শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রথম ভালোবাসা ও মনের অনুভূতি

কৈশোরকাল মানুষের জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ সেইসময়ের স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যায়না। কৈশোরের সোনালী দিনের স্মৃতিগুলো স্মরণ করে, একজন মানুষ তার জীবনের বাকি সময়টুকু অতিবাহিত করে সুখে কিংবা দুঃখ অন্তরে রোপণ করে। কৈশোরের সেই সোনালী দিনের স্মৃতিগুলোর মাঝে একটি স্মৃতি জর্জরিত সেটি হচ্ছে প্রথম প্রেম বা ভালোবাসা যা কেউই ভুলতে পারেনা। (বিশেষ করে ছেলেরা)

ভালোবাসা মানেই সমর্পণ ভালোবাসা মানেই বিসর্জন। ভালোবাসা মানে শুধু দেহের বা রুপের আকর্ষণ নয়, ভালোবাসা মানে সম্মান,শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভরসা। একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। আমি এই কথা বললাম কারণ আমাদের বর্তমানের ভালোবাসা মানে শুধুই যে দেহের লালসা আর কিছু নয়। কিন্ত তাবলে যে সত্যিকারের ভালোবাসা তৈরি হয়না এই কথা আমি বলবনা কারণ আমার প্রেমের ঘটনা শুনে আপনারা এমনিতেই বুঝতে পারবেন যে সত্যি কারের অর্থে ভালোবাসা কাকে বলে।

সময়টা ঠিক ২০১৬ সাল আমি নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো, এককথায় স্কলার ছিলাম। গত কয়েক দিন আগে অষ্টম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় আমি আমাদের জেলার মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছি। কিন্ত হঠাৎ আমার বাবার অপসারণের কারণে আমাদের ও তার সঙ্গে যেতে হলো। আমার ফলাফল ভালো হবার কারণে সহজেই ভালো স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার ফলাফল যেহেতু ভালো সেই হিসেবে আমি নতুন স্কুলে প্রথম স্থান অর্জন করি। ঠিক আমার পরে যার স্থান সেও খুব মেধাবী তার চেহারা মনমুগ্ধময় আমার জন্যে যে তার প্রথম স্থান অর্জন  করা হলোনা তাহ একটু
রাগ করেছে আমার ওপর, ওর চেহারাটা দেখেই বুঝলাম। আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত শ্রেণী কার্য পরিচালনা করা হতো। তাই আমরা আমাদের পঠ্য বইতেই বেশি মনোযোগ দিতাম। আমার ওকে অনেক ভালো লাগতো কিন্তু ওকে বলবার সাহস আমার ছিলনা।

আমার পড়াশোনা খুব ভালোভাবেই চলছিল কিন্ত আমার অংকে কিছু সমস্যা দেখা দিল তাই আব্বু নিজের এক বন্ধুর বাসায় অংকের টিউশন ঠিক করলেন। আমিও সেই টিউশনে প্রতিদিন যেতে লাগলাম কিছুদিনের মধ্যেই আমার অংকের সমস্যা আর দেখা দিল না এবং সকল অংকের সমাধান সহজে এবং দ্রুত করায় আমি খানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করলাম এবং গর্বের পাত্র হয়ে গেলাম। আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো যখন টিউশনে আসল মিম যাকে আমি নিজের মনের ভেতর জায়গা দিয়ে ফেলেছি। আমার প্রশংসা শয়ন করে ওর রাগ আরো বেড়ে গেল। আমি একদিন ওর কাছে থেকে একটা কলম চাই ও আমাকে কলমটা তো দিলোইনা বরং অপমান করে বলল 'তুমি আমার শত্রু, তুমি এখানে থেকে যাও তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছে না” আমার মনে হলো যাকে আমি মনে মনে পছন্দ
করি ও কেমনে আমার সাথে এইভাবে কথা বলতে পারে। আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল সেদিন। পরবর্তী দিনে আমি আর ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করিনা। আমার বন্ধুর নাম আহসান সে আমার প্রকৃত বন্ধু ওর সাথে আমি আমার পছন্দের কথা ভাগাভাগি করেছিলাম তাই ও আমার অপমানের কথা শুনে মিমকে গিয়ে বলল, তুমি যাকে অপমান করেছ সে তোমাকে ভালোবাসে তাই তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু তুমি ওকে অপমান করেছ। আর ও কখনো তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করবেনা, ওর পক্ষ হয়ে আমি তোমাকে স্যরি বলতে এসেছি। আহসানের কথা শুনে ও মনে মনে কষ্ট পেলো। পরেরদিন স্কুলে প্রথম সে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত আমি ওর সাথে কথা বললাম না চলে গেলাম বাসায়। একটু পরে টিউশনে গেলাম এখানে মিম আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্ত আমি ওকে উপেক্ষা করছি এক সময় মিম ও বিরক্ত হয়ে আর কথা বললো না। আমি মনে করলাম ও হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তাই কথা বলার চেষ্টা করছে। পরবর্তী সময়ে আমি আমার স্কুল লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ছি হঠাৎ মাহি (মিমের বান্ধবী) এসে বললো যে মিমের  এক অটোরিকশা এসে মেরে দিয়েছে, আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল এই খবরটি শুনবার পরে দৌড়ে গেলাম হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর বাম পায়ে ও কোমরের দিকে ব্যান্ডিস লাগানো। মিম পুরো দুদিন অজ্ঞান ছিলো আমিও এই দুদিন ওর কাছেই ছিলাম।

তাই আচ্ছা এই নাও আই লাভ ইউ ভেরি ভেরি মাচ বলে দিলাম। মিম অসুস্থ অবস্থায় মনে হয় লজ্জা পেয়েছে। অতঃপর কিছু দিন পর ও সুস্থ হয়ে গেল এবং আমি ওকে নিয়ে প্রথম বার বেড়াতে বের হলাম ওকে আমি রমনা পার্কে নিয়ে গেলাম এবং অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালাম। অবশেষে সন্ধ্যা ৬ টায় ওকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার সময় মিম আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো - 'তুমি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েগেছো।' আর আমিও ওকে বললাম যে আমি তোমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েছি কিন্ত তুমি যে আমার জীবন হয়ে গেছো। এই কথা শুনে আমরা
দুজনেই দুজনের সামলাতে না পেরে প্রথম আমরা চুম্বন করি আর এইভাবেই ৪ বছরের সম্পর্ক এখনো আমরা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ওকে বাড়িতে রেখে আমিও আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। (আমার নাম হচ্ছে ইসমাহল আপনাদের বলাই হয়নি)। এইভাবেই, আমার প্রথম ভালোবাসা আমার মনে জাগ্রত হয়ে আছে এবং আমার অন্তরে সুগন্ধির ন্যায় ছড়িয়ে আছে।

আমার জীবনের প্রথম প্রেম এইটা আমার কাছে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। আমাদের তথা মিম ও ইসমাইলের ভালোবাসা আস্তে আস্তে এক অনন্য রুপ ধারণ করে। আমরা একে ওপরের সাথে কথা বলার জন্য সবসম্য চেষ্টা করি। কন্ত আমাদের সামনে যে বোর্ড পরীক্ষা এটাও আমাদের মনে ছিল এবং আমরা ভালোবাসার সাথে সাথে পড়াশোনা করে খুব ভালো ফলাফল অর্জন করি। তাই আমার জীবনের এই মুহূর্তটা উপভোগ করে আমি ভালোবাসার এক নতুন রুপ দিতে চাই তা হলো-

মনে কষ্ট বুকে ব্যথা,
চোখের জল ফেলতে মানা
হাজার কষ্ট চেপেও হাসা,
তাকেই বলে সত্যিকারের ভালোবাসা।

ভালোবাসার গল্পে আমার সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল আমার বন্ধু আহসান শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয় আমাদের দেশে ভালোবাসা অর্জনের পেছনে একটা বন্ধুর অবদান অবশ্যই থাকবে আবার একটা সুন্দর ও মনোরম ভালোবাসার সম্পর্ক বিচ্ছেদের পেছনেও একজন বন্ধুরই হাত থাকে তাহলে আমাদের উচিত একজন প্রকৃত বন্ধু খুঁজে বের করা যে আপনাকে সহযোগিতা করব, আপনার দুর্বলতার ফয়দা নিবে না। তাই আমার কাছে মনে হয় যে দ্বিধাহীন ভালোবাসা মূল্যহীন কারণ দ্বিধা না থাকলে ভালোবাসা কখনোই সার্থকতা লাভ করতে পারে না। অবশেষে আমি এইটা বলছি যে ভালোবাসা সহজেই কেউ পেয়ে যায় তাহলে এই ভালোবাসা তার কাছে সস্তা এবং মূল্যহীন।

কাছে আসাই শুধু ভালোবাসা না ভালোবাসা মানে দূরে থেকেও মে সবসময় কাছে থাকবে এবং সর্বদা মনে জাগ্রত থাকবে এইভাবে আমরা ভালোবাসব এবং ভালোবাসার আসল অর্থ জানার চেষ্টা করব আর সবচেয়ে বড় কথা কাউকে ভালোবাসতে সাহায্য করব আমার বন্ধু আহসানের মতো তাহলে এই পৃথিবী ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ দেশটিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে শুক্রবার (১০ মে)। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ভোটাভুটির পরপর সাধারণ সভাতেই জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।

সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরায়েলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।

যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।

 

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।

জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা। সূত্র: এনডিটিভি

স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। ছবি: সংগৃহীত

যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত এপ্রিল থেকেই সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে অন্যান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। এতে জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না।

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীদের গণভবন অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীরা। এতে শাহবাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এ সময় তারা ‘‘পঁয়ত্রিশ আমার অধিকার’’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, ৩৫ আমার ঠিকানা’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল ভেঙ্গে দাও’ ও ‘নির্বাচনী ইশতেহার পালন করতে হবে’ সহ নানা স্লোগান দেন।

চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরি প্রত্যাশী। সবশেষ শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে শিক্ষামন্ত্রী চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে সুপারিশ করেন।

এদিন দুপুরে সমাবেশে পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়ে না করেই দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন একতা কাপুর
আগামীকাল এসএসসির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
৫০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি কেজরিওয়াল, একনায়কতন্ত্র আটকানোর আহ্বান
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ
যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী