শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রথম পর্ব

ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

ফেসবুক খুললেই দেখা যায় কিছু কিছু শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা কোচিংয়ের মালিক ইংরেজি শেখাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী, আগ্রহী লোকজন আবার প্রচুর কমেন্ট করছেন এভাবে- ইংরেজি শেখার সঠিক মাধ্যমটি পেলাম, এতদিন ইংরেজি শেখা থেকে বঞ্চিত ছিলাম, যথার্থ ইংরেজি ক্লাস, সাককেসফুল ইংরেজি টিচার, এই ধরনের ইংরেজি শিক্ষকই দেশে প্রয়োজন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

কেউ কেউ লিখেছেন স্যার আপনার ক্লাস আমি প্রতিদিন দেখি, অনেকে তার ভিডিও পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। আবার লেখা আছে ভিডিওটি বার বার দেখার জন্য ক্লিক দিয়ে রাখুন ইত্যাদি।

এবার দেখা যাক তারা কী ইংরেজি শেখাচ্ছেন । দেখলাম জনৈক শিক্ষক ইংরেজি শেখাচ্ছেন— আই অর্থ আমি, অ্যাম অর্থ হয়। বি অর্থ হয়, টু বি অর্থ হতে। এটি কি অ্যাকটিভ ভয়েস, এটি কি প্যাসিভ ভয়েস। অ্যাকটিভ ভয়েসের গঠন প্রণালি কী? প্যাসিভের গঠন প্রণালি কী? সাবজেক্টকে অবজেক্ট করতে হয়, তারপর অকজিলারি ভার্ব বাসাতে হয়, তারপর ভার্বের পাস্ট পার্টিসিপল ফরম বসাতে হয়। মাঝে মাঝে আবার শিক্ষার্থীদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। আই অর্থ আমি, ইট মানে খাওয়া আর আমি খাই— আই ইট, কি খাই ভাত মানে রাইস। ‘অ্যাম টু’, ইজ টু মানি ‘তে হয়’— এভাবে কী ইংরেজি শেখা যায়? এই জাতীয় ইংরেজি পড়ানোর মধ্যে নতুনত্ব কী আছে? আমরা তো এভাবেই পড়ে এসেছি কিন্তু বাস্তব জীবনে কী ব্যবহার করা হচ্ছে? ক’জন ইংরেজি ব্যবহার করতে পারছে? এভাবে গ্রামার ট্রান্সলেশন মেথডে ইংরেজি পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করা যাচ্ছে না অর্থাৎ বাস্তব জীবনে তারা শোনা, বলা, পড়া ও লেখা—এর কোনোটিতেই ফলপ্রসূভাবে ইংরেজি ব্যবহার করতে পারছে না। তাই আমাদানি করা হলো’ কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’।

কমিউনিকেটিভ ইংরেজির মূল বৈশিষ্টগুলো কী? ‘পার্সোনাল এনগেজমেন্ট’ অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে অ্যাক্টিভিটি করতে হবে, গ্রামারের নিয়ম মুখস্ত করবে না, গ্রামার পড়বে কনটেক্সটচ্য়ুয়ালি অর্থাৎ টেক্সট থেকে, কোনো গল্প পড়ে সেখানে থেকেই গ্রামার শিখবে, শিক্ষার্থীদের ফ্লুয়েন্সির ওপর অর্থাৎ ভাষা ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। যে ট্রান্সলেশন মেথডের বিপরীতে ‘কমিউনিকেটিভ ল্যাংগুয়েজ টিচিং’ বা সিএলটি এল, দুনিয়াব্যাপী এখন এটি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, গবেষণা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে, সেখানে এখনো শিক্ষকরা আই অর্থ আমি, কুক অর্থ রান্না করা, রাইস অর্থ ভাত অর্থাৎ আমি ভাত রান্না করি। এটি হচ্ছে একটিভ ফর্ম এবং প্যাসিভ ফর্ম হচ্ছে রাইস ইজ কুকড বাই মি, তাও দেখলাম টিচারই সব বলে দিচ্ছেন, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার পর শিক্ষার্থীরা উত্তর দিচ্ছে বিষয়টি এমনভাবেও করাচ্ছেন না। শিক্ষক নিজে নিজেই সব বলে দিচ্ছেন। সিএলটি-তে পার্সনাল এনগেজমেন্ট বলতে যা বুঝাচ্ছে তার ধারে কাছেও নেই।

কমিউনিকেটিভ ইংরেজিতে টার্গেট ল্যাংগুয়েজ যত বেশি বেশি ব্যবহার করানো হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য তা ততই মঙ্গলজনক, শিক্ষার্থীরা কনটেক্সট থেকে, সিসুয়েশন থেকে ইংরেজি শিখবে, পারিপাশ্বিক অবস্থা থেকে শুনে শুনে ইংরেজি শিখবে কিন্তু সেই পরিবেশ স্বাভাবিক কারণে আমাদের থাকবে না কারন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আমরা আমাদের চারপাশে বাংলা শুনব, সবাই বাংলা ব্যবহার করবে, এটিই স্বাভাবিক। যেহেতু কমিউনিকেটিভ ইংরেজিতে ইংরেজির একটি পরিবেশ তৈরি করতে বলা হয় ,সেটি শিক্ষককেই নিশ্চিত করতে হয়। তিনি সর্বদাই সহজ ইংরেজিতে কথা বলবেন, কিছু কিছু শিক্ষার্থী সেগুলো শুনে প্রথমে সবটুকু কিংবা অনেক অংশই বুঝবে না, তারপরেও বলতে হবে। শুনে শুনে তারা শিখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। এই বিষয়টি কন্টেজিয়াস অর্থাৎ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । শিক্ষক নিজে যদি ইংরেজি ব্যবহার করেন, সেটি শিক্ষার্থীদের ভেতর সংক্রমিত হয়। শিক্ষার্থীরাও তখন ইংরেজি বলা শুরু করতে চাইবে। কিন্তু ফেসবুকে যারা ইংরেজি শেখাচ্ছেন এক দু’জন ছাড়া সবাই বাংলায় শুধু গ্রামার ব্যাখ্যা করছেন, ভাষার ব্যবহার নেই বললেই চলে। পুরোটাই বাংলা বলছেন। বাকি যে কাজটুকু করছেন তা হচ্ছে ট্রান্সলেট করছেন বাক্য, শব্দ যা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত ট্রান্সলেশন ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু ওনারা যেটি করছেন পুরো ইংরেজি গ্রামার পড়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন বাংলায় যে বিষয়গুলো আমাদের স্কুল ও কলেজ জীবনে ঘটেছে, এখনো ঘটছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা ব্যবহারের অর্থাৎ ইংরেজি শুনে বুঝা, নিজে ইংরেজিতে কিছু বলা, ইংরেজি পড়ে মর্মোদ্ধার করা এবং নিজে কিছু ইংরেজি লেখা। এর কোনোটাই কিন্তু ফেসবুকের টিচাররা করাচ্ছেন না, শুধু গ্রামারের নিয়ম আর স্ট্রাকচার করাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা থাকছেন অধিকাংশ সময়ই ইনঅ্যাকটিভ।

ভাষা শিখতে হলে নিজেকে এনগেজড হতে হবে, নিজেকে খেলোয়ার হতে হবে। মাঠের ভেতর খেলোয়াররা খেলছেন আর আপনি যদি মাঠের বাইরে বসে হাত তালি দেন তাতে আপনি খেলোয়ার হতে পারবেন না। খেলোয়ার হতে হলে আপনাকে মাঠে নামতে হবে, ফুটবলে লাথি দিতে হবে, ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিতে হবে, প্রাকটিস করতেই হবে।

অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলে থাকেন— ‘ওমুক স্যার সুন্দর করে গ্রামার বুঝিয়ে দেন, কাজেই ওনার কাছে পড়লেই কেল্লা ফতে।’ গ্রামার বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, বুঝার বিষয়। একটি ভাষা কীভাবে গঠিত হয়েছে তার ব্যবহার থেকে, এপ্লিকেশন থেকে, টেক্সট থেকে আপনাকে বুঝতে হবে এবং নিজে নিজে আবিষ্কার করতে হবে এটি যেভাবে হলো তার যুক্তিটি কি। নিজে আবিষ্কার করলে সারাজীবন মনে থাকবে। একজন শিক্ষক আপনাকে বলে দিল ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নম্বর হলে ভার্বরের শেষে এস বা ইয়েস যোগ করতে হয়। আপনি বুঝলেন, সেটি অনেক দিন ধরে রাখতে পারবেন না। ধরে রাখলেও ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনার ব্যবহার করে করে অটোমেটিক আপনার ঠোঁটে, আপনার হাতে লেখায় নিয়ে আসতে হবে। সেটি না হলে ভাষা শিক্ষা হচ্ছে না। সাইকেল কিংবা মটর সাইকেলে আপনার সামনে যিনি আছে তিনি যদি সব সময় চালান তাতে আপনার কষ্ট কম হয়, টেনশন কম, আপনি আরামে থাকেন কিন্তু আপনি কখনো চালানো শিখতে পারছেন না। বিষয়টি ঠিক এ রকম যখন কোনো শিক্ষক আপনাকে বার বার বলে দিচ্ছেন, তাতে আপনার কষ্ট হয়ত কম হচ্ছে কিন্তু আপনি ভাষা ব্যবহার করা শিখছেন না। সাঁতার কাটতে হলে আপানকে পানিতে নামতে হবে, পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে হবে। এখানে শিক্ষকের ভূমিকা হবে ‘ফেসিলিটেশন’ অর্থাৎ সাঁতার কাটার সময় আপনার পাশে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, মাঝে মাঝে প্রয়োজনে আপনাকে সহায়তা করছেন কিন্তু সাঁতার আপনাকেই দিতে হবে। ভাষা শেখার বিষয়টি ঠিক তাই। শিক্ষক নিজে সাঁতার কাটতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সাঁতার কাটা শিখবে কীভাবে?

আমরা দেখতে পাচ্ছি এলাকাভিত্তিক কিছু কিছু শিক্ষক, কিছু কোচিং সেন্টার, কিছু শিক্ষার্থী নিজের আগ্রহে ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করছেন। তারা মূলত নিজ উদ্যোগে নিজেদের ব্যক্তিগত চিন্তায় ও ধারণায় যা এসেছে তা দিয়ে ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করছেন। এগুলো কিন্তু ভাষা শেখানোর মূল পদ্ধতি, অ্যাপ্রোচ থেকে আলাদা। তারা ট্রাডিশনাল পদ্ধতিই ব্যবহার করছেন। এতে স্থানীয়ভাবে কিছু শব্দ ও কিছু বাক্য তৈরি করতে পারবে শিক্ষার্থীরা, নির্ভুলই তৈরি করবে কিন্তু ভাষার ভিত্তি বা ভাষার ব্যবহার করার যে দক্ষতা, কম্পিটেন্সিগুলো অর্জিত হয় না।

ইংরেজি কিছু গল্প, ইংরেজির কিছু টেক্সট, ইংরেজি পত্রিকার কিছু সংবাদ ও কলাম শিক্ষার্থীরা পড়ে দেখলে সেটি চমৎকার প্রাকটিস। সেটি তারা বুঝে কিনা। একজন নেটিভ স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন আপনি তার কথা বুঝতে পারছেন কিনা, তিনি কীভাবে ইংরেজি ব্যবহার করছেন সেগুলো লক্ষ্য করবেন, দেখবেন আমরা যে, বলি বারটি টেন্স মুখস্থ করলে ইংরেজি ভাষা পুরোটাই শেখা হয়। এ কথার ভিত্তি কতটা সেটিও টের পাবেন। একজন নেটিভ স্পিকার অর্থাৎ যার মাতৃভাষা ইংরেজি তার সঙ্গে কথা বলে। আই ইট রাইস, আই গো, ইউ গো শিখিয়ে সময়ই অপচয় হচ্ছে। যে অপচয় আমরা দীর্ঘ বার বছর করেছি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। ওই ইংরেজি শিখে ইংরেজি ভাষা ক’জন শিখতে পেরেছে তার প্রমাণ আপনি হাতে হাতেই পেয়ে যাবেন, আমরা অহরহ দেখছি। কিছু কিছু শিক্ষার্থী এর মধ্যে থেকে ইংরেজি শিখেছে। তারা কীভাবে শিখেছে ইংরেজি পত্রিকা পড়ে, ইংরেজি গল্পের বই পড়ে যেখানে অরজিনাল ইংরেজি লেখা আছে, যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি তারা সেগুলো লিখেছেন, আর যাদের ইংরেজি মুভি দেখার শখ তারা সেগুলো দেখে দেখে ইউটিউব, গুগল থেকে ইংরেজি কথোপকথন শুনে, পড়ে, আর্ন্তজাতিক টেস্ট দেখে দেখে ইংরেজি শিখেছেন।

চলবে….

লেখক: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা