তারা বাংলাদেশ খাওয়ার পাঁয়তারা করছেন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে আমাদের কেন এই সমাবেশ? এই সমাবেশের কারণ একটাই; একজন মানুষ, একটা দল শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে নিপীড়ন, নির্যাতন, গ্রেপ্তার করে দেশটার সর্বনাশ করেছে। কথা বললে বলে আমরা কি চিবিয়ে খেয়েছি? দেশটাকে তো কুরে কুরে খেয়েছেন। এখন বাংলাদেশকে খাওয়ার পাঁয়তারা করছেন। আমাদের লক্ষ্য এক, দাবি এক, এই সরকারের পদত্যাগ।’
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের গোটা অর্জন ও স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে। যেদিকে তাকাই শুধু চুরি আর চুরি। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ওই খানেও টাকা নেয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে চুরি করে।’
এমনকি গরিব মানুষের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ প্রকল্পঘর সেখানেও চুরি। সবকিছু খেয়ে ফেলছে, বাকি রাখছে না কিছু। কারণ, এই সরকার আজকে সর্বভুক সরকারে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন; দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্ভিক্ষ হলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এতদিন বলছেন দেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে তাহলে এই দুর্ভিক্ষ কেন? উনি বলছেন, কম খান, অল্প বিদ্যুৎ খরচ করেন। অথচ উনারা চিতল মাছ খাচ্ছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে আরাম আয়েশ করছেন, ঘনঘন বিদেশ যাচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। উনার বাবার শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল; তখনো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন। তাই যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে এর সম্পূর্ণ দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের।’
এখন আবার জঙ্গিবাদ নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত্র শুরু করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তাদের এ অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। সরকার পতনে দেশের মানুষ জেগে উঠছে। তাই, এ সরকারের বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার হকিস্টিক ভেঙে চুরমার করে দেবে, রুখে দেবে। এই সরকার সব শেষ করে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কোনো ভবিষ্যত নাই।’
ঘুষ ছাড়া চাকুরি নাই। ঘুষখোর চোরদের ক্ষমতায় আর কেউ দেখতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার রক্ষায় মানুষ আরেকবার বাংলাদেশ স্বাধীন করবেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশ দেখার জন্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীনদেশ তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও পছন্দের জনপ্রতিনিধি যাতে নির্বাচন করতে পারি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না; সাফ কথা।’
এমএইচ/এমএমএ/