঠলো, রুনা খালার স্বামী শুফম ব্যাংকার বাড়ি ফিরছে, রুনা খালা তারে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে ।
আমিও আবেগ  ধরে রাখতে পারলাম না। দুচোখের জলে ভেসে হয়ে গেলাম একাকার ।
 
 
 
কবি ও গল্পকার 
পাবনা বাংলাদেশ 
 
ডিএসএস/ 
 
Header Ad

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির

ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি না থাকায় বাকি ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়গুলোতে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) মাসিক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন সচিব। সভায় সারা দেশের মাঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশে মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে করছে ইসি। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি

রিচার্ড স্লেম্যান। ছবি: সংগৃহীত

৬২ বছর বয়সে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন রিচার্ড স্লেম্যান। পৃথিবীতে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার শরীরে প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাঁচলেন না। শনিবার (১১ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর: এনডিটিভি

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ব্যাপী অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণ শেষে এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যুর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

রিচার্ড রিক স্লেম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো কিছু আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।

ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা রিচার্ড স্লেম্যান ট্রান্সপ্লান্ট গ্রহণের আগে বছরের পর বছর ধরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদিও এর আগে রিচার্ড অন্য একজনের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর ভালো থাকার পর তাকে আবার ডায়ালাইসিসে ফিরতে হয়। এরপর থেকেই তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা

লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাছান আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণ চেয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রবিবার (১২ মে) সকালে ওই কলেজের ২৯ জন শিক্ষক এবং ১১ জন কর্মচারীদের স্বাক্ষরিত অভিযোগের একটি অনুলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া হয়।

এরআগে গত বৃহস্পতিবার ৯ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বরাবর অপসারণের ওই চিঠি দেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

লিখিত চিঠিতে বলা হয়েছে, লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কলেজের গাছ বিক্রি, ভর্তি ও ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ বাড়ি ভাড়া, বিএমটি (বিএম) শাখার টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, টাইমস্কেলের জন্য বাড়তি টাকা আদায় ও ব্যবস্থাপনা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায় অডিট কমিটি। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সম্প্রতি গভানির্ং বডি অধ্যক্ষ হাসান আলীকে ৬ মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

সে সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজের উপাধ্যক্ষ গোলাম রব্বানীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ হাসান আলী প্রতিকার চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে লিখিত আবেদন করে। অধ্যক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে গত ২৩ এপ্রিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাধ্যতামূলক চিঠি বাতিল করে হাসান আলীকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে- লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে জটিলতা দেখা দেয়। এতে কলেজের এডহক (আহবায়ক) কমিটি ওই অনিয়মের সত্যতা পাওয়া অধ্যক্ষকে দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য ও কলেজকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার জন্য এবং অধ্যক্ষ হাসান আলীর অপসারণ চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

কলেজের একাধিক শিক্ষকরা জানান, হাসান আলী কলেজে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছিল। ইচ্ছেমতো টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই গঠিত তদন্ত কমিটিও তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ, গাছ কর্তনের টাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পায়। এই নিয়ে দুই বার তাকে লিখিত জবাব দিতে নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের গত ২২ জানুয়ারি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ সত্যতা পাওয়ায় গভর্নিং বডি অধ্যক্ষ হাসান আলীকে বাধ্যতামূলক ৬ মাসের ছুটিতে পাঠায়। কিন্তু ওই দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ মো. হাসান আলী কলেজে পুনরায় যোগদান করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে জানতে বক্তব্যের জন্য লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাসান আলীকে একাধিকবার মোবাইল ফোন করলে তিনি রিসিভ করেনি।

লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী রতন বলেন, যেহেতু পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডি অধ্যক্ষকে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করে গেছে, সেহেতু এডহক (আহ্বায়ক) কমিটি নয়, পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডি এসেই আবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মামুনুর রশীদ জানান, বিষয়টি আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
গোবিন্দগঞ্জে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...
রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন
আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত
হোয়াইটওয়াশের মিশনে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ
সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন