অসমাপ্ত ভালোবাসাই তুলিতে আমি
আকাশ:এই রনি শোনতো।এদিকে আই একটু দরকার আছে।
রনি:বল কি বলবি।
আকাশ:ভাই ওই মেয়েটাকে আমার খুব ভালো লাগছে কি করবো তাই বল।
রনি:আমি গিয়ে তোর কথা বলে আসি.আর সবকিছু জেনে আসি।
আকাশ:না,থাক বন্ধু আগে একটু জেনে নিই।
রনি:ওকে তুই যেটা ভালো মনে করিস। আর আমার আজকে তারাতারি বাসাই যেতে হবে কাজ আছে,বাসাই যাব চল।
আকাশ:ওকে চল। sorry আপনাদের তো পরিচয়ই দেওয়া হলো না আমি আকাশ,আর যার সাথে কথা বলছিলাম সে আমার বন্ধু রনি আমরা দুজনেই কলেজে পড়ালেখা করি। বলতে গেলে দুজনেই কলিজার দোস্ত
রনি বিকেলে দেখা করিস খেলার মাঠে।
আমি পড়ালেখাতে মোটামুটি ভালো তবে ফুটবলকে খুব ভালোবাসি আমার বন্ধু রনিও আমার সাথেই এখন বিকেলে খেলা করে কিন্তু ও আমার থেকে পড়ালেখাতে অনেক ভালো।
বিকেলে.....
আকাশ:ফোন করে, এই রনি কই আছিস মাঠে আই।
রনি:এইতো আসছি,ঘুমায়ে ছিলাম।
আকাশ:ওকে।
(এভাবেই কিছুদিন চলতে থাকে আমাদের কলেজে গিয়ে ওই মেয়েকে দেখা আর বিকেলে খেলা করা)
আকাশ:বন্ধু মেয়েটা তো ভালোই মনে হয়, পড়ালেখাতেও তো ভালো,আমাদের সাথেই তো পরে,হয়তো নামায পরে যেভাবে থাকে দেখে ওটাই মনে হয়,আর আচরনটাও কত ভালো,কি জানি ওই মেয়ের চোখে কি এমন জাদু আছে যে তাকাইলেই কি এমন নেশা লেগে যায় চোখ ফেরাতে পারিনা।
রনি:আরে বন্ধু পাগল হয়ে গেছিস নাকি এবার একটু থাম। আসলেই কি মেয়েকে ভালোবেসে ফেলছিস নাকি???
আকাশ:কি জানি তবে সব সময় ওই মেয়ের কথাই ভাবি, চোখ বুঝলে খুল্লে শুধু ওকেই দেখি, এটা যদি ভালোবাসা হয় তবে আমি ওকে ভালোবাসি
রনি:আচ্ছা আমি দেখছি কি করা যায়,আমার বান্ধবি মায়া তো ওই মেয়ের সাথেই থাকে দেখি কি বলে।
আকাশ:শুধু নামটা শোন। যা বলার আমি বলবো।
রনি:ওকে।
কিছুক্ষন পরে...
রনি:এই মায়া শোনতো...বলছি তোর ওই বান্ধবির নাম কি???
মায়া:ওটা,ও ওর নাম কানিজ।
রনি:আচ্ছা একটু দরকার ছিলো।
আরও কিছু সময় গল্প করে রনি চলে আসে।
রনি:বন্ধু মেয়ের নাম কানিজ।
আকাশ :ধন্যবাদ বন্ধু,আচ্ছা বাসাই যাই। বিকেলে দেখা হবে।
(এভাবে কিছুদিন দেখা আর তাকিতে থাকাই হয় কিন্তু সামনে গিয়ে কখনো বলার সাহস হয়নি)
সামনে কলেজে আসছে একটা বিদায়ী অনুষ্ঠান আমাদের বড় ভাইদের।
অনুষ্ঠানের দিন;
আকাশ:বন্ধু আজ বলেই দেবো যা হয় হবে।
রনি:ওকে বলে দেখ কি হয়।
আকাশ :ওই কানিজ শোনো।
কানিজ:হুম বলেন।
আকাশ:কথাটা তুমি কেমন করে নিবে জানিনা,তবে যা বলবো হয়তো তুমি শোনার জন্য প্রস্তুত নাই।
কানিজ: না বলেন।
আকাশ:তোমার চোখে কি এমন মায়া আছে আমি জানিনা,তোমাকে দেখলেই আমার কেমন যেন লাগে মনে হয় তোমার মায়াতে আমি ডুবে গেছি,তোমাকে দেখলে মনে হয় হাজার বছরের প্রিয় কিছু আমার সামনে, সব সময় তোমার কথাই ভাবি,আর যদি এটা কোনো নেশা হয় বা ভালোবাসা তবে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,এমন বিদায়ের দিনে বাড়িয়ে দিলাম আমার হাত যদি আমাকে ভালোবাসো তবে আমাকে গ্রহন করো আমি তোমাকে ভালোবাসি I love you
কানিজ:দেখেন এভাবে তো হুট করে ভালোবাসি বল্লেন আর ভালোবাসা হয়ে যায় না,আপনি আমার বিষয়ে জানবেন আমি আপনার বিষয়ে তারপরই তো ভালোবাসা
আকাশ:ওকে জোর করে তো আর ভালোবাসা হয় না, ভাবেন আপনি দেখেন কি করবেন।
(এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর হটাত একদিন)
কানিজ:এই শোনো, আমিও তোমাকে ভালোবাসি, I love you 2
আকাশ:তুমি খুব খারাপ আমাকে অনেক কষ্ট দিছো। ভাবতাম আমাকে গ্রহন করবে নাকি হারিয়ে যাবে।
কানিজ:এই কান ধরলাম জানু,sorry.
(এভাবে দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার চলতে থাকে ৪ বছর কানিজ আর আকাশের)
হটাত একদিন....
কানিজের বাবা কানিজকে এক বড়লোক ছেলের সাথে কানিজের বিয়ে ঠিক করে ছেলের নাম সজল,টাকার অভাব নাই,কিন্তু কানিজ তো আকাশ কে ৪ বছর ধরে ভালোবাসে তাহলে এখন সে অন্য আর একজন কে কেমনে গ্রহন করবে??
তবে কানিজ ওর বাবাকে দেখলে অনেক ভয় পাই।বিয়ে করতে কানিজ রাজি ছিলো না তবুও তার বাবার ধমকানিতে সজল নামের টাকাওয়ালার সাথে কানিজের বিয়ে হয় যায়।
( এটা কোনোভাবেই আকাশ মেনে নিতে পারে না,৪ বছরের রিলেশন ভেঙ্গে কানিজ এখন অন্যর ঘরে,এই কারনে আকাশ অনেক আঘাত পায় মনে হয় পুরাই পাগল হয়ে গেছে,এভাবে আরও ১ বছর চলে যায়।আকাশের বাবা মা এটা দেখে আর ভালো থাকতে পারে না তবে আকাশ এখন অনেকটা ভালো তবে মাঝে মাঝে খুব কানিজের জন্য কান্না করে হয়তো সে তাকে কখনো ভুলতে পারবে না কিন্তু কি আর করা যার যাওয়ার সে তো যাবেই।প্রায় রাতেই আকাশ কান্না করতো কানিজের জন্য)
অন্যদিকে,কানিজ বিয়ের প্রথমে এটা মানতে না পারলেও কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যায়, এখন সজলের সাথে সে অনেক ভালোই আছে।
( আকাশের বাবা মা আকাশের বিয়ের জন্য একটা মেয়ে দেখে তার নাম তুমি,আকাশ বিয়ে না করতে চাইলেও কানিজের বিয়ের দের বছরের মাথায় আকাশ তুলি নামের ওই মেয়েটাকে বিয়ে করে)
বাসর রাতে আকাশ তুলিকে বলে আমি তোমাকে মেনে নিতে পারবো না তার কারন.........আগের সব কথা তুলিকে বলে, তুলি সব শুনে আর মন খারাপ করে বাসর রাত পার করে।
তুলি মনে মনে ভাবে কানিজ তো আর আসবে না যেভাবেই হোক আকাশকে আমার আপন করে নিতে হবে। সেই লক্ষে তুলি আকাশের সকল কাজে সহযোগিতা করে,কিন্তু আকাশ তুলিকে সব সময় অপমান করে।
(এভাবে ৬ মাস যাওয়ার পরে আকাশ তুলিকে আস্তে আস্তে ভালোবাসতে থাকে)
একদিন আকাশ বলে sorry তুলি আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আমাকে মাফ করে দাও।
তুলি বলে এটা কি বলছেন আপনি আপনি তো আমার স্বামি।
আকাশ:তুমি আপনি করে বলছো কেনো??? তুমি করে বলো।
তুলি:ওকে। তবে তোমার একটা শাস্তি হবে আমাকে এতদিন এভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্য।
আকাশ : ওকে তুমি যা শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নেবো।
তুলি:বেশি না আজ আবার আমাদের বাসর করতে হবে এবং তোমার মতো একটা দুষ্টু ছেলে বাবু দিতে হবে।
আকাশ: এই ছিলো তোমার মনে
তুলি : আর কোনো কথা না আজকেই আমাদের বাসর হবে এবং আমার একটা বাবু চাই
আকাশ :আচ্ছা জানু তাই হবে তবে সবাইকে বিদাই দিই না হলে সকলে হা করে তাকিয়ে থাকবে,লজ্জা করে আমার খুব.....
ডিএসএস/