বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

"ঝড়া পাতার প্রেম "

শীতের মধ্য ভাগ পেরিয়ে গেছে। প্রকৃতি এখন মাতাল, চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা মাদকতা। দুপুরের নিরবতা উদাস বাউলের করুন সূরের আর্তনাদ যেন। এই সময়টা আবির'কে মাতাল করে তোলে। জানালার কার্নিশ বেয়ে ক্ষানিকটা রোদ বিছানায় এসে পড়ে। প্রকৃতি তার মাতাল আবরণে আবিষ্ট করে তোলে পৌরুষেয় কানায় কানায় দোলা দিয়ে যায়। ফাগুনের আগমনী বার্তায় চারিদিক আমোদিত। জানালার ফাক গলে বহুদুর বিস্তৃত মাঠ সবুজের সমারোহ। কাপা কাপা রোদ আবির মাখায়

মাঠের ঠিক মাঝখানে একটি প্রমান সাইজের বরই গাছ। বেশ কাঁচা -পাকা বরই'য়ের থোকায় ডাল গুলো হাতের নাগালে। সূর্য টা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছে। বরই গাছের পাশে এক, দুই, তিনটা পরী জ্বলছে। হ্যাঁ এসে গেছে হৃদয়ে আগুন জ্বালাতে। টুকটুকে লাল পরীটা ওটাই "দোলেনা" আবিরের সদ্য কৈশোর পেরোনো হৃদয়টা যে পুরোপুরি দখল নিয়ে আছ। সাথে ওর বড় বোন হিম আর চাচাতো বোন রুবিনা। দুরন্ত তিন বালিকার দস্যিপনা বরই গাছ সহ পুরো মাঠ। আলোড়িত। বরই পাড়তে ওরা লাঠি, হাত, কখনো ডিল ছুড়ে মারছে। দোলেনা'র নজর বরই ছাড়িয়ে 'এই জানালার দিকে।

দোলেনা'কে দেখেই বুকের গহিনে একটা আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। ঘর থেকে বের হয়ে আবির মাঠের কাছে কাঠাল তলায় এসে দাড়ায়। এ-সময় রাস্তা দিয়ে এগিয়ে আসে আবিরের চাচা সম্পর্কের হাবিব মিয়া। চাচা চাকুরী করেন চিটাগং। ছুটিতে বাড়ি এসেছে। আবির কে এখানে দাড়ানো দেখে ফোড়ন কাটে। কি বাজান এইহানে খারাইয়া কি দেখতাছো। আম্মজান রে গিয়া কয়ডা বরই পাইড়া দেও। আবির একটু লজ্জিত হলেও চাচার কথাটা খুব পছন্দ হয়। দোলেনা হাত ঈশারায় ডাকে আবির কে। বুকের মাঝে ধক করে শব্দ হয়। এদিক ওদিক তাকিয়ে এগিয়ে যায় আবির। কাছাকাছি গিয়ে হিমকে ব'লে আবির তোমরা কেমন আছ হিম' আপু? মুচকি হেসে হিম ব'লে আমরা সবাই ভালো আছি, কিন্তু একজন ভাল নেই! আমার আদরের মিষ্টি বোনটি ভালো নেই। তোমাকে না দেখে সে অস্থির, আমাদেরকে বরই খাবার অজুহাতে এখানে এনেছে। এবার ঝাঁকি দিয়ে কয়টা পাকা বরই পেরে দাও।আমরা বরই নিয়ে চলে যাই, তারপর তুমি তোমার বরই নিয়ে সরে পরো। সন্ধার আগেই আবার ওকে বাড়ির কাছাকাছি ছেড়ে দিয়ে এসো। ওদের পার করে দিয়ে দোলেনা -আবির সামনের দিকে হাটতে থাকে। নিভৃত পল্লীর ছায়া ঢাকা, পাখি ডাকা পথ বেয়ে দু'জন হাটতে থাকে। কখন আনমনে আবির দোলেনা'র হাতটা টেনে নেয় বলতেই পারে না। শুধু মিষ্টি একটা সময় উপলব্ধি করে। ভাললাগার মাদকতায় ভরপুর চারিদিক। ঝোপঝাড় পেরিয়ে নিরিবিলি জায়গায়টায় গিয়ে বসে ওঁরা। গল্প -আড্ডায় কখন সন্ধা ঘনিয়ে আসে। দোলেনা আবিরের মাথাটা নিজের কোলের দিকে টেনে নেয়। এবার চুলের ভিতর হাত ঢুকিয়ে বিলি কাটতে থাকে। এবার সুখের অনন্ত ছোঁয়ায় চোখ বন্ধ করে আবির। এ হৃদয় কানায় কানায় পূর্ণ হয় উদাস প্রকৃতি, নির্মল বসন্ত আর প্রেয়সী নারী সোহাগী ছোঁয়ায়। দোলেনা আবিরের কপালে চুমু খায়,তারপর বলে এভাবে কতদিন? তুমি সারাক্ষণ দেশ উদ্ধারে ব্যাস্ত, ছাত্র রাজনীতি, সভা, সেমিনার, আবার কোথায় হারিয়ে যাও! আমাকে নিয়ে তোমার কোন দায়িত্ব, চিন্তা আছে। আবির চোখ বন্ধ রেখেই উত্তর দেয়; কেন তোমাকে আমি ভালবাসায় পুর্ণ কর দেইনি? আমার অস্তিত্বের সবটুকু দিয়েই তোমাকে ভালোবাসি। নি:শ্বাস ছেড়ে দোলেনা বলে শুধু ভালবাসলেই সব হবে মশাই। সংসার করতে হবে না? এবার আবির সোজা হয়ে বসে। দ্রুত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বলেঃ চলো চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে, চলো তোমাকে দিয়ে আসি। আবার তোমাদের বাড়িতে খুঁজাখুঁজি শুরু হবে। দোলেনা নির্বিকার বসে উত্তর দেয় খুঁজুক, যা খুশি করুক আমি আজ সারারাত ধরে তোমার মাথা বুকে ধরে এখানে বসে থাকবো। তোমায় ভালবাসবো, আদর করবো। আবির বলে দুর পাগলী তাই কি হয়? চলো তোমার বাড়ির লোকজন চিন্তা করবে। আবির এক প্রকার জোর করেই দোলেনা কে টেনে তোলে। ওরা কিছু দূর আসার পর-ই সামনে থেকে এগিয়ে আসে 'হিম'। কিরে তোদের আক্কেল কবে হবে? আবির তুমি ও, কথা টেনে নিয়ে আবির বলে : আমি আগেই বলেছি আপু। ওই তো পাগলামি করছিল, আমি জোর না নিয়ে এলে ---। হিম ঠিক আছে তুমি যাও, আমি ওঁকে নিয়ে বাড়ি গেলাম।
আবির এখন উলটো পথে হাটতে শুরু করে।

একাকী নিরালায় পথ চলা ওর সারাজীবনের নেশা। রাত হলে সেই নেশা প্রকট হয়ে আসে। আনমনে হেটে অনেক দূর চলে আসে আবির। চিন্তার জগতের সবটা জুড়েই এখন দোলেনা। মেয়েটা পাগলের মতো ভালবাসে আবির কে। কিন্তু আবির যেই জগতের মানুষ, সেখানে সংসার, প্রেম, ভালবাসা মানিয়ে নেয়া কঠিন। আবির এখনোপড়ালেখা শেষ করতে পারেনি। এরি মাঝে ছাত্র রাজনীতি,লেখালেখি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এমনি নানা আঙ্গিনায় পা রেখেছে। সবচাইতে বড় বিষয় ও ঘুরতে ভালবাসে। বন,পাহাড়, সাগর,নদী ওকে আকর্ষণ করে প্রচন্ডভাবে। নেশার টানে প্রায়ই হারিয়ে যায় আবির। পাঁচ, দশ, পনেরো দিন,নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানো। এ-ই হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আবিরের বন্ধু, আত্মীয়, শিক্ষক, মা-বাবা সবাই শঙ্কিত। কখন যে প্রকৃতির নেশার টানে সে লাপাত্তা হয়ে যায়। এমনি ক্ষেপা বাউল আবিরকে সংসারের বাঁধনে জড়াতে চায় দোলেনা। প্রেমে মোহাবিষ্ট করে আঁচলে ঢাকতে চায়। তাই কি করে সম্ভব! তাই ভাবছিল আবির। দোলেনা কে সে ভালবাসে ঠিকই তাই বলে বাঁধনে জড়ানো? কোনভাবেই সম্ভব নয়। ভাবনার অতল রাজ্য পেরিয়ে সে নিজেকে আবিষ্কার করে রেল লাইনের পাশে।
এই জায়গাটা বেশ আকর্ষণ করে আবির কে। রেললাইনের দু'পাশে বিল-ঝিল মাঝ বরাবর চলে গেছে সমান্তরাল রেলপথ। কতদূর? সোজা হয়ে দুটি লাইন সমান্তরাল শত শত মাইল চলে যায়। এখানে কেমন যেন একটা খুব পরিচিত আবহ। বাবলা বনে এক ধরনের পাখির কিচির মিচির। লাইনের পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া টেলিফোনের স্টিলের তার গুলো সব সময় একটা শব্দ তৈরি করে চলছে। এখন রাত তাই তিতির পাখি গুলোর আনাগোনা নেই। আবির ব্রীজের পাকা ডালের উপর বসে। জায়গা টা বেশ পরিচ্ছন্ন। নীচ দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ কাচের মতো পানির স্রোত, মাছেদের চলাফেরা বেশ নজরে পড়ে। পাশের ঝোপঝাড়ে বিপুল বুনো ফুলের সমাহার। নানা রকম আয়েশি সুভাস ছড়ায়। ঐ যে লতানো গাছটা গোল গোল লাভের মতো ফল ধরে আছে। গ্রামের ভাষায় এটাকে গিলা ব'লে। বিয়ের সময় এটা বেশ কাজে আসে। "হলুদ -গিলার" গিলা এটা। আকাশ ভরা মিটিমিটি তারার মেলা। কি যেন আনন্দ আয়োজনে বিমোহিত। ছায়ায় ঝোপের আঁধারে শত-শত জোনাকি ঝাঁক বেঁধে আলো বিলিয়ে যায়।

ভাবনার রাজ্যে ছন্দ পতন ঘটায় একটি রেলগাড়ী। দূরে থেকে মনে হয় লম্বা একটা আলোর মিছিল এঁকেবেঁকে এগিয়ে আসছে। খুব কাছ ঘেঁষে রেলগাড়ী টা চলে যায় হুইসেল বাজিয়ে। আবিরের ওঁকে সচেতন করতেই এ-তো জোরে বাঁশি বাজে। আরিফের মনে পড়ে ছোট বেলায় বাবা -মায়ের হাত ধরে যখন নানা বাড়ীতে যেতো। রাতের বেলা রেলগাড়ী থেকে নেমে বাবা-র হাত ধরে হাঁটার সময় কিংবা মায়ের কোল ঘেষে, এগিয়ে যেতে যেতে মনে হতো রেলগাড়ী টা আলোর মশাল জ্বেলে আবারও ফিরে আসছে। তাই দ্রুত পা চালিয়ে এগিয়ে যেত আবির। গাড়ি টা না আবার হুড়মুড় করে তার উপ-র এসে পড়ে! যদিও শীত এখনো বেশ আছে কিন্তু এখানকার ঝিরিঝিরি বাতাস এত মিষ্টি মনে হয়। এই বাতাস টা বেশ আয়েশ করে গায়ে মাখে।


বাতাসের নামটা কিন্তু বেশ লিলুয়া বাতাস, লিলহারি লিলহারি। মায়ের কাছে শুনা গল্পের লিলুয়া বাতাস এটা! এটা আবিরের নিজের মতামত। এ বাতাস কেউ তাক চিনিয়ে দেয়নি। সে নিজেই মিলিয়ে নিয়েছে। শেষ রাতের দিকে এই বাতাসে র আবির্ভাব হয় বেশি। আবিরের ধারণা এত মিষ্টি বাতাস টা স্বর্গ থেকেই আসে। আহ! যদি স্বর্গে যাওয়া যেত। তাহলে সর্বক্ষণ এমনি বাতাস টা গায়ে মাখা যেত। যাক আপাতত যতটুকু সম্ভব। এবার উঠে পড়ে আবির হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পথ ধরে। পথে মানুষ জন নাই বললেই চলে। যারা যায় কেউ একা নয়, লাইট,লন্ঠন, নিয়ে অনেকজন একসাথে। আবির কে একা হাটতে দেখে অবাক হয়। রাস্তায় হাটতে কুকুর, বিড়াল, সাপ অনেকের দেখা মিলে যায়। শিয়াল, খাটাশ, খেক শিয়াল ও স্বাগত জানায়।

এবার মাঠের মাঝ বরাবর হাটতে গিয়ে শিশির সিক্ত হয় পা। বেশ লাগে বিষয় টি দুর্বা ঘাসের শিশির ভেজা আলিঙ্গন।
রাত পাখিদের ওড়াউড়ি বেশ চোখে পড়ে। সামনের বাতাবি লেবুর বাগানে সাদা ফুলের সমাহার। কি মধুর সৌরভে চারদিক আমোদিত। দুরে কোথাও কুকুরের পাল দল বেঁধে হল্লা করে এরি মাঝে শিয়ালের হুক্কাহুয়া ভেসে আসে। নিজ আঙ্গিনায় যখন পা রাখে আবির তখন মধ্য রাত। চুপিচুপি ঘরের দরজা খুলে। বাতি জ্বালিয়ে কাপড় বদলায়। এবার কলপাড়ে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, টেবিলে ঢাকা দিয়ে রাখা খাবার খেয়ে, বিছানায় গড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের ঘুম দু'চোখের পাতায় স্বপ্ন মাখায়।

সারাটা বিকেল বেশ আনন্দে কেটে যায়। ভলিবল টুর্নামেন্টের আজ চুড়ান্ত আয়োজন ছিল। পড়ন্ত বিকেল গুলো এসময় বসন্তের নিবিড় আলিঙ্গনে ঢাকা। তাই ধুসর খেলার মাঠগুলো গোধূলির আবির মেখে রাঙা হয়ে উঠে। আজকের টুর্নামেন্ট জিতে আসায় আবিরে'র ভূমিকা ছিল অনেকখানি। এই একটি জায়গায় ওর স্বাতন্ত্র্য, অসাধারণত্ব নিজেকে সবখানে তুলে ধরা, দৃষ্টির মধ্য- মনি থাকা। স্কুল, কলেজের গন্ডি পেরিয়ে - ছাত্র রাজনীতি,সৃংস্কৃতি, খেলাধূলা সবখানেই নিজেকে আবিষ্কার করা। কিন্তু স্থির নয় কোন খানে। কোন এক অজানার টানে ভেসে বেড়ানো। যে কারণে তার রাজনীতির আদর্শিক বড় ভাই মুন্না ভাই, সবাই কে ডেকে বলে এ-ই আমাদের আবিরএকবিংশ শতাব্দীর আদিম বাউল।

বাইরে থেকে ফিরে এসে সোফায় গা'এলিয়ে ভাবনায় তলিয়ে যায়। হঠাৎ নজরে আসে সামনের টি টেবিলে রাখা একটি কাগজ চার ভাজ করা। পেপার ওয়েট দিয়ে চাপা দেয়া। কাগজটা হাতে নিয়েই লেখাটা চিনতে পারে। গোটা গোটা সুন্দর লেখা শব্দের পাশে সাজানো শব্দ।দোলেনা'র হাতে লেখা চিঠি। প্রেমের আবেগময় তারনায় বসন্তের ছায়া ভাসমান। দোলেনা লিখেছে '', তার মা-বাবা দু'জনেই নানু বাড়ি গেছে বড় আপুর বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে। আজ তারা ফিরবে না। তাই সে যেন তাদের বাড়িতে চলে যায়। রাতে সেখানেই থাকতে হবে। চিঠি হাতে নিয়ে বেশ কিছু সময় চিন্তা করে আবির! তারপর চিঠির শেষ লাইনটা চোখের সামনে আবার মেলে ধরে **। তুমি না এলে তোমাদের বাড়িতে রাত দুপুরে আমি চলে আসবো তখনকার পরিস্থিতি তোমাকেই সামাল দিতে হবে। হুমকি কে যে শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে : এমনটা গ্যারান্টি দিবে কে? যে দস্যু মেয়ে রে বাবা! যাক সময়কে নিজের আঙ্গিনায় আগলে রাখা। মনের মাঝে বাসন্তী রং প্রসান্তি আর ভয়ের আলিঙ্গন। কাপড়-চোপড় পরে মাকে বলতে আসে। মা আবিরে'র দিকে না তাকিয়েই বলে : - হিমে'র মা এসেছিল বিকেলে , ওঁরা হিমে'র নানুর বাড়িতে গেছে জরুরি কাজে। তাই তোমাকে পাঠিয়ে দিতে বলে গেছে আমাকে। যা-তু বাবা রাতটা ওদের বাড়িতে থেকে আয়,মেয়ে দুই টা একা আছে। ঠোঁটের কোনায় রহস্যময় একটা হাসি ঝুলিয়ে -ঠিক আছে ব'লে বের হয়ে যায় আবির। সন্ধা তারার আলোয় গায়ের মেঠো পথ হাল্কা চাঁদের আলোয় চারিদিক আমোদিত। দুর থেকে ভেসে আসা অজানা ফুলের সুবাস। মাঝখানের বাইদ পার হয়ে চলে আসে দোলেনা'দের বাড়ি। ওরা দুই বোন বাড়ির বাইরে বাগানের সিমেন্টের বেঞ্চিতে বসা। দোলেনা বেশ সাজুগুজু করে আছে। ওকে দেখলেই বুকের গহিনে একটা পাখি ডানা ঝাপটায়। সেই কাঁপুনি টা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আবিরকে দেখে হিম' বলঃ- তুমি এসেছো? এবার জিনিস টা বুঝে নিয়ে আমাকে মুক্তি দাও! তোমরা ঘরে যাও, আমার আবার রান্না বাকি আছে। আবিরকে উদ্দেশ্য করে বলে ঃ- তোমার জন্য বাজার করে রেখে গেছে তোমার খালা মনি, এখন রান্না করতে হবে আমাকে। তোমরা গল্প করো আমি রান্না ঘরে গেলাম।
এবার আবিরে 'র চোখে চোখ রাখে দোলেনা এতক্ষণে সাহেবের আসার সময় হলো? সেই বিকেল থেকে তোমার অপেক্ষায়। এ-সব তোমাকে বলে লাভ কি? আমার অপেক্ষায় তু তোমার কিছু যায় আসে না! দোলেনা'র দুচোখের তারায় অভিমান ঝড়ে পড়ে। আবির হেসে বলেঃ আমার কিছু না এসে -গেলে সন্ধা রাতে মাঠ পেরিয়ে মহারানীকে পাহারা দিতে এলাম কেন? চোখে-মুখে রহস্যের দ্যুতি ছড়িয়ে বলে দোলে না : ঠিক আছে দেখা যাবে ক্ষণ।

এবার আবিরের একটি হাত চেপে ধরে দোলেনা। কিশোরী নারীর চপলতা, আবেগ জড়ানো কন্ঠে আবিরের চোখে চোখ রেখে বলে :- তোমায় না পেলে আমি মরে যাবো। ঠোঁটের কোনায় রহস্যময় একটা মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে আবির ব'লে :- আমি কি ফুরিয়ে যাচ্ছি নাকি ! না হারিয়ে গেছি সাহারা মরুর বুকে?তোমার উদাসীনতা আমাকে কষ্ট দেয়। পরিবারও সংসারের প্রতি তোমার কোন মায়া নেই। তুমি কখন কোথায় হারিয়ে যাও তার ঠিকানা নেই। তোমার মা,মানে আমার শাশুড়ি মা, সবসময় বলেন তোমার কথা। এমন পাগল ছেলে নিয়ে আমি করবো? এই ছেলের ভবিষ্যতে কি যে হবে তা সৃষ্টি কর্তাই ভালো জানেন। কোন মেয়ে যদি ওকে আঁচলে শক্ত বাঁধনে জড়াতে পারতো! পাতা ঝরানোর সময়টা তাঁর আয়েশি আবেদনে দু'জনকে আরো কাছে ঠেলে দেয়। রাতের তারারা ওদের দুজনকে আলিঙ্গনে জড়ায়। মাতাল সমীরণে যৌবনের দোলায় উন্মত্ত চারিদিক।স্বপ্নীল আবেশে প্রেমের বৃন্দাবনে নাও ভাসায় ওরা।এমনই এক রাত অতিথি হয়ে এসেছিল আবির দোলেনা'র জীবনে। সেই বাসন্তী রাঙা মধু যামিনীর পর আর কখনো দেখা হয়নি তাদের। সত্যিই আবির হারিয়ে যায়, শুধু দোলেনার জীবন থেকে নয় সমাজ, সংসার, পরিবার থেকে। পাতা ঝরানোর উদাসী হাওয়ায় ভেসে হারিয়ে যায় আবির।

 

ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার