বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

 অত বড় প্রেমিক আমি নই

স্যার বলেন তো, ঈশ্বর প্রথমে পুরুষ সৃস্টি করেছেন , পরে নারী সৃস্টি করেছেন কেন?
ছাত্রীর প্রশ্নের জবাবে বললাম,ঈশ্বরের ইচ্ছা মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। পড়ায় মন দাও।
গ্রাহ্য না করেই বিদ্যাবতী বলল, স্যার ধাঁধাঁটা অনেক সহজ ছিল।
বিরক্ত হয়ে বললাম, থামবে ? বুত্তের এক্সট্রা আবার ভুল করেছ?
বিদ্যাবতী : স্যার যারা ম্যাথসে ভাল হয় তারা লজিকে কাঁচা হয়। আমার লজিক ভাল , তাই ম্যাথসে কাঁচা। আমার ধাঁধাঁর উত্তর দেন।
কপট রাগ দেখিয়ে বললাম, ঊঁহ ! থামলে ভাল লাগে।
বিদ্যাবতী : স্যার এইটা কিন্তু টিভি নাটকের সংলাপ। মানে হচ্ছে, আপনি ম্যাথসে ভাল তাই আপনার লজিক খারাপ। কারন এই সিরিয়ালটা এখনো শেষ হয়নি। আপনি পুরনো সময়ের নাটকের সংলাপ বলতে পারতেন। তাহলে , আমি মনে করতাম , এটা আপনার নিজের , কারো কাছ থেকে ধার করেননি।
এবার ধমকের স্বরে বললাম, একটা প্রাসঙ্গিক কথা ধার করা হলে ক্ষতি কি?
বিদ্যাবতী : লাভ- ক্ষতির বিষয় না স্যার। এইটা হচ্ছে স্মার্টনেস। অন্যের কথা কিন্তু কেউ ধরতে পারল না।
এভাবে চলতে থাকলে আজ আর পড়বেই না, উদ্দেশ্য ধরে ফেললাম। তাই একটু আপোষের সুরেই বললাম, ঠিক আছে ধাঁধাঁর উত্তর বল। এরপর আর একটা কথাও নয়। অংকে মন দাও।
বিদ্যাবতী : ওকে গুরুর আদেশ শিরোধার্য। উত্তরটা হচ্ছে, রাফ কপির পরেই ফ্রেশ কপি করা হয়। অর্থাৎ ছেলেরা রাফ কপি আর মেয়েরা ফ্রেশ কপি। ঠিক না স্যার ?
ক্লাস টেন পড়–য়া ছাত্রী। আর দুমাস বাদে টেস্ট পরীক্ষা। বিচিত্র সব বিষয নিয়ে ওর আগ্রহ। আমি ওকে ডাকি বিদ্যবতী বলে।
বিদ্যাবতীকে কত বছর পড়িয়েছি এটা হিষাব কষাটা কঠিন। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরও ছুটিতে বাড়ী যাওয়া মানেই ওকে পড়ানো। ভার্সিটিতে পড়াশুনার চাপ বাড়তে থাকল। বিদ্যাবতীকে পড়ানোটাও বন্ধ হয়ে গেল। এরই মধ্যে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হল বিদ্যবর্তী। যোগাযোগ চিঠি পত্রে। দুই ঈদ ছাড়া দেখাও হয় না।
মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার পর , বিদ্যবতীকে অভিনন্দন জানিয়ে কার্ড পাঠালাম। লিখলাম, সোনালী জীবনকে সামনে রেখে সোনালী পণ্যে ভরা স্বর্ণ - শকট বেয়ে আরোহণ কর সাফল্যের স্বর্ণশিখরে - হও রাজে্শ্বরী। উত্তরে লিখেছে, আমি তো স্বর্ণ মোড়ানো রাজে্শ্বরী। আপনার স্থান কোথায় ? কবি গুরু থেকে উদ্ধৃতি টেনে লিখলাম, আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর।

বিদ্যাবতী খুব সুন্দর চিঠি লেখে। একটি চিঠিও নীল খামের নয়। ওর চিঠির ভাষা কখনো খুবই হেয়ালীপুর্ণ , আবার কখনো শিশুর সারল্যে মাখামাখি। ন্যাকামো নাই। তবে জ্যাঠামো - পাগলামো - দুস্টুমি ভরা।
একবার চিঠিতে লিখল , স্যার প্রেমের চিঠি কেমন হতে পারে ? আপনি অনেক সাহিত্য পড়েন। তবে আমি চাইব , নিজের কথা লিখবেন। কাউকে উদ্ধৃত করবেন না। আর কোন তাত্বিক কথা লিখবেন না। বিদ্যাবতীর এই চিঠির ভাষা আমার দ্ব্যর্থবোধক বলে মনে হল। তবে কি ? আশা দোলাও দিয়ে গেল মনে। বেয়াড়া ভাবনাটাকে জোর করে তাড়িয়ে দিলাম।
আমি সাধারন পরিবারের সাধারন ছেলে। পড়াশুনায় গড়পড়তা। চোখে পড়ার মত তেমন কিছুই নাই। সেভাবে লিখতে না পারলেও , প্রচুর সাহিত্য পড়ি। পড়াশুনা শেষ করে একটা ছোট খাটো চাকরী পেলেই আমি বর্তে যাই। বিত্ত - বিদ্যা, সামাজিক পরিচয় সবদিক থেকেই বিদ্যবতী অনেক এগিয়ে। আবেগ বশে রাখি , মন শান্ত রাখি।
এসব সাঁত পাঁচ ভেবে কয়েকদিন পর চিঠির উত্তর লিখলাম -
প্রেমের চিঠি বলতে আমি বুঝি সরল আবেগের প্রকাশ। এভাবে লেখা যেতে পারে,
আমি শাজাহান তুমি মমতাজ
স্বপ্নের তাজমহল গড়ি এসো আজ।
জবাবে বিদ্যবতী লিখেছে, আপনি মেল ভার্সনে লিখেছেন।
এইটার ফিমেল ভার্সন হতে পারে,
‘আমি মমতাজ তুমি শাজাহান
তোমার অনেক প্রেমিকা - আমার স্বপ্ন ভেঙে খান খান’।
একনিষ্ঠ প্রেমের অনুসারী ছেলেরা হতে পারে না, খুব সহজ করেই বুঝিয়ে দিয়েছে বিদ্যাবতী। একবার এক চিঠিতে লিখল , স্যার মেডিকেলে না পড়ে আমি ভার্সিটিতে পড়লে খুব ভাল হত ? ধরেন আপনি ভার্সিটিতে আপনার প্রেমিকাকে নিয়ে হাঁটছেন। আপনার সামনেই আপনার প্রেমিকাকে বলতাম, আপনার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কিন্তু ভার্সিটিতে আসার পর আমাকে ভুলে গেছেন। কাঁদো কাঁদো হয়ে আপনার প্রেমিকাকে বলতাম, আপনি মায়াবিনী আপনি আমার স্বপ্ন আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন !

এভাবেই চলছে। তবে চিঠির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আমার মাস্টার্স শেষের পথে। বিদ্যাবতীর চিঠি। লিখেছে, একটা ভাল সংবাদ আছে। ইয়ার ফাইনালে খুব ভাল ফল করেছি। এতটা ভাল করব ভাবিনি। এটা আপনার জন্য ভাল সংবাদ। আমার জন্য ভাল সংবাদটা আপনি দেবেন। মাস্টার্সের পর কি করবেন ? ঠিক করেছেন কিছ ু? আমি কিন্তু আপনাকে খুব বেশি সময় দিতে পারব না। বাবা -মা’র একমাত্র সন্তান আমি। ইন্টার্নি করা পর্যন্ত বড় জোর আটকে রাখতে পারব। আর একটা কথা , আপনি তো খুব ভালভাবেই জানেন , আমি অনেক সাহসী। নেক্সট চিঠিতে আপনাকে ‘ তুমি’ সম্বোধন করব। হা হাহাহা ..। আপনার ভাষাতেই বলি , আমি কিন্তু রাজেশ্বরী। সো যথা আজ্ঞা বলে , যা বলছি মেনে ‘নাও’।

মাস্টার্স শেষ হয়েছে দু বছর। চাকরী যোগাড় করতে পারিনি। চিঠির ভাষায় আবেগের জায়গাগুলো দখল করে নিচ্ছে বাস্তবতা। এভাবে চলল আরো কিছুদিন। বিদ্যাবতীর ইন্টার্নি শেষের পথে। চিঠি পেলাম। যেন সতর্কবার্তা। লিখেছে, ইন্টার্নি শেষ হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি। পাত্র দেখা চলছে। যা করার খুব দ্রæত কর।’
ততদিনে বুঝে গেছি, সবার জন্য সবকিছু নয়।
চিঠি লিখলাম।
চিঠিতে সিতা বিসর্জনের আধুনিক কাহিনি ফাঁদলাম --
আমরা ঘুমাই। ঘুমালে সাভাবিক কারনেই স্বপ্ন দেখি। একটা বিষয় খেয়াল করেছি । স্বপ্নে কারো সঙ্গে শারিরীক স্পর্শ ঘটলেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। তোমার - আমার সম্পর্কটা স্বপ্নের মত। আর স্বপ্নে ছোঁয়াছুঁয়ি মানেই তো অনিবার্য স্বপ্নভঙ্গ। তোমার - আমার একসঙ্গে থাকা মানেই তো স্বপ্ন ভঙ্গ। বরঞ্চ আমরা স্বপ্নটাকেই বাঁচিয়ে রাখি। দুরত্বই হোক আমাদেও বড় প্রেমের স্মারক।’

উত্তরে বিদ্যাবতী লিখেছে, শোন, আলগা বড় প্রেমিক সাজবা না। আমরা খুবই সাধারন। বড় প্রেমের নাগাল আমরা কখনোই পাবো না। তুমিই তো একবার বলেছিলে, এক শিল্পীর কথা। যিনি তার প্রেমিকাকে বলেছিলেন, তোমার চেয়ে সুন্দর পৃখিবীতে আর কিছুই হতে পারে না। একবার ওই শিল্পী গেলেন সমুদ্রে। জোছনায় সমুদ্র স্নান করছে। অপার্থিব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হযে গেলেন শিল্পী। অস্ফুটে বলে উঠলেন, এত সুন্দর। তারপরই তার মনে পড়ল তার প্রেমিকার কথা। তার মনে হল , প্রেমিকার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ঝাপিয়ে পড়লেন সমুদ্রে। প্রেম বেঁচে থাকল। সলিল সমাধি হলেন শিল্পী। এরা অন্য ঘরানার। এদের বোধ অনেক বিশাল। যেটা তুমি - আমি নই। আর আমার সঙ্গে অকারণ ভাব ধরবা না। তোমাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমি করছি।

বাসর রাত। বিদ্যাবতীকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিভাবে সম্ভব করলে! জবাবে বলল, আমি বাবা- মার একমাত্র সস্তান। দুদিনের হাঙ্গার স্টাইক। দরজা আটকে ঘরবন্দী থাকলাম। কি আর করবেন আম্মু –- আব্বু।
বললাম, তোমার এই পদ্ধতি যদি কাজ না করত ? বিদ্যবতী জানাল, বলতাম, আমার শরীরে তোমার বেবি। আমি আর্ত - চীৎকার করে উঠলাম মানে! নির্লিপ্ত বিদ্যাবতীর উত্তর, ভাঙা স্বপ্নে ঘুম ভাঙবে। আবার জেগে ওঠার পর সেই স্বপ্ন জোড়া লাগবে। এই ভাঙা - গড়ার খেলা চলতেই থাকবে জীবনভর। তবে অত বড় প্রেমিক কিন্তু তুমি নও।


ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২