শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

 অত বড় প্রেমিক আমি নই

স্যার বলেন তো, ঈশ্বর প্রথমে পুরুষ সৃস্টি করেছেন , পরে নারী সৃস্টি করেছেন কেন?
ছাত্রীর প্রশ্নের জবাবে বললাম,ঈশ্বরের ইচ্ছা মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। পড়ায় মন দাও।
গ্রাহ্য না করেই বিদ্যাবতী বলল, স্যার ধাঁধাঁটা অনেক সহজ ছিল।
বিরক্ত হয়ে বললাম, থামবে ? বুত্তের এক্সট্রা আবার ভুল করেছ?
বিদ্যাবতী : স্যার যারা ম্যাথসে ভাল হয় তারা লজিকে কাঁচা হয়। আমার লজিক ভাল , তাই ম্যাথসে কাঁচা। আমার ধাঁধাঁর উত্তর দেন।
কপট রাগ দেখিয়ে বললাম, ঊঁহ ! থামলে ভাল লাগে।
বিদ্যাবতী : স্যার এইটা কিন্তু টিভি নাটকের সংলাপ। মানে হচ্ছে, আপনি ম্যাথসে ভাল তাই আপনার লজিক খারাপ। কারন এই সিরিয়ালটা এখনো শেষ হয়নি। আপনি পুরনো সময়ের নাটকের সংলাপ বলতে পারতেন। তাহলে , আমি মনে করতাম , এটা আপনার নিজের , কারো কাছ থেকে ধার করেননি।
এবার ধমকের স্বরে বললাম, একটা প্রাসঙ্গিক কথা ধার করা হলে ক্ষতি কি?
বিদ্যাবতী : লাভ- ক্ষতির বিষয় না স্যার। এইটা হচ্ছে স্মার্টনেস। অন্যের কথা কিন্তু কেউ ধরতে পারল না।
এভাবে চলতে থাকলে আজ আর পড়বেই না, উদ্দেশ্য ধরে ফেললাম। তাই একটু আপোষের সুরেই বললাম, ঠিক আছে ধাঁধাঁর উত্তর বল। এরপর আর একটা কথাও নয়। অংকে মন দাও।
বিদ্যাবতী : ওকে গুরুর আদেশ শিরোধার্য। উত্তরটা হচ্ছে, রাফ কপির পরেই ফ্রেশ কপি করা হয়। অর্থাৎ ছেলেরা রাফ কপি আর মেয়েরা ফ্রেশ কপি। ঠিক না স্যার ?
ক্লাস টেন পড়–য়া ছাত্রী। আর দুমাস বাদে টেস্ট পরীক্ষা। বিচিত্র সব বিষয নিয়ে ওর আগ্রহ। আমি ওকে ডাকি বিদ্যবতী বলে।
বিদ্যাবতীকে কত বছর পড়িয়েছি এটা হিষাব কষাটা কঠিন। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরও ছুটিতে বাড়ী যাওয়া মানেই ওকে পড়ানো। ভার্সিটিতে পড়াশুনার চাপ বাড়তে থাকল। বিদ্যাবতীকে পড়ানোটাও বন্ধ হয়ে গেল। এরই মধ্যে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হল বিদ্যবর্তী। যোগাযোগ চিঠি পত্রে। দুই ঈদ ছাড়া দেখাও হয় না।
মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার পর , বিদ্যবতীকে অভিনন্দন জানিয়ে কার্ড পাঠালাম। লিখলাম, সোনালী জীবনকে সামনে রেখে সোনালী পণ্যে ভরা স্বর্ণ - শকট বেয়ে আরোহণ কর সাফল্যের স্বর্ণশিখরে - হও রাজে্শ্বরী। উত্তরে লিখেছে, আমি তো স্বর্ণ মোড়ানো রাজে্শ্বরী। আপনার স্থান কোথায় ? কবি গুরু থেকে উদ্ধৃতি টেনে লিখলাম, আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর।

বিদ্যাবতী খুব সুন্দর চিঠি লেখে। একটি চিঠিও নীল খামের নয়। ওর চিঠির ভাষা কখনো খুবই হেয়ালীপুর্ণ , আবার কখনো শিশুর সারল্যে মাখামাখি। ন্যাকামো নাই। তবে জ্যাঠামো - পাগলামো - দুস্টুমি ভরা।
একবার চিঠিতে লিখল , স্যার প্রেমের চিঠি কেমন হতে পারে ? আপনি অনেক সাহিত্য পড়েন। তবে আমি চাইব , নিজের কথা লিখবেন। কাউকে উদ্ধৃত করবেন না। আর কোন তাত্বিক কথা লিখবেন না। বিদ্যাবতীর এই চিঠির ভাষা আমার দ্ব্যর্থবোধক বলে মনে হল। তবে কি ? আশা দোলাও দিয়ে গেল মনে। বেয়াড়া ভাবনাটাকে জোর করে তাড়িয়ে দিলাম।
আমি সাধারন পরিবারের সাধারন ছেলে। পড়াশুনায় গড়পড়তা। চোখে পড়ার মত তেমন কিছুই নাই। সেভাবে লিখতে না পারলেও , প্রচুর সাহিত্য পড়ি। পড়াশুনা শেষ করে একটা ছোট খাটো চাকরী পেলেই আমি বর্তে যাই। বিত্ত - বিদ্যা, সামাজিক পরিচয় সবদিক থেকেই বিদ্যবতী অনেক এগিয়ে। আবেগ বশে রাখি , মন শান্ত রাখি।
এসব সাঁত পাঁচ ভেবে কয়েকদিন পর চিঠির উত্তর লিখলাম -
প্রেমের চিঠি বলতে আমি বুঝি সরল আবেগের প্রকাশ। এভাবে লেখা যেতে পারে,
আমি শাজাহান তুমি মমতাজ
স্বপ্নের তাজমহল গড়ি এসো আজ।
জবাবে বিদ্যবতী লিখেছে, আপনি মেল ভার্সনে লিখেছেন।
এইটার ফিমেল ভার্সন হতে পারে,
‘আমি মমতাজ তুমি শাজাহান
তোমার অনেক প্রেমিকা - আমার স্বপ্ন ভেঙে খান খান’।
একনিষ্ঠ প্রেমের অনুসারী ছেলেরা হতে পারে না, খুব সহজ করেই বুঝিয়ে দিয়েছে বিদ্যাবতী। একবার এক চিঠিতে লিখল , স্যার মেডিকেলে না পড়ে আমি ভার্সিটিতে পড়লে খুব ভাল হত ? ধরেন আপনি ভার্সিটিতে আপনার প্রেমিকাকে নিয়ে হাঁটছেন। আপনার সামনেই আপনার প্রেমিকাকে বলতাম, আপনার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কিন্তু ভার্সিটিতে আসার পর আমাকে ভুলে গেছেন। কাঁদো কাঁদো হয়ে আপনার প্রেমিকাকে বলতাম, আপনি মায়াবিনী আপনি আমার স্বপ্ন আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন !

এভাবেই চলছে। তবে চিঠির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আমার মাস্টার্স শেষের পথে। বিদ্যাবতীর চিঠি। লিখেছে, একটা ভাল সংবাদ আছে। ইয়ার ফাইনালে খুব ভাল ফল করেছি। এতটা ভাল করব ভাবিনি। এটা আপনার জন্য ভাল সংবাদ। আমার জন্য ভাল সংবাদটা আপনি দেবেন। মাস্টার্সের পর কি করবেন ? ঠিক করেছেন কিছ ু? আমি কিন্তু আপনাকে খুব বেশি সময় দিতে পারব না। বাবা -মা’র একমাত্র সন্তান আমি। ইন্টার্নি করা পর্যন্ত বড় জোর আটকে রাখতে পারব। আর একটা কথা , আপনি তো খুব ভালভাবেই জানেন , আমি অনেক সাহসী। নেক্সট চিঠিতে আপনাকে ‘ তুমি’ সম্বোধন করব। হা হাহাহা ..। আপনার ভাষাতেই বলি , আমি কিন্তু রাজেশ্বরী। সো যথা আজ্ঞা বলে , যা বলছি মেনে ‘নাও’।

মাস্টার্স শেষ হয়েছে দু বছর। চাকরী যোগাড় করতে পারিনি। চিঠির ভাষায় আবেগের জায়গাগুলো দখল করে নিচ্ছে বাস্তবতা। এভাবে চলল আরো কিছুদিন। বিদ্যাবতীর ইন্টার্নি শেষের পথে। চিঠি পেলাম। যেন সতর্কবার্তা। লিখেছে, ইন্টার্নি শেষ হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি। পাত্র দেখা চলছে। যা করার খুব দ্রæত কর।’
ততদিনে বুঝে গেছি, সবার জন্য সবকিছু নয়।
চিঠি লিখলাম।
চিঠিতে সিতা বিসর্জনের আধুনিক কাহিনি ফাঁদলাম --
আমরা ঘুমাই। ঘুমালে সাভাবিক কারনেই স্বপ্ন দেখি। একটা বিষয় খেয়াল করেছি । স্বপ্নে কারো সঙ্গে শারিরীক স্পর্শ ঘটলেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। তোমার - আমার সম্পর্কটা স্বপ্নের মত। আর স্বপ্নে ছোঁয়াছুঁয়ি মানেই তো অনিবার্য স্বপ্নভঙ্গ। তোমার - আমার একসঙ্গে থাকা মানেই তো স্বপ্ন ভঙ্গ। বরঞ্চ আমরা স্বপ্নটাকেই বাঁচিয়ে রাখি। দুরত্বই হোক আমাদেও বড় প্রেমের স্মারক।’

উত্তরে বিদ্যাবতী লিখেছে, শোন, আলগা বড় প্রেমিক সাজবা না। আমরা খুবই সাধারন। বড় প্রেমের নাগাল আমরা কখনোই পাবো না। তুমিই তো একবার বলেছিলে, এক শিল্পীর কথা। যিনি তার প্রেমিকাকে বলেছিলেন, তোমার চেয়ে সুন্দর পৃখিবীতে আর কিছুই হতে পারে না। একবার ওই শিল্পী গেলেন সমুদ্রে। জোছনায় সমুদ্র স্নান করছে। অপার্থিব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হযে গেলেন শিল্পী। অস্ফুটে বলে উঠলেন, এত সুন্দর। তারপরই তার মনে পড়ল তার প্রেমিকার কথা। তার মনে হল , প্রেমিকার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ঝাপিয়ে পড়লেন সমুদ্রে। প্রেম বেঁচে থাকল। সলিল সমাধি হলেন শিল্পী। এরা অন্য ঘরানার। এদের বোধ অনেক বিশাল। যেটা তুমি - আমি নই। আর আমার সঙ্গে অকারণ ভাব ধরবা না। তোমাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমি করছি।

বাসর রাত। বিদ্যাবতীকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিভাবে সম্ভব করলে! জবাবে বলল, আমি বাবা- মার একমাত্র সস্তান। দুদিনের হাঙ্গার স্টাইক। দরজা আটকে ঘরবন্দী থাকলাম। কি আর করবেন আম্মু –- আব্বু।
বললাম, তোমার এই পদ্ধতি যদি কাজ না করত ? বিদ্যবতী জানাল, বলতাম, আমার শরীরে তোমার বেবি। আমি আর্ত - চীৎকার করে উঠলাম মানে! নির্লিপ্ত বিদ্যাবতীর উত্তর, ভাঙা স্বপ্নে ঘুম ভাঙবে। আবার জেগে ওঠার পর সেই স্বপ্ন জোড়া লাগবে। এই ভাঙা - গড়ার খেলা চলতেই থাকবে জীবনভর। তবে অত বড় প্রেমিক কিন্তু তুমি নও।


ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্টন মোড়ে।

সাবেক ওই আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি বগুড়া শহর যুবলীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে একটি ইসলামি মাহফিলের আয়োজনে অতিথি করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার পল্টন মোড়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন।

পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা ও জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপিতে যোগদান করা সাবেক যুবলীগ নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদকে একটি ইসলামি মাহফিলে অতিথি করেন জামায়াতের আয়োজকরা। সেখানে উপজেলা বিএনপির প্রকৃত কোনও নেতাকে অতিথির তালিকায় রাখা হয়নি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপকে মারপিট ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে জেলা বিএনপির নেতারা থানায় আসেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, একটি ইসলামি মাহফিলকে কেন্দ্র করে মূলত জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বৃটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর দ্য ইকোনমিস্টের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা খেতাব জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি নেয় বৃটিশ সাময়িকীটি।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু একটি দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি তার একটি উদাহরণ যে, তরুণরা কত শক্তিশালী।

২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের পর কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম, সেখান থেকে আমাকে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আবার সেখানে ফিরে যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ বর্তমানে আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। এই তরুণেরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।

Header Ad
Header Ad

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং

শাহরুখ খান ও হানি সিং। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানের সময় হোটেল রুমে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

সেই সময় গুঞ্জন ছিল, শাহরুখ খান এত জোরে চড় মারেন যে হানি সিং গুরুতর আহত হন। এমনকি তাঁর কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়, এবং সে কারণেই তিনি সেদিন মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি। বলিউড মহলে ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল।

তবে, দীর্ঘ ৯ বছর পর, অবশেষে হানি সিং নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া তাঁর জীবনকাহিনিভিত্তিক একটি তথ্যচিত্রে গায়ক এই বিতর্কিত ঘটনার আসল সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আসলে সেদিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সেই সময়কার গুজব বাস্তবতাকে মিথ্যে রূপে উপস্থাপন করেছিল।

হানি সিং বলেন, বলিউড কিং খান কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন বাদশাহ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটি একেবারেই মিথ্যা কথা।

এ গায়ক বলেন, আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল— মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফি মাগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।

হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তার বোনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু