বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রথম ভালোবাসা ও মনের অনুভূতি

কৈশোরকাল মানুষের জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ সেইসময়ের স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যায়না। কৈশোরের সোনালী দিনের স্মৃতিগুলো স্মরণ করে, একজন মানুষ তার জীবনের বাকি সময়টুকু অতিবাহিত করে সুখে কিংবা দুঃখ অন্তরে রোপণ করে। কৈশোরের সেই সোনালী দিনের স্মৃতিগুলোর মাঝে একটি স্মৃতি জর্জরিত সেটি হচ্ছে প্রথম প্রেম বা ভালোবাসা যা কেউই ভুলতে পারেনা। (বিশেষ করে ছেলেরা)

ভালোবাসা মানেই সমর্পণ ভালোবাসা মানেই বিসর্জন। ভালোবাসা মানে শুধু দেহের বা রুপের আকর্ষণ নয়, ভালোবাসা মানে সম্মান,শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভরসা। একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। আমি এই কথা বললাম কারণ আমাদের বর্তমানের ভালোবাসা মানে শুধুই যে দেহের লালসা আর কিছু নয়। কিন্ত তাবলে যে সত্যিকারের ভালোবাসা তৈরি হয়না এই কথা আমি বলবনা কারণ আমার প্রেমের ঘটনা শুনে আপনারা এমনিতেই বুঝতে পারবেন যে সত্যি কারের অর্থে ভালোবাসা কাকে বলে।

সময়টা ঠিক ২০১৬ সাল আমি নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো, এককথায় স্কলার ছিলাম। গত কয়েক দিন আগে অষ্টম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় আমি আমাদের জেলার মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছি। কিন্ত হঠাৎ আমার বাবার অপসারণের কারণে আমাদের ও তার সঙ্গে যেতে হলো। আমার ফলাফল ভালো হবার কারণে সহজেই ভালো স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার ফলাফল যেহেতু ভালো সেই হিসেবে আমি নতুন স্কুলে প্রথম স্থান অর্জন করি। ঠিক আমার পরে যার স্থান সেও খুব মেধাবী তার চেহারা মনমুগ্ধময় আমার জন্যে যে তার প্রথম স্থান অর্জন  করা হলোনা তাহ একটু
রাগ করেছে আমার ওপর, ওর চেহারাটা দেখেই বুঝলাম। আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত শ্রেণী কার্য পরিচালনা করা হতো। তাই আমরা আমাদের পঠ্য বইতেই বেশি মনোযোগ দিতাম। আমার ওকে অনেক ভালো লাগতো কিন্তু ওকে বলবার সাহস আমার ছিলনা।

আমার পড়াশোনা খুব ভালোভাবেই চলছিল কিন্ত আমার অংকে কিছু সমস্যা দেখা দিল তাই আব্বু নিজের এক বন্ধুর বাসায় অংকের টিউশন ঠিক করলেন। আমিও সেই টিউশনে প্রতিদিন যেতে লাগলাম কিছুদিনের মধ্যেই আমার অংকের সমস্যা আর দেখা দিল না এবং সকল অংকের সমাধান সহজে এবং দ্রুত করায় আমি খানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করলাম এবং গর্বের পাত্র হয়ে গেলাম। আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো যখন টিউশনে আসল মিম যাকে আমি নিজের মনের ভেতর জায়গা দিয়ে ফেলেছি। আমার প্রশংসা শয়ন করে ওর রাগ আরো বেড়ে গেল। আমি একদিন ওর কাছে থেকে একটা কলম চাই ও আমাকে কলমটা তো দিলোইনা বরং অপমান করে বলল 'তুমি আমার শত্রু, তুমি এখানে থেকে যাও তোমাকে আমার সহ্য হচ্ছে না” আমার মনে হলো যাকে আমি মনে মনে পছন্দ
করি ও কেমনে আমার সাথে এইভাবে কথা বলতে পারে। আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল সেদিন। পরবর্তী দিনে আমি আর ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করিনা। আমার বন্ধুর নাম আহসান সে আমার প্রকৃত বন্ধু ওর সাথে আমি আমার পছন্দের কথা ভাগাভাগি করেছিলাম তাই ও আমার অপমানের কথা শুনে মিমকে গিয়ে বলল, তুমি যাকে অপমান করেছ সে তোমাকে ভালোবাসে তাই তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু তুমি ওকে অপমান করেছ। আর ও কখনো তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করবেনা, ওর পক্ষ হয়ে আমি তোমাকে স্যরি বলতে এসেছি। আহসানের কথা শুনে ও মনে মনে কষ্ট পেলো। পরেরদিন স্কুলে প্রথম সে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত আমি ওর সাথে কথা বললাম না চলে গেলাম বাসায়। একটু পরে টিউশনে গেলাম এখানে মিম আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্ত আমি ওকে উপেক্ষা করছি এক সময় মিম ও বিরক্ত হয়ে আর কথা বললো না। আমি মনে করলাম ও হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তাই কথা বলার চেষ্টা করছে। পরবর্তী সময়ে আমি আমার স্কুল লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ছি হঠাৎ মাহি (মিমের বান্ধবী) এসে বললো যে মিমের  এক অটোরিকশা এসে মেরে দিয়েছে, আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল এই খবরটি শুনবার পরে দৌড়ে গেলাম হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর বাম পায়ে ও কোমরের দিকে ব্যান্ডিস লাগানো। মিম পুরো দুদিন অজ্ঞান ছিলো আমিও এই দুদিন ওর কাছেই ছিলাম।

তাই আচ্ছা এই নাও আই লাভ ইউ ভেরি ভেরি মাচ বলে দিলাম। মিম অসুস্থ অবস্থায় মনে হয় লজ্জা পেয়েছে। অতঃপর কিছু দিন পর ও সুস্থ হয়ে গেল এবং আমি ওকে নিয়ে প্রথম বার বেড়াতে বের হলাম ওকে আমি রমনা পার্কে নিয়ে গেলাম এবং অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালাম। অবশেষে সন্ধ্যা ৬ টায় ওকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার সময় মিম আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো - 'তুমি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েগেছো।' আর আমিও ওকে বললাম যে আমি তোমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েছি কিন্ত তুমি যে আমার জীবন হয়ে গেছো। এই কথা শুনে আমরা
দুজনেই দুজনের সামলাতে না পেরে প্রথম আমরা চুম্বন করি আর এইভাবেই ৪ বছরের সম্পর্ক এখনো আমরা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ওকে বাড়িতে রেখে আমিও আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। (আমার নাম হচ্ছে ইসমাহল আপনাদের বলাই হয়নি)। এইভাবেই, আমার প্রথম ভালোবাসা আমার মনে জাগ্রত হয়ে আছে এবং আমার অন্তরে সুগন্ধির ন্যায় ছড়িয়ে আছে।

আমার জীবনের প্রথম প্রেম এইটা আমার কাছে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। আমাদের তথা মিম ও ইসমাইলের ভালোবাসা আস্তে আস্তে এক অনন্য রুপ ধারণ করে। আমরা একে ওপরের সাথে কথা বলার জন্য সবসম্য চেষ্টা করি। কন্ত আমাদের সামনে যে বোর্ড পরীক্ষা এটাও আমাদের মনে ছিল এবং আমরা ভালোবাসার সাথে সাথে পড়াশোনা করে খুব ভালো ফলাফল অর্জন করি। তাই আমার জীবনের এই মুহূর্তটা উপভোগ করে আমি ভালোবাসার এক নতুন রুপ দিতে চাই তা হলো-

মনে কষ্ট বুকে ব্যথা,
চোখের জল ফেলতে মানা
হাজার কষ্ট চেপেও হাসা,
তাকেই বলে সত্যিকারের ভালোবাসা।

ভালোবাসার গল্পে আমার সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল আমার বন্ধু আহসান শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয় আমাদের দেশে ভালোবাসা অর্জনের পেছনে একটা বন্ধুর অবদান অবশ্যই থাকবে আবার একটা সুন্দর ও মনোরম ভালোবাসার সম্পর্ক বিচ্ছেদের পেছনেও একজন বন্ধুরই হাত থাকে তাহলে আমাদের উচিত একজন প্রকৃত বন্ধু খুঁজে বের করা যে আপনাকে সহযোগিতা করব, আপনার দুর্বলতার ফয়দা নিবে না। তাই আমার কাছে মনে হয় যে দ্বিধাহীন ভালোবাসা মূল্যহীন কারণ দ্বিধা না থাকলে ভালোবাসা কখনোই সার্থকতা লাভ করতে পারে না। অবশেষে আমি এইটা বলছি যে ভালোবাসা সহজেই কেউ পেয়ে যায় তাহলে এই ভালোবাসা তার কাছে সস্তা এবং মূল্যহীন।

কাছে আসাই শুধু ভালোবাসা না ভালোবাসা মানে দূরে থেকেও মে সবসময় কাছে থাকবে এবং সর্বদা মনে জাগ্রত থাকবে এইভাবে আমরা ভালোবাসব এবং ভালোবাসার আসল অর্থ জানার চেষ্টা করব আর সবচেয়ে বড় কথা কাউকে ভালোবাসতে সাহায্য করব আমার বন্ধু আহসানের মতো তাহলে এই পৃথিবী ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২