বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেদিন যখন বিলুপ্ত হয়েছিলাম

ওয়্যার স্ট্রিট, ২৩/১, ওয়ারী, ঢাকা। ঢাউস করিডরযুক্ত পুরোনো বাড়িটার সব কটা দরজা ও জানালা ছিল খড়খড়ি দেওয়া। খড়খড়ি দেওয়া জানালাগুলোকে বলা হতো ল্যুভর উইন্ডো। বিরাট বিরাট ওইসব জানালা ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত নেমে এসেছে। সিঁড়ি ঘরের অনেকটা অংশজুড়ে বিস্তৃত দু-তিনটে দরজা। ল্যুভর উইন্ডোগুলোর ওপর আমরা নতুন করে গ্লাস বসিয়ে নিয়েছিলাম, পর্দাও টেনে দিয়েছিলাম। উত্তর ঢাকার গলিপথ থেকে মূল সড়কে এলেই আমাদের পুরোনো বাড়ির চুনকাম করা টালির ভেন্টিলেটার সবার চোখে পড়ত। তাছাড়া মোটা ও পুরু ওয়াল, কড়ি বর্গা দেওয়া ছাদ।

মন কেমন করা গন্ধ বাড়িময়! ছাদে এখন আর খুব একটা যাই না তেমন। বাড়ির অপজিটে ইলেকট্রিসিটির ট্রান্সমিশন স্টেশন এবং রাথিয়াদের ফ্ল্যাট। গাইনি স্পেশালিস্ট সে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটালে প্র্যাকটিসও করে রাথিয়া। ওদের ফ্ল্যাটের সাথেই আরও দুটো কটেজ পাশাপাশি। সিঁড়ির রেলিংয়ে দু-হাত রেখে রাথিয়াদের ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকে বিকেলের আকাশটাকে দেখছি। কখনো কালো, কখনো মুমূর্ষু সূর্যের আভা ঈষৎ মেঘাচ্ছন্ন, কখনো বা রঙহীন ভেজা মেঘ আকাশকে আঘাত করছে জোরসে। সেদিনের বৃষ্টিতে দরজা জানালার খড়খড়িগুলো ভিজে রঙহীন হয়ে গিয়েছিল। আমার শরীরের টি-শার্টটাও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি তো বাইরে, আমার টি-শার্ট কীভাবে ভিজল? তাহলে কি ভেন্টিলেটারের ফাঁক দিয়ে বৃষ্টি ছিটকে এসেছে? কী জানি, হতে পারে। আজ সারাটা দিন বৃষ্টি ঝরছে। যাকে বলে থেমে থেমে বর্ষণ! বাড়ির কম্পাউন্ডে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। সুলগ্না ভার্সিটি থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই বাসায় ফিরল। মা বলল- কী দরকার ছিল এভাবে আসার? দেখিস, আজ তোর ঠান্ডা লাগবেই। সুলগ্না বলল- এত চিন্তা কেন করছ মা? কিচ্ছু হবে না। নিজের বেডরুমের দিকে চলে গেল সুলগ্না। মনে হয় ভেজা কাপড়চোপড়গুলো চেঞ্জ করবে সে! আমি তখনো সিঁড়ির রেলিং ধরেই দাঁড়িয়ে আছি। কী করব, ভাবছি। ভেজা টি-শার্ট গায়ে একটু শীত শীত করছে আমার। রুমে এলাম। টি-শার্টটা চেঞ্জ করে ওয়াড্রব থেকে আরেকটা টি-শার্ট বের করে গায়ে দিলাম। জানালাগুলোর কাচে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির জল দেখা যাচ্ছিল। পর্দাগুলোও ভেজা। ড্রয়ার থেকে পুরোনো অ্যালবাম বের করলাম।

এমন স্যাঁতসেঁতে দিনে পুরোনো সবকিছুকেই কেন জানি ভীষণ মনে পড়ে। আজ এতদিন পর অ্যালবামটার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে আনমনা হয়ে যেতে থাকলাম। ভার্সিটিতে পড়ার সময় কলা ভবন, অপাজেয় বাংলা, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিতে কত পোজের ছবি যে তুলতাম আমরা বন্ধুরা মিলে! মনে পড়ছে আজ কত কথা, কত রকম স্মৃতি! জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের সময়গুলোতে যারা পাশে থাকে, তারাও একদিন দূরে সরে যায়। অ্যালবামটা বন্ধ করলাম। বাইরে তখনো বৃষ্টির শনশন শব্দ। আজ কি তবে বৃষ্টিরা ভালোবেসে বেসে ঝরতেই থাকবে? সুলগ্না আমার রুমে এল। বলল- কী করছিস ভাইয়া? কই, কিছু না তো! কিছু বলবি? আজ আপু ফোন করেছিল! নেহার? জি। ওর প্রেগন্যান্সির কী কান্ডিশন এখন? দু-এক দিনের মধ্যেই নাকি ওর ডেলিভেরি ডেট! হসপিটালে অ্যাডমিট করাতে হবে। আমি বললাম- তো? এতে এত টেন্সড হওয়ার কী আছে? সুলগ্নার চোখে-মুখে আমি দ্বিধা টের পেলাম। সেই দ্বিধা কিসের, বুঝতে পারিনি। সিজারিয়ান অপারেশন তো এখন একটা ফ্যাশন। তাহলে সুলগ্নার নিঃশ্বাস নিশ্চুপতা ফুটে উঠল কেন? ওর অস্তিত্বে আমি আগুন দেখছি, দুঃশ্চিন্তার আগুন।

পেডিকেয়ার নিউবর্ন বেবি হসপিটাল, বাড়ি-৫৫, সড়ক-০১, সেক্টর-০৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। গতকাল ডেলিভেরি পেইন উঠলে নেহারকে ওখানেই অ্যাডমিট করিয়েছে রাহেল। অ্যাজ অ্যা হাজব্যান্ড রাহেল ইজ কেয়ারিং ফর নেহার। হসপিটালের কেবিনগুলো গ্রিসলি রেসপ্লেনডেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপ্যারেন্ট। টু সিং ইনভায়ার্নমেন্ট অব দ্য হসপিটাল উই উড বি ইমপ্রেজেস। আমরা তখন নেহারের জন্য বুকড কেবিনে বসে আছি। পাশের কেবিনের নিচের দিকে তিন-চারটে রক্তমাখা ত্যানা স্তূপ করে রাখা। সম্ভবত একটু আগেই সিজার করা হয়েছে। রক্ত-পুঁজ দেখলে আমার গা গুলিয়ে ওঠার অভ্যাসটা অনেক পুরোনো। এখনো তার ব্যতিক্রম হলো না। গা গুলিয়ে উঠল। অনেকেরই বোধ হয় এরকম হয়! কিন্তু কী করব? এটুকু তো মেনে নিতেই হবে। গাইনি স্পেশালিস্ট রাথিয়া নেহারের সিজারিয়ান অপারেশন করছে। রাহেল তখনো ক্লিনিকে আসেনি। আসেনি, ঠিক তা নয়! আমরা এখানে আসার পর সে বাসায় গেছে ফ্রেশ হওয়ার জন্য। কদিন থেকেই অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে ওকে। আমি কেবিন ছেড়ে বাইরে এলাম। গভীরভাবে তাকিয়ে আছি কোথায়, জানি না। মনে হলো আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলছি দূর অজানায়। নেহারের জন্য মনটা অস্থির হয়ে উঠছে খুব। সেদিন সুলগ্নাকে সাহস দিলেও আমিও যে মনে মনে ভেঙে পড়িনি, তা কিন্তু নয়! আমাদের ওয়্যার স্ট্রিটের বাড়িতে বিয়ের পর নেহার খুব একটা যেত না। রাহেলও ব্যস্ত থাকত ওর অফিস কিংবা ফ্যামিলি নিয়ে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিল ওদের। সুলগ্নার মতো নেহারের সাথেও আমার বন্ডিংটা ছিল ফ্রেন্ডলি। আমি এখন সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। দরজার ওপাশের কেবিনে তখনো কোনো সাড়া শব্দ নেই। কান খাঁড়া করে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি একা। মা আমার কাছে এল। কী বিষণœ মা’র চেহারাখানি! বলল- তুই এখানে অনন্য? জি! কেন, কী হয়েছে মা? না, কিছু হয়নি। মাও যে ভালো নেই, সে কথা তো আমার অজানা নয়। হতবাক হয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি। দৃঢ়চেতা মনটা আমার আজ কেন ভেঙে ভেঙে পড়ছে বারবার?

সুইস উলের কামিজ, ইটালিয়ান সিল্কের স্কার্ফ আর রঙদার সালোয়ারের ওপর ডাক্তারি অ্যাপ্রন পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এল রাথিয়া। অপারেশন সাকসেসফুল। মা-শিশু দুজনেই অনেক ভালো আছে। রাথিয়া আমাকে বলল- দেয়ার ইজ নো প্রবলেম। অল আর সাকসেসফুল মিস্টার অনন্য। আমি কী বলব, ভেবে পাচ্ছি না। রাথিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। সে তাকানোয় হয়তো বা টেকসই ভালোবাসা ছিল! আমার বুকের ঠিক মাঝখানটায় রিস্টওয়াচের মতো টিকটিক করছে হৃৎপিন্ডটা। কিছু কি বলব রাথিয়াকে? রাথিয়ার দৃষ্টিও যে আমাকে অবলোকন করছিল- ওর ওই চাহনির দাগটানা ইতিহাস আমার সিক্স সেন্সকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল তখনই। ওর তাকানোয় আমি আমার জন্য পুনর্জন্মের ইতিকথা খুঁজে পেয়েছিলাম

হালকা-পাতলা গড়ন, মানানসই উচ্চতা, শ্যামবরণ গায়ের রঙ রাথিয়ার। ওর মায়াবী ঠোঁটের ওপর ছোট্ট একটা তিল, বড় বড় দুটো চোখ আমাকে বরাবরই ভীষণ টানে। রাথিয়া ওর চেম্বারে চলে গেল। আমি নেহারের পাশে গিয়ে বসলাম। নেহার ঘুমাচ্ছে। সেন্স ফেরেনি তখনো। নেহারের মুখের ওপর ঝুঁকে পড়লাম। এ কী, ওর মুখটা কেন জানি টোপা টোপা! প্রেগন্যান্সির সময় এরকম একটু-আধটু তো হয়ই। আমি রাথিয়ার চেম্বারের দিকে এগিয়ে গেলাম টাইম স্পেন্ড করার জন্য। কিন্তু দরজার পর্দা টেনে ভেতরে দেখলাম রাথিয়া ওর চেম্বারে নেই। সে কি তাহলে চলে গেছে? ওর পিএ বলল- রাথিয়া ম্যাডাম তো এখনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। অন্য হসপিটালে আরেকটা সিজারিয়ান অপারেশন আছে। কিছু বলতে হবে তাঁকে? আমি বললাম- না! স্বভাবতই আমি থমকে গেলাম। নিজের অজান্তেই রাথিয়াকে ঘিরে ভালোলাগাগুলো লাট খেতে থাকে বুকের ভেতর। আমি কি তাহলে টারশিয়েরি যুগের বিলুপ্ত কোনো প্রেমিকের ক্ষয়প্রাপ্ত ফসিল?

 শিবগঞ্জ, বগুড়া

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২