স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড় কুশিয়াড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ বাবুল মিয়া কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
গত শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
নিহত বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে আমি ও আমার স্বামী আকশীরনগর হাউজিংয়ের ভেতর সরিষা মাড়াই করছিলাম। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনিরসহ আরও ৪-৫ জন লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার সামনে আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও চোখ উপড়ে দেয়। আমি ও এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বাধা দেয়। একসময় আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা চলে যায়। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি জানান, বাবুল মিয়া তিন বারের ইউপি সদস্য ছিলেন ও বিএনপির রাজনীতি করতেন, রাজনৈতিক মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন।
ইয়াসমিন বলেন, ‘এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আকশীরনগর হাউজিং নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। আমার স্বামী কোনো পক্ষেই ছিলেন না। এরপরও স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনির আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যার পায়তারা করছিল।'
এনাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এজাজ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাথায়, চোখে, মুখে ও পায়ে গুরুতর আঘাত নিয়ে বাবুলকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি পুকুর নিয়ে বাবুলের সঙ্গে আফসার, আরশাদ ও মনিরদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধ থেকেই বাবুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় শনিবার তার স্ত্রী মামলা করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ১১ ও ১২ নম্বর আসামি অনিক ও শয়নকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও ধামরাইয়ের কুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
