যারা গুলিতে মানুষ মারে তারা কষ্ট বুঝবে কী করে: প্রধানমন্ত্রী
রমজানেও বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোজা নিয়ে তাদের কিছু চিন্তা নাই, মানুষের কষ্ট নিয়েও তাদের কোনো চিন্তা নাই। যারা মানুষকে গুলি করে মারতে পারে তারা মানুষের কষ্ট বুঝবে কেমন করে। এটাই হলো বাস্তবতা।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দুর্নাম করছে বিরোধীরা। আজকের বাংলাদেশ আমরা কোথায় নিয়ে গেছি। আমরা দেশের প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য কাজ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নালিশ করে তাদের উপরে নাকি খুব অত্যাচার করা হচ্ছে। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছেন, গুলি করেছেন, হত্যা করেছেন। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।
একটা জনযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে।
উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে জিয়া ও এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।
সভায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস আউয়াল শামীম সভাটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
আরএ/