শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পারাপার

আশির দশক। অক্টোবরের এক বিষণ্ণ অপরাহ্ণ বেলায় ভিক্টোরিয়া পার্কে কংক্রিটের বেঞ্চের উপর বসে ভাবছিলাম অনেক কথা। পার্কে তখন তেমন জনসমাগম ছিল না। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ বসে গল্প করছিল। কেউ কেউ বাদাম, চানাচুর ও এটা সেটা খাচ্ছিল। পার্কের এক গেট দিয়ে ঢুকে অন্য গেট দিয়ে কেউ কেউ হেঁটে বের হয়ে যাচ্ছিল। আমি একাকী বসে আনমনে একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছিলাম। ধূয়াগুলো উড়ে যাচ্ছিল সেদিনের ম্লান বাতাসে।

কুমু আজ চলে গেল। আজও ওকে খেয়া নৌকায় করে বুড়িগঙ্গার ওপারে নামিয়ে দিয়ে এলাম। ওপারের ঘাট থেকে ওর কাছে থেকে যখন বিদায় নিয়ে চলে আসছিলাম, তখন কুমু আমার একটি হাত টেনে ধরে। জল টলমল চোখে চেয়ে থেকে বলে- 'কথা দাও, বেশি সিগারেট খাবে না। সময়মত খাবে। রাত জাগবে না। আমি চলে যাচ্ছি , তার মানে এই না- তোমার সাথে আর কখনও কোনও দিন দেখা হবে না! তুমি আমার বন্ধু। বন্ধু হয়েই থাকবে চিরকাল।'
কুমু ওয়াইজঘাটে একটি ললিতকলা একাডেমিতে গীটার বাজানো শিখত। আমিও শিখতাম। ওখানেই ওর সাথে পরিচয়। ও আসত বুড়িগঙ্গার ওপারে খেজুরবাগ থেকে। গীটারের তারে আঙুল ছোঁয়ার সময় চুপিচুপি ওকে দেখতাম। মেয়েটির গায়ের রং গৌরীয়। চন্দ্রমুখ। টিকালো নাক। মাথাভর্তি কার্ল কালো চুল। নয়নতারার মতো বিনম্র চোখ। বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রথম একদিন ওর সাথে কথা হলো। কথা বলতে বলতে দুজন দুজনকে জানলাম। তারপর দুজন বন্ধু হয়ে উঠি।

গত একবছর প্রতি শুক্রবার শনিবার ছুটির পরে ওয়াইজ ঘাট থেকে খেয়া নৌকায় কুমুর সাথে আমিও চলে যেতাম ওপারে। ওপারের ঘাটে ওকে পৌঁছে দিয়ে আমি আবার ফিরে আসতাম এপারে। নদী পার হওয়ার সময় ওর সাথে আমার যত কথা হতো। নদী পারাপারের সময়ই ওর সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠি। নৌকায় পাটাতনের উপর দুজন পাশাপাশি বসতাম। কথা বলতাম খুব কাছে থেকে। চুপচাপ বসে বসে দেখতাম নদীতে ভেসে যাওয়া অজস্র নৌকার সারি। দেখতাম জলের উপর আকাশের ছায়া। শুনতাম জলের কলধ্বনি।

কত স্মৃতি মস্তিষ্কের শিরায় তোলপাড় করে। একবার নদী পার হওয়ার সময় হঠাৎ আকাশ মেঘে কালো হয়ে আসে। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। ভিজে চুপসে যাচ্ছিলাম দুজনেই। আমার ফুসফুসে প্রদাহ ছিল। প্রায়ই খুসখুস করে কাশতাম। ওর সামনে সিগারেট খেতে পারতাম না। ঠোঁট থেকে সিগারেট কেড়ে নিয়ে ফেলে দিত। কুমু সেই বৃষ্টির সময় ওর বুকের খাঁজে আমার মাথা লুকিয়ে নিয়ে ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখে। যেন আমার ঠাণ্ডা না লাগে। কুমুকে সেই মুহূর্তে অপার্থিব সুন্দর লাগছিল। কিছু স্পর্শ একটুও পাপের মনে হয় না। কোনো অলৌকিক দেবীর পুণ্যের ছোঁয়ার মতো মনে হয়।

কুমুর একজন প্রেমিক ছিল। তারপরও ও মনে হয় আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। কেমন যেন জটিল মনে হতো অনেক কিছু। একবার সন্ধ্যার প্রায়ান্ধকারে বুড়িগঙ্গার কূলে দাঁড়িয়ে কুমু আমাকে বলেছিল - মানুষের দেহমন কেন যে একটা হলো। দুটো কেন হলো না? দুটো হলে একটা তোমাকে দিয়ে দিতাম আর একটা আমার ভাবি স্বামীকে দিতাম।

আমি কৌতুকছলে বলেছিলাম - 'তোমার যে একটা দেহ মন আছে সেটিই নাহয় আামাকে দিয়ে দাও।'
- তুমি এত ভালো ছেলে তোমাকে আমি ঠকাতে চাই না। কত মানুষ আছে শুধু আনন্দের জন্য মেয়েমানুষের শরীর খোঁজে। তুমি তো সেই রকম নও। শুধু আনন্দ করার জন্য যদি কখনও আমায় তোমার প্রয়োজন হয়, তবে তুমি আমাকে স্মরণ কোরো।
- না, প্রয়োজন হবে না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কুমু।
একবার ক্লাস ছুটির পর, আমি আর কুমু যাব নবাববাড়ির গেটে। কুমু কিছু কেনাকাটা করবে। ফুটপাতের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম ইসলামপুর রোডের দিকে। দেখি - গঙ্গাজলির কয়েকটি মেয়ে চোলি পরে সেজেগুজে আমাদের সামনে দিয়ে খিলখিল করে হাসতে হাসতে স্টার সিনেমা হলের দিকে চলে যাচ্ছে। আমি ওদেরকে দেখিয়ে কুমুকে বলি- পয়সা দিলে ওরা দেহের আনন্দ দেয়।' কুমু বলছিল, তুমি কখনও ওদের দেহের আনন্দ নেবে না। আমার মাথার দিব্বি রইল।

কুমুর সাথে আমার সম্পর্ক একসময় বন্ধু ও প্রেমিকার মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে রূপ নেয়। কিন্তু চির আক্ষেপ- স্ত্রী আর সে হলো না।
আজ ছিল শেষ পারাপার। আমাদের গীটার শেখার কোর্স শেষ হয়ে গেছে আরও দুই দিন আগে। কুমু আর আসবে না একাডেমিতে। ওকে রেখে যখন নৌকায় উঠি, নৌকা যেন মাঝ নদীতে থেমে যাচ্ছিল। মাঝির বৈঠা যেন চলছিল না ।
নৈর্ব্যক্তিক মনে হচ্ছিল নদীর জল। কেমন যেন বিধুর লাগছিল নিজেকে। নদী পার হওয়ার সময় আর কখনও নামতে দেখব না সন্ধ্যা। দেখা হবে না অস্তবেলার লাল আবীর মাখা সূর্য। বুড়িগঙ্গার জল নীরবে ছলছল করবে। ভেঁপু বাজিয়ে লঞ্চ চলাচল করবে। ঢেউ উঠবে। ঢেউ ভাঙবে। ঢেউ মিলিয়ে যাবে।

পার্কের লোকজন আস্তে আস্তে কখন সবাই চলে গেছে জানি না। আমি তখনও সিগারেট খেয়েই যাচ্ছিলাম। লাইটপোস্টের বাতির চারপাশে উইপোকা ভিনভিন করছিল। আধো আঁধারে একটা মধ্যবয়সী লোক আমার দিকে এগিয়ে আসে। কাছে এসে বলে - ছোট ভাই তুমি কেমন আছ?
- ভালো আছি।
- মনে হয় তুমি ভালো নেই। অনেকক্ষণ ধরে তোমাকে আমি অনুসরণ করছি। তুমি একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে যাচ্ছ। এত অল্প বয়স তোমার , তুমি নবীন। একদম তরুণ প্রাণ। শরীর খারাপ হয়ে যাবে!
- খারাপ হবে না। এমনই খাচ্ছিলাম।
- নাহ্, এমনই খাচ্ছ না। তোমাকে দেখে দেবদাসের মতো লাগছে। তা, আমার সাথে একজায়গায় তুমি যাবে?
- কোথায়?
- জিন্দাবাহার তৃতীয় লেন।
- ওখানে কে আছে?
- লখনৌর বেগমজানের বংশদ্ভূত অপূর্ব সুন্দর নাজমুন বাঈ। ভৈরবী রাগে গান ধরে সে ‘রসিয়া তোরি আখিয়ারে, জিয়া লাল চায়’ ঠুংরী ঠাটের গানের এ কলিতে জিন্দা বাহার গলির ওর জলসা কানায় কানায় ভরে উঠে।
আমি বললাম, টাকা দিতে হবে?
- হুম। টাকা দিতে হয়।
লোকটাকে বললাম, আমি ছাত্র মানুষ। আমার কাছে টাকা নেই।
লোকটি হতাশ হয়ে চলে গেল।
আমি আরও একটি সিগারেট ধরাই৷ কুমুর কথা মনে পড়ল আবার। ও আমায় বলেছিল-- 'তুমি কখনও যদি দেহের আনন্দ চাও তবে আমার দেহ থেকে নিও। ঐসব মেয়েদের থেকে নেবে না।'

সেই সন্ধ্যারাতে পার্ক থেকে বেরিয়ে আসছিলাম নীরব পদচিহ্ন ফেলে। পায়ের নিচে কংক্রিট না ঘাস, না মাটি- বুঝতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম কেবল, আমার দিন কাটবে কুমুরও দিন কাটবে। যতদিন জীবন আছে ততদিন এই জীবন চলবেই। একটি ক্ষীণ আশা জাগিয়ে হাঁটছিলাম নিবিড় আলো আঁধারে- আর একবার কী কুমুকে সাথে নিয়ে দেখতে পাবো না নদীতে নৌকায় ভেসে সন্ধ্যার সূর্যাস্ত! ডানা ঝাপটে কুলায় ফিরে যাবে পাখি। অস্ত দিগন্তে মিলিয়ে যেত জীবনের সব অপ্রাপ্তির বেদনা চিহ্ন।

 

ডিএসএস/ 
 

Header Ad

নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঞ্চন সুইচগেট এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে আলেপ (৫০) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) সকাল ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলেপ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।

মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে ভুট্টাক্ষেতের পাশে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের পবিত্র হজের ফ্লাইট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও শুক্রবার (১০ মে) দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (প্রথম দিন) পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। শুক্রবার (দ্বিতীয় দিন) ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।

ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলায় গাজার হাসপাতাল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থাপনাও রেহায় পায়নি। এ অভিযানে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ