শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেদিন যখন বিলুপ্ত হয়েছিলাম

ওয়্যার স্ট্রিট, ২৩/১, ওয়ারী, ঢাকা। ঢাউস করিডরযুক্ত পুরোনো বাড়িটার সব কটা দরজা ও জানালা ছিল খড়খড়ি দেওয়া। খড়খড়ি দেওয়া জানালাগুলোকে বলা হতো ল্যুভর উইন্ডো। বিরাট বিরাট ওইসব জানালা ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত নেমে এসেছে। সিঁড়ি ঘরের অনেকটা অংশজুড়ে বিস্তৃত দু-তিনটে দরজা। ল্যুভর উইন্ডোগুলোর ওপর আমরা নতুন করে গ্লাস বসিয়ে নিয়েছিলাম, পর্দাও টেনে দিয়েছিলাম। উত্তর ঢাকার গলিপথ থেকে মূল সড়কে এলেই আমাদের পুরোনো বাড়ির চুনকাম করা টালির ভেন্টিলেটার সবার চোখে পড়ত। তাছাড়া মোটা ও পুরু ওয়াল, কড়ি বর্গা দেওয়া ছাদ।

মন কেমন করা গন্ধ বাড়িময়! ছাদে এখন আর খুব একটা যাই না তেমন। বাড়ির অপজিটে ইলেকট্রিসিটির ট্রান্সমিশন স্টেশন এবং রাথিয়াদের ফ্ল্যাট। গাইনি স্পেশালিস্ট সে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটালে প্র্যাকটিসও করে রাথিয়া। ওদের ফ্ল্যাটের সাথেই আরও দুটো কটেজ পাশাপাশি। সিঁড়ির রেলিংয়ে দু-হাত রেখে রাথিয়াদের ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকে বিকেলের আকাশটাকে দেখছি। কখনো কালো, কখনো মুমূর্ষু সূর্যের আভা ঈষৎ মেঘাচ্ছন্ন, কখনো বা রঙহীন ভেজা মেঘ আকাশকে আঘাত করছে জোরসে। সেদিনের বৃষ্টিতে দরজা জানালার খড়খড়িগুলো ভিজে রঙহীন হয়ে গিয়েছিল। আমার শরীরের টি-শার্টটাও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি তো বাইরে, আমার টি-শার্ট কীভাবে ভিজল? তাহলে কি ভেন্টিলেটারের ফাঁক দিয়ে বৃষ্টি ছিটকে এসেছে? কী জানি, হতে পারে। আজ সারাটা দিন বৃষ্টি ঝরছে। যাকে বলে থেমে থেমে বর্ষণ! বাড়ির কম্পাউন্ডে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। সুলগ্না ভার্সিটি থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই বাসায় ফিরল। মা বলল- কী দরকার ছিল এভাবে আসার? দেখিস, আজ তোর ঠান্ডা লাগবেই। সুলগ্না বলল- এত চিন্তা কেন করছ মা? কিচ্ছু হবে না। নিজের বেডরুমের দিকে চলে গেল সুলগ্না। মনে হয় ভেজা কাপড়চোপড়গুলো চেঞ্জ করবে সে! আমি তখনো সিঁড়ির রেলিং ধরেই দাঁড়িয়ে আছি। কী করব, ভাবছি। ভেজা টি-শার্ট গায়ে একটু শীত শীত করছে আমার। রুমে এলাম। টি-শার্টটা চেঞ্জ করে ওয়াড্রব থেকে আরেকটা টি-শার্ট বের করে গায়ে দিলাম। জানালাগুলোর কাচে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির জল দেখা যাচ্ছিল। পর্দাগুলোও ভেজা। ড্রয়ার থেকে পুরোনো অ্যালবাম বের করলাম।

এমন স্যাঁতসেঁতে দিনে পুরোনো সবকিছুকেই কেন জানি ভীষণ মনে পড়ে। আজ এতদিন পর অ্যালবামটার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে আনমনা হয়ে যেতে থাকলাম। ভার্সিটিতে পড়ার সময় কলা ভবন, অপাজেয় বাংলা, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিতে কত পোজের ছবি যে তুলতাম আমরা বন্ধুরা মিলে! মনে পড়ছে আজ কত কথা, কত রকম স্মৃতি! জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের সময়গুলোতে যারা পাশে থাকে, তারাও একদিন দূরে সরে যায়। অ্যালবামটা বন্ধ করলাম। বাইরে তখনো বৃষ্টির শনশন শব্দ। আজ কি তবে বৃষ্টিরা ভালোবেসে বেসে ঝরতেই থাকবে? সুলগ্না আমার রুমে এল। বলল- কী করছিস ভাইয়া? কই, কিছু না তো! কিছু বলবি? আজ আপু ফোন করেছিল! নেহার? জি। ওর প্রেগন্যান্সির কী কান্ডিশন এখন? দু-এক দিনের মধ্যেই নাকি ওর ডেলিভেরি ডেট! হসপিটালে অ্যাডমিট করাতে হবে। আমি বললাম- তো? এতে এত টেন্সড হওয়ার কী আছে? সুলগ্নার চোখে-মুখে আমি দ্বিধা টের পেলাম। সেই দ্বিধা কিসের, বুঝতে পারিনি। সিজারিয়ান অপারেশন তো এখন একটা ফ্যাশন। তাহলে সুলগ্নার নিঃশ্বাস নিশ্চুপতা ফুটে উঠল কেন? ওর অস্তিত্বে আমি আগুন দেখছি, দুঃশ্চিন্তার আগুন।

পেডিকেয়ার নিউবর্ন বেবি হসপিটাল, বাড়ি-৫৫, সড়ক-০১, সেক্টর-০৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। গতকাল ডেলিভেরি পেইন উঠলে নেহারকে ওখানেই অ্যাডমিট করিয়েছে রাহেল। অ্যাজ অ্যা হাজব্যান্ড রাহেল ইজ কেয়ারিং ফর নেহার। হসপিটালের কেবিনগুলো গ্রিসলি রেসপ্লেনডেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপ্যারেন্ট। টু সিং ইনভায়ার্নমেন্ট অব দ্য হসপিটাল উই উড বি ইমপ্রেজেস। আমরা তখন নেহারের জন্য বুকড কেবিনে বসে আছি। পাশের কেবিনের নিচের দিকে তিন-চারটে রক্তমাখা ত্যানা স্তূপ করে রাখা। সম্ভবত একটু আগেই সিজার করা হয়েছে। রক্ত-পুঁজ দেখলে আমার গা গুলিয়ে ওঠার অভ্যাসটা অনেক পুরোনো। এখনো তার ব্যতিক্রম হলো না। গা গুলিয়ে উঠল। অনেকেরই বোধ হয় এরকম হয়! কিন্তু কী করব? এটুকু তো মেনে নিতেই হবে। গাইনি স্পেশালিস্ট রাথিয়া নেহারের সিজারিয়ান অপারেশন করছে। রাহেল তখনো ক্লিনিকে আসেনি। আসেনি, ঠিক তা নয়! আমরা এখানে আসার পর সে বাসায় গেছে ফ্রেশ হওয়ার জন্য। কদিন থেকেই অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে ওকে। আমি কেবিন ছেড়ে বাইরে এলাম। গভীরভাবে তাকিয়ে আছি কোথায়, জানি না। মনে হলো আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলছি দূর অজানায়। নেহারের জন্য মনটা অস্থির হয়ে উঠছে খুব। সেদিন সুলগ্নাকে সাহস দিলেও আমিও যে মনে মনে ভেঙে পড়িনি, তা কিন্তু নয়! আমাদের ওয়্যার স্ট্রিটের বাড়িতে বিয়ের পর নেহার খুব একটা যেত না। রাহেলও ব্যস্ত থাকত ওর অফিস কিংবা ফ্যামিলি নিয়ে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিল ওদের। সুলগ্নার মতো নেহারের সাথেও আমার বন্ডিংটা ছিল ফ্রেন্ডলি। আমি এখন সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। দরজার ওপাশের কেবিনে তখনো কোনো সাড়া শব্দ নেই। কান খাঁড়া করে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি একা। মা আমার কাছে এল। কী বিষণœ মা’র চেহারাখানি! বলল- তুই এখানে অনন্য? জি! কেন, কী হয়েছে মা? না, কিছু হয়নি। মাও যে ভালো নেই, সে কথা তো আমার অজানা নয়। হতবাক হয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি। দৃঢ়চেতা মনটা আমার আজ কেন ভেঙে ভেঙে পড়ছে বারবার?

সুইস উলের কামিজ, ইটালিয়ান সিল্কের স্কার্ফ আর রঙদার সালোয়ারের ওপর ডাক্তারি অ্যাপ্রন পরে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এল রাথিয়া। অপারেশন সাকসেসফুল। মা-শিশু দুজনেই অনেক ভালো আছে। রাথিয়া আমাকে বলল- দেয়ার ইজ নো প্রবলেম। অল আর সাকসেসফুল মিস্টার অনন্য। আমি কী বলব, ভেবে পাচ্ছি না। রাথিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। সে তাকানোয় হয়তো বা টেকসই ভালোবাসা ছিল! আমার বুকের ঠিক মাঝখানটায় রিস্টওয়াচের মতো টিকটিক করছে হৃৎপিন্ডটা। কিছু কি বলব রাথিয়াকে? রাথিয়ার দৃষ্টিও যে আমাকে অবলোকন করছিল- ওর ওই চাহনির দাগটানা ইতিহাস আমার সিক্স সেন্সকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল তখনই। ওর তাকানোয় আমি আমার জন্য পুনর্জন্মের ইতিকথা খুঁজে পেয়েছিলাম

হালকা-পাতলা গড়ন, মানানসই উচ্চতা, শ্যামবরণ গায়ের রঙ রাথিয়ার। ওর মায়াবী ঠোঁটের ওপর ছোট্ট একটা তিল, বড় বড় দুটো চোখ আমাকে বরাবরই ভীষণ টানে। রাথিয়া ওর চেম্বারে চলে গেল। আমি নেহারের পাশে গিয়ে বসলাম। নেহার ঘুমাচ্ছে। সেন্স ফেরেনি তখনো। নেহারের মুখের ওপর ঝুঁকে পড়লাম। এ কী, ওর মুখটা কেন জানি টোপা টোপা! প্রেগন্যান্সির সময় এরকম একটু-আধটু তো হয়ই। আমি রাথিয়ার চেম্বারের দিকে এগিয়ে গেলাম টাইম স্পেন্ড করার জন্য। কিন্তু দরজার পর্দা টেনে ভেতরে দেখলাম রাথিয়া ওর চেম্বারে নেই। সে কি তাহলে চলে গেছে? ওর পিএ বলল- রাথিয়া ম্যাডাম তো এখনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। অন্য হসপিটালে আরেকটা সিজারিয়ান অপারেশন আছে। কিছু বলতে হবে তাঁকে? আমি বললাম- না! স্বভাবতই আমি থমকে গেলাম। নিজের অজান্তেই রাথিয়াকে ঘিরে ভালোলাগাগুলো লাট খেতে থাকে বুকের ভেতর। আমি কি তাহলে টারশিয়েরি যুগের বিলুপ্ত কোনো প্রেমিকের ক্ষয়প্রাপ্ত ফসিল?

 শিবগঞ্জ, বগুড়া

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের সংগ্রামী সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করব। পেছনের ইতিহাস পেরিয়ে আমরা সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই।"

তিনি আরও বলেন, "আজকের মঞ্চ থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি—বাংলাদেশকে বিভাজিত হতে দেব না।" এরপর তিনি দলের লিখিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়—জুলাই ২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পরিবারতন্ত্রের কোনো স্থান থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা, সম্পদের সুষম পুনর্বণ্টন ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

পরিশেষে, নাহিদ ইসলাম বলেন, "এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার, এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার।"

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতাদের নামে যেসব মামলা হয়েছে, সরকার সেগুলো এখনো প্রত্যাহার করেনি।"

নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিএনপির সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সরকারের কাছে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাই। এছাড়া, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রিয়তা হারাবে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মামলা হয়েছে।"

দুদু সরকারের উদ্দেশে বলেন, "দেশের জনগণ সরকারের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন দেখিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ না করলে তারা সেই সমর্থন মুহূর্তেই প্রত্যাহার করতে পারে। তাই সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।"

Header Ad
Header Ad

খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!

খালেদা জিয়ার মতো সাজে কিশোরী জৌতি খাতুন। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা মতো সাজলেন এক কিশোরী। তার সঙ্গে ছবি ও সেলফি উঠতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টুকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওই কিশোরীকে খালেদা জিয়ার মতো সাজে দেখা যায়।

খালেদা জিয়ার মতো সাজে ওই কিশোরীর নাম জৌতি খাতুন। তিনি উপজেলার ফলদা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খানের কন্যা। জৌতি খাতুন অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা যায়, শুক্রবার বিকালে ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টুর গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। খালেদা জিয়ার মতো সাজে ওই কিশোরী উপস্থিত সকলের নজর কাড়ে। এ সময় তার সাথে উপস্থিত উৎসুক লোকজন ছবি, সেলফি ও ভিডিও করতে ভিড় করেন।

কিশোরী জৌতি খাতুন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো করে সাজে সাজতে পেরে ভালো লাগছে।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সংবর্ধিত অতিথি- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টু।

এছাড়াও অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুর হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় জেলা ও উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু
খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!
ম্যানসিটিতে যোগ দিলেন নতুন মেসি
একটি দল বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে বলে সতর্ক করেছেন তারেক রহমান
অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা
সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার