চিরকুটে ভালোবাসা
শাওনের সাথে আজ অনামিকার প্রথম দেখা হবে। প্রায় ৪৮১ দিন পর ক্যাম্পাসে দু'জন একত্র হয়েছে।
অনামিকা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছে শাওনকেও ডেকে দিছে।
অনামিকা গতকালই এসেছে।এসে শাওনকে দেখা করতেও বলেছিল কিন্তু কোন প্রস্তুতি ছাড়া শাওন গতকাল দেখা করেনি সে আজকের জন্য দিনটার অপেক্ষায় ছিল।
শাওন রাত জেগে অনামিকার জন্য কতগুলো চিরকুট লিখেছে। কারণ তাদের পরিচয়টাই হয়েছিল কোন এক চিরকুটে।
অতঃপর,
সকালে অনামিকা বলে এখনো অনলাইনে ১১ টায় দেখা করবেন আপনার না আমাকে আজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখানোর কথা,,,
তো রেডি হয়ে নিন।
শাওন অনামিকাকে নিয়ে কল্পনায় ভাবে যে দেখা করাটা এভাবে হলেই হয়তো ভালো হবে।
তারপর,
শাওন অনামিকাকে বলে
তুমি ১১ টায় বের হবা
সেকেন্ড গেট দিয়ে ডুকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক গুলো বসার জায়গা আছে সেখানে বসবা।
তারপর অনামিকা শাওনের কথা মতোই বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে বসে অপেক্ষা করে।
প্রায় পনেরো মিনিট চলে যায় তবুও শাওন আসেনি।এদিকে অনামিকা ভাবতে থাকে সে এসে কেমন আচরন করতে পারে সাদামাটা নাকি গম্ভীর নাকি অনেক ভাব নিবে।
হঠাৎ পেছন থেকে অনামিকার চোখ চেপে ধরে শব্দ এলো হাই অনু...
শাওন অনামিকাকে অনু বলে ডাকে বেশিরভাগ সময়।
অনামিকার চোখ ধরায় সে একটুও ভয় পায়নি বরং সে বুঝতেই পেরেছে হঠাৎ করে কে আর এসে চোখ ধরবে। শুধু বললো হাত এতো ঠান্ডা কেনো....
অতঃপর, দু'জনের হাসিমুখে গল্পের ফুলঝুরি ঝরতে থাকে
এতোদিনের জমানো কথাগুলো
অনামিকা বলতেই থাকে।
তারপর অনামিকা বললো চলেন এবার ক্যাম্পাসে হাঁটি দু'জনে।
হাঁটতে হাঁটতে শুরু হয় গল্পের আরেক অধ্যায়।
ডিএসএস/