রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিমান ভাড়া ও হজের খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি

বিমান ভাড়া এবং হজের খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।

বুধবার (২৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রধানমন্ত্রীকে এই খোলা চিঠি লিখেছেন।

নিম্নে পাঠকের জন্য খোলা চিঠিটা হুবহু তুলে ধরা হলো:

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ঢাকা।

বিষয়: হজ্জ প্যাকেজ কমানোর আবেদন প্রসঙ্গে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আশাকরি সুস্থ থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের একজন নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বর্তমান সময়ে আমরাও নানাবিধ সমস্যা, সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধগতি, গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি, গরুর গোস্ত খেতে ব্যর্থ গরিবের খাবার ডিম ও পোল্ট্রি মুরগির মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ যে চরমে পৌঁছেছে তা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

আপনি নিশ্চয়ই অবগত রয়েছেন, হজ শুধু ইবাদতই নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধতার এক অনস্বীকার্য পদ্ধতি। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময় নিশ্চিত জান্নাত। এ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা পথের ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম তাদের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কাবা ঘরে হজ্জ পালন করা ফরজ’ (সূরা বাকারা : ৯৭)। ‘আল্লাহ তায়ালা যাকে হজ পালনের সামর্থ্য দিয়েছেন অথচ সে হজ না করে মৃত্যু বরণ করে, তাহলে সে দোজখের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিতে পতিত হবে’ (মিশকাত)।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সামর্থ্যবানদের হজ পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর যাদের উপর হজ ফরজ হয়েছে তারা হজ যেতে না পারার কারণে আল্লাহর দরবারে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। তাদের গোনাহের ভাগ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আপনার উপর ও বর্তাবে বলে আমি মনে করি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

হজের খরচ বৃদ্ধির কারণ যখন অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া নির্ধারণ, তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিমান ভাড়া ও দূরত্ব আপনার বিবেচনা ও অবগতির জন্য তুলে ধরছি।

১। ভারতে সরকারিভাবে এয়ার ইন্ডিয়া কোলকাতা থেকে জেদ্দা পর্যন্ত বিমান ভাড়া সরকারী ৪৫ থেকে ৫০ হাজার রুপি, বেসরকারিভাবে ১ লাখ টাকা।

২। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে জেদ্দা আকাশ পথে দূরত্ব ৭ হাজার কিলোমিটার। সৌদি এয়ারলাইন্স এ ভাড়া ৪ হাজার রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ টাকা।

৩। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে জেদ্দার দূরত্ব ৮ হাজার কিলোমিটার, বিমান ভাড়া ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা।

৪। যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলস থেকে জেদ্দার দূরত্ব ১৩ হাজার ৩৯৫ কিলোমিটার। বিমানে সময় লাগে ১৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট। যার বিমান ভাড়া ১৭০০ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

৫। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে জেদ্দা শহরের দূরত্ব ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি। রয়েল জর্ডান এয়ারলাইন্স এ ভাড়া ৭৮০ ডলার বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার টাকা। গতবছরের হজ্জ এ সৌদি এয়ারলাইন্স এ টিকেট কেনা হয়েছে ১৮০০ ডলারে।

৬। আয়ারল্যান্ড থেকে জেদ্দার দূরত্ব ৬ হাজার ৭৭৯ কিলোমিটার। বিমান ভাড়া ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার।

৭। জার্মানির বার্লিন থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার দূরত্ব ৫ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার।ফ্রাঙ্কফুট থেকে জেদ্দার দূরত্ব ৫৪৮০ কিলোমিটার। বিমান ভাড়া ৫৭১ থেকে ৮৫০ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

৮। বাংলাদেশ থেকে জেদ্দার দূরত্ব সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার হলেও ওমরায় ৮০ হাজার টাকার বিমান ভাড়া খোড়া অজুহাত দেখিয়ে হজ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপরে উল্লেখিত বিমান ভাড়ার পরে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের উপর জুলুম ও অমানবিক আচরণ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

একইভাবে বিভিন্ন দেশের হজ প্যাকেজ আপনার সিদ্ধান্তগ্রহণ ও অবগতির জন্য তুলে ধরছি ।

১।ইন্দোনেশিয়া থেকে একজন মুসলমানকে হজে যেতে হলে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৭ টাকা খরচ করতে হবে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।

২। মালয়েশিয়ায় যেসব পরিবারের মাসিক আয় ৯৬ হাজার টাকার কম, সেসব পরিবারের সদস্যদের জন্য হজের খরচ ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা। মাসিক আয় বেশি হলে দিতে হবে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা। দেশটিতে হজের জন্য সরকার বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

৩। পাকিস্তানে গত বছরের তুলনায় হজের খরচ ৩৬.৫৯ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার পাকিস্তানি রূপি যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪। ভারতে ২০২১ সালে এই খরচ ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় চার লাখ ২৩ হাজার ৫৭১ টাকা। তবে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হজ্জ প্যাকেজের খরচ ৫০ হাজার টাকা কমানো হবে। অর্থাৎ সেদেশে হজ কমিটি অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যারা হজ যাবেন, তাদের খরচ হবে চার লাখ টাকার কম।

৫। সিঙ্গাপুরে হজের খরচ গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড় হাজার ডলার বেড়েছে। সেখানে সবচেয়ে কম প্যাকেজের জন্য দিতে হবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত করার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা দেবার প্রয়োজন ছিল এ ক্ষেত্রে আমরা তা দেখছি না। হজ প্যাকেজ নির্ধারণ দেখে মনে হচ্ছে হাজীদেরকে শোষণ করতে বিমান ভাড়া ও হজের এই প্যাকেজ তৈরি করতে হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশে হজ হচ্ছে বিমানের সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভবান হবার মোক্ষম সুযোগ। মধ্যবিত্ত শ্রেণির হজ যাত্রীদের পকেট কাটার হাতিয়ার। এ ছাড়া, সরকার যেখানে ভর্তুকি দিয়ে হজ যাত্রীদেরকে ফরজ ইবাদাত পালনে সহযোগিতা করবে সে ক্ষেত্রে ভ্যাট ট্যাক্সের বোঝা দিয়ে হজ যাত্রীদের খরচ বৃদ্ধি করেছে। মাননীয় বিচারপতিরা যাকে বলেছেন অমানবিক হজ প্যাকেজ। বাংলাদেশে গত বছর কোরবানি ছাড়া বেসরকারি‘সাধারণ’হজ্জ প্যাকেজের সর্বনিন্ম ব্যয় ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। এবারের হজ্জে সেই ব্যয় ধরা হয়েছে কোরবানি ছাড়া ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৪ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৬১৮ টাকা। তার সঙ্গে কোরবানির টাকা মিলিয়ে বাড়তি অংক ২ লাখ ছুঁয়ে ফেলবে। এখানে স্পষ্ট এ বছরে একজন হজ্জ যাত্রীর খরচ পড়বে কম পক্ষে ৯ লাখ টাকা। এছাড়া হজ্জ পালনকারীকে বাড়িতে পরিবারের ভরণপোষণ ও কুরবানির জন্য কমপক্ষে আরো দেড় থেকে ২ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে এবারের হজ্জ পালন করতে। যা সাধারণ মুসলমানদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষ মনে করছে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে হজ্জ পালন থেকে বিরত রাখতে ইসলাম ও মুসলমানদের কোন দুশমনদের কল কাঠিতে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। মুসলমানদের আবেগ অনুভূতি ধ্বংস করে হজ্জ পালনকে যারা কঠিন করছে তারা আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি ইস্যু সৃষ্টির জন্য কাজ করছে বলে আমরা মনে করছি। এবারের হজ প্যাকেজে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য নির্ধারণের ফলে হজ পালনও সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

হজ্জের সময় চাহিদা বেশি থাকায় বিমান ভাড়ার খরচ বৃদ্ধি স্বাভাবিক। কিন্তু চার, পাঁচ গুণ বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। উপরন্তু এবার হজ্জ উপলক্ষে সৌদি সরকার বিভিন্ন ফি কমিয়েছে। ওমরাহ ও হজের জন্য কোনো ভিসা ফি লাগবে না। সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিষয় স্পষ্ট করে বলা আছে। এরপরও হজ্জের খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবারের প্যাকেজে বিমানভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। হজের বিশেষ ফ্লাইটে যাত্রীরা যাতায়াত করেন। কিন্তু তাই বলে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বিমানভাড়া বেশি বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনস ছাড়াও অন্যান্য একাধিক বিমান সংস্থাকে হজযাত্রী পরিবহনে যুক্ত করা হলে বিমানভাড়া কমে আসতে পারে। মুজদালিফায় যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে পরিবহনব্যবস্থা থাকে। সরকারের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি বিনামূল্যে পরিবহন সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই উন্নতমানের বাস ভাড়ার কথা বলে ১৯ হাজার টাকা আদায় অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক খরচ বলে মনে হয়েছে।

হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা যায়। প্রথমত, ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হজের মতো ধর্মপালনের রীতিকেও সরকার লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করছে বলে আমরা মনে করি। তা না হলে খরচ এতটা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। হজের এই অস্বভাবিক খরচ বৃদ্ধির নেপথ্যে যে রাজনৈতিক শক্তির মদতপুষ্ট শ্রেণির অতিমুনাফালোভী গোষ্ঠীর হাত আছে, সে ধারণা আমরা করতে পারি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য হজ পালন এখন স্বপ্নের বিষয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। এত টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষের পক্ষে হজে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। অনেকেই সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে বা শেষ বয়সে সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে হজে যান। স্বল্প আয়ের এসব মানুষ এখন যোজন যোজন দূরত্বে অবস্থান করবেন হজ থেকে। যে কারণে অনেকেই ওমরাহ হজের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। সম্প্রতি ওমরাহ হজ পালন করেছেন-এমন লোকজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। আগে হজে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করতেন। আর উমরা ছিল উচ্চবিত্তের রীতি। এখন হজে উচ্চবিত্তরা বেশি যান। উমরায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ভিড় বাড়ছে। কারণ, এত অর্থ ব্যয় করে সাধারণের পক্ষে হজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

এ পরিস্থিতিতে আপনার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপে হজ্জ যাত্রীদের বিমান ভাড়া ১ লাখ টাকা যেমন কমানো সম্ভব। তেমনি অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ৪ লাখ ৫০ টাকা হজ্জ প্যাকেজ করা সম্ভব হবে। আশাকরি অনেক অসম্ভবকে সম্ভব যেমন আপনি করতে সক্ষম হয়েছেন তেমনি হজ্জের খরচ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনতে প্যাকেজ করা আপনার সহযোগিতা ও নির্দেশে সম্ভব হবে।

বিনীত নিবেদক
শহিদুল ইসলাম কবির
সভাপতি, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নেতার ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ভিডিও ভাইরাল

নাহিদ হাসান খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতনরা। তবে নাহিদের দাবি- তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

শনিবার (১ মার্চ) সকালে নাহিদের একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। ভিডিওতে রংপুর নগরীর গ্রীন সিটি ইকো পার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেনের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের কথোপকথন শোনা যায়।

এতে নাহিদকে বলতে শোনা যায়, আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে। আপনি কথা বলেন, যদি আপনার মনে হয় একটু ইয়া করবেন, একটা সংগঠন করতে গেলে কী করতে হয় আপনি তো জানেন। এ হচ্ছে কথা। আমি চাচ্ছি না আপনার কোনো সমস্যা হোক। যদি আপনাদের দিক থেকে মনে হয় কোন সমস্যা হচ্ছে, তাহলে আপনি ভাইয়ের (পার্ক কর্তৃপক্ষ) সাথে কথা বলেন। আপনাদের গলায় পাড়া দিয়ে আমি কিছু করতে পারবো না।

পার্ক ম্যানেজার এক লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় নাহিদ তাদের আরও সময় নেওয়ার কথা বলেন।

তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার। নিজের ফেসবুক আইডিতে বালু উত্তোলনের ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘একটি পার্কের ভেতরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এটা জানতে পেরে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের একটি প্রতিনিধি টিম আহ্বায়ককে অবগত করে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ওই বালুমহালে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুলা শাহীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ভিটি বাবু, স্টেশনের মহানগর ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আসিফের পার্টনার বালুমহালের সম্রাট ভিটি আলম, যুবলীগ নেতা বাশার আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তুহিন পার্কটির অর্থ যোগানদাতা। এরা দীর্ঘদিন যাবত পার্কটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপ নিলে আওয়ামী দোসর এবং তাদের সহযোগীরা মিথ্যা বানোয়াট ভিডিও করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। উল্টো তারাই আমাকে বার বার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।

নাহিদ হাসান আরও লিখেছেন, আমি কোনো টাকা দাবি করিনি। টাকা দিতে চাইলেও আমরা সেটা গ্রহণ করিনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না আমি কারো কাছে এক টাকা নিয়েছি। বালুখেকোরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সফলতা নষ্ট এবং বিতর্কিত করার জন্য এই সমস্ত বানোয়াট ভিডিও প্রচার করে আসছে। যা আপনারা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ এর ফেসবুক পেজে গেলে দেখতে পারবেন। আমি কখনো অনৈতিক কোনো কাজে জড়িত ছিলাম না এবং কখনো থাকব না।

স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারেও নাহিদ হাসান খন্দকার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, তিন-চার দিন আগে আমরা জানতে পারি একটি পার্কে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭-৮ জনের একটা টিম সেখানে গিয়ে দেখতে পাই বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে জানতে পারি পার্কের ভেতরে পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে আমরা একটি রিপোর্ট করি এবং বেশ কিছু ভিডিও করে রাখি। সেখানকার একজন মুরব্বি বেলাল নামে একজনকে ফোন দেন। বেলাল বিএনপির পরিচয় দিয়ে আমাকে শিমুলবাগ কমিউনিটি সেন্টারে ডাকে। তাদের ১০-১২ জনের একটা টিম আমার কাছে আসে। তারা কথাবার্তার মাঝে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে অর্থের প্রলোভন দেখায়। আমরা সেটি এড়ানোর চেষ্টা করে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি।

নাহিদ হাসান বলেন, ‘কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমরা সেখান থেকে এক টাকা নিয়েছি, তাহলে সংগঠন যে শাস্তি দিবে তা আমি মাথা পেতে নেব। আমি সেখানে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাহিরে মিটিং আছে বলে চলে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা যেন তাদের ব্যবসায় হাত দিতে না পারি সেজন্য আমার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে এআইয়ের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করেছে। যারা এই ভিডিও ছড়িয়েছে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্টদের সরিয়েছি, এখন সেই ফ্যাসিস্টদের দোসররা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে গ্রীন সিটি ইকো পার্কের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন বলেন, আমার পার্কে পুকুর তৈরিতে খনন কার্যক্রম চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাহিদ হাসান খন্দকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। যা ভিডিওতে রয়েছে। এছাড়া তার চাঁদা দাবির অনেক কলরেকর্ড আমার কাছে রয়েছে, যা দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হবে। এমন চাঁদাবাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো সংগঠনে থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমতি বলেন, যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে সেটি নিয়ে আমাদের টিম তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকেসহ এই প্ল্যাটফর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের পেজে এসব বেশি প্রচারণা করা হচ্ছে। অডিও ক্লিপটি আমাদের কাছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে সেটির প্রেক্ষিতে আমরা তাকে শোকজের মাধ্যমে জবাব চেয়েছি এবং এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোরাম মিটিংয়ের মাধ্যমে নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর রংপুর মহানগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ মাস মেয়াদি আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী নাহিদকে মুখপাত্র করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজসহ গ্রেপ্তার ১০

পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজসহ গ্রেপ্তার ১০। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লিটন (২৭), জহিরুল (২০), রফিক (৩০), হানিফ (২৪), নুর হোসেন (২২), ইব্রাহিম (২৫), সাইদ (২৫), রুমান (২৫), পারভেজ (৩৫) ও সিয়াম (১৯)।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন চিহ্নিত মাদককারবারি, পেশাদার ছিনতাইকারী ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার এক কর্মকর্তা বলেন, অপরাধ দমনে আমাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিতভাবে এমন অভিযান পরিচালনা করবো।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গত শুক্রবার বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে বাকবিতণ্ডাময় নাটকীয় বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শনিবার (১ মার্চ) পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি লেখেন, "আমেরিকার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কংগ্রেস এবং সকল আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ। বিশেষভাবে যুদ্ধের তিন বছর ধরে যে সমর্থন আমেরিকা আমাদের দিয়েছে, তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।" তিনি আরও যোগ করেন, "ইউক্রেনের জনগণ এই সমর্থনের জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে।"

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকার সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি জেলেনস্কির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। যদিও বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, তবুও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা ইউক্রেনবাসীরা প্রথমে শান্তি চাই। এটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ।"

 

শুক্রবারের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এক পোস্টে দাবি করেন, "আমেরিকা শান্তি চাইলেও, জেলেনস্কি শান্তি চান না।"

বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন।"

তবে, জেলেনস্কি পোস্টে ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু না বলার চেষ্টা করেছেন, এবং আলোচনার রাস্তা খুলে রাখতে চেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আচরণ তার কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরই অংশ, যাতে ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখা সম্ভব হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নেতার ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ভিডিও ভাইরাল
মোহাম্মদপুরে পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজসহ গ্রেপ্তার ১০
আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ: জেলেনস্কি
রমজান মাসে শুটিং করি না, ইবাদতে মশগুল থাকি: প্রিয়াঙ্কা
প্রেমের টানে ষাটোর্ধ্ব মোতাসিনের কাছে ছুটে এলেন ইউক্রেনের নারী
পবিত্র রমজানে হিংসা-বিদ্বেষ-সংঘাত পরিহারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
১৪তম সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক
৫ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে ভালো হয়: আযম খান
জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো রাজনৈতিক দর্শন পাইনি: রিজভী
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব
দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে পার্থক্য কোথায়, প্রশ্ন নুরের
ভোট কারচুপিতে জড়িত ইউএনওদের বিচারের আওতায় আনতে হবে : ফারুক
শ্মশানের যায়গা দখল ও মন্দিরে ডাকাতি করেছে আ'লীগ: আব্দুস সালাম
৪৫ দিনের মধ্যে শুরু হবে শেখ হাসিনার বিচার কাজ: চিফ প্রসিকিউটর
মেট্রোরেলের নতুন নির্দেশনা: রমজানে বহন করা যাবে ২৫০ মিলি পানি
চট্টগ্রামে 'ভুয়া পুলিশ' বলে এসআইকে মারধর ও ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
পল্লবী থেকে চায়নিজ রাইফেলের ৩০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
জামিল আহমেদের কথা সব সত্য নয়, কিছু ডাহা মিথ্যা: ফারুকী
দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা