বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রথম পর্ব

ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

ফেসবুক খুললেই দেখা যায় কিছু কিছু শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা কোচিংয়ের মালিক ইংরেজি শেখাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী, আগ্রহী লোকজন আবার প্রচুর কমেন্ট করছেন এভাবে- ইংরেজি শেখার সঠিক মাধ্যমটি পেলাম, এতদিন ইংরেজি শেখা থেকে বঞ্চিত ছিলাম, যথার্থ ইংরেজি ক্লাস, সাককেসফুল ইংরেজি টিচার, এই ধরনের ইংরেজি শিক্ষকই দেশে প্রয়োজন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

কেউ কেউ লিখেছেন স্যার আপনার ক্লাস আমি প্রতিদিন দেখি, অনেকে তার ভিডিও পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। আবার লেখা আছে ভিডিওটি বার বার দেখার জন্য ক্লিক দিয়ে রাখুন ইত্যাদি।

এবার দেখা যাক তারা কী ইংরেজি শেখাচ্ছেন । দেখলাম জনৈক শিক্ষক ইংরেজি শেখাচ্ছেন— আই অর্থ আমি, অ্যাম অর্থ হয়। বি অর্থ হয়, টু বি অর্থ হতে। এটি কি অ্যাকটিভ ভয়েস, এটি কি প্যাসিভ ভয়েস। অ্যাকটিভ ভয়েসের গঠন প্রণালি কী? প্যাসিভের গঠন প্রণালি কী? সাবজেক্টকে অবজেক্ট করতে হয়, তারপর অকজিলারি ভার্ব বাসাতে হয়, তারপর ভার্বের পাস্ট পার্টিসিপল ফরম বসাতে হয়। মাঝে মাঝে আবার শিক্ষার্থীদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। আই অর্থ আমি, ইট মানে খাওয়া আর আমি খাই— আই ইট, কি খাই ভাত মানে রাইস। ‘অ্যাম টু’, ইজ টু মানি ‘তে হয়’— এভাবে কী ইংরেজি শেখা যায়? এই জাতীয় ইংরেজি পড়ানোর মধ্যে নতুনত্ব কী আছে? আমরা তো এভাবেই পড়ে এসেছি কিন্তু বাস্তব জীবনে কী ব্যবহার করা হচ্ছে? ক’জন ইংরেজি ব্যবহার করতে পারছে? এভাবে গ্রামার ট্রান্সলেশন মেথডে ইংরেজি পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করা যাচ্ছে না অর্থাৎ বাস্তব জীবনে তারা শোনা, বলা, পড়া ও লেখা—এর কোনোটিতেই ফলপ্রসূভাবে ইংরেজি ব্যবহার করতে পারছে না। তাই আমাদানি করা হলো’ কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’।

কমিউনিকেটিভ ইংরেজির মূল বৈশিষ্টগুলো কী? ‘পার্সোনাল এনগেজমেন্ট’ অর্থাৎ শিক্ষার্থীকে অ্যাক্টিভিটি করতে হবে, গ্রামারের নিয়ম মুখস্ত করবে না, গ্রামার পড়বে কনটেক্সটচ্য়ুয়ালি অর্থাৎ টেক্সট থেকে, কোনো গল্প পড়ে সেখানে থেকেই গ্রামার শিখবে, শিক্ষার্থীদের ফ্লুয়েন্সির ওপর অর্থাৎ ভাষা ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। যে ট্রান্সলেশন মেথডের বিপরীতে ‘কমিউনিকেটিভ ল্যাংগুয়েজ টিচিং’ বা সিএলটি এল, দুনিয়াব্যাপী এখন এটি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, গবেষণা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে, সেখানে এখনো শিক্ষকরা আই অর্থ আমি, কুক অর্থ রান্না করা, রাইস অর্থ ভাত অর্থাৎ আমি ভাত রান্না করি। এটি হচ্ছে একটিভ ফর্ম এবং প্যাসিভ ফর্ম হচ্ছে রাইস ইজ কুকড বাই মি, তাও দেখলাম টিচারই সব বলে দিচ্ছেন, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার পর শিক্ষার্থীরা উত্তর দিচ্ছে বিষয়টি এমনভাবেও করাচ্ছেন না। শিক্ষক নিজে নিজেই সব বলে দিচ্ছেন। সিএলটি-তে পার্সনাল এনগেজমেন্ট বলতে যা বুঝাচ্ছে তার ধারে কাছেও নেই।

কমিউনিকেটিভ ইংরেজিতে টার্গেট ল্যাংগুয়েজ যত বেশি বেশি ব্যবহার করানো হবে, শিক্ষার্থীদের জন্য তা ততই মঙ্গলজনক, শিক্ষার্থীরা কনটেক্সট থেকে, সিসুয়েশন থেকে ইংরেজি শিখবে, পারিপাশ্বিক অবস্থা থেকে শুনে শুনে ইংরেজি শিখবে কিন্তু সেই পরিবেশ স্বাভাবিক কারণে আমাদের থাকবে না কারন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আমরা আমাদের চারপাশে বাংলা শুনব, সবাই বাংলা ব্যবহার করবে, এটিই স্বাভাবিক। যেহেতু কমিউনিকেটিভ ইংরেজিতে ইংরেজির একটি পরিবেশ তৈরি করতে বলা হয় ,সেটি শিক্ষককেই নিশ্চিত করতে হয়। তিনি সর্বদাই সহজ ইংরেজিতে কথা বলবেন, কিছু কিছু শিক্ষার্থী সেগুলো শুনে প্রথমে সবটুকু কিংবা অনেক অংশই বুঝবে না, তারপরেও বলতে হবে। শুনে শুনে তারা শিখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। এই বিষয়টি কন্টেজিয়াস অর্থাৎ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । শিক্ষক নিজে যদি ইংরেজি ব্যবহার করেন, সেটি শিক্ষার্থীদের ভেতর সংক্রমিত হয়। শিক্ষার্থীরাও তখন ইংরেজি বলা শুরু করতে চাইবে। কিন্তু ফেসবুকে যারা ইংরেজি শেখাচ্ছেন এক দু’জন ছাড়া সবাই বাংলায় শুধু গ্রামার ব্যাখ্যা করছেন, ভাষার ব্যবহার নেই বললেই চলে। পুরোটাই বাংলা বলছেন। বাকি যে কাজটুকু করছেন তা হচ্ছে ট্রান্সলেট করছেন বাক্য, শব্দ যা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত ট্রান্সলেশন ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু ওনারা যেটি করছেন পুরো ইংরেজি গ্রামার পড়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন বাংলায় যে বিষয়গুলো আমাদের স্কুল ও কলেজ জীবনে ঘটেছে, এখনো ঘটছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা ব্যবহারের অর্থাৎ ইংরেজি শুনে বুঝা, নিজে ইংরেজিতে কিছু বলা, ইংরেজি পড়ে মর্মোদ্ধার করা এবং নিজে কিছু ইংরেজি লেখা। এর কোনোটাই কিন্তু ফেসবুকের টিচাররা করাচ্ছেন না, শুধু গ্রামারের নিয়ম আর স্ট্রাকচার করাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা থাকছেন অধিকাংশ সময়ই ইনঅ্যাকটিভ।

ভাষা শিখতে হলে নিজেকে এনগেজড হতে হবে, নিজেকে খেলোয়ার হতে হবে। মাঠের ভেতর খেলোয়াররা খেলছেন আর আপনি যদি মাঠের বাইরে বসে হাত তালি দেন তাতে আপনি খেলোয়ার হতে পারবেন না। খেলোয়ার হতে হলে আপনাকে মাঠে নামতে হবে, ফুটবলে লাথি দিতে হবে, ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিতে হবে, প্রাকটিস করতেই হবে।

অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলে থাকেন— ‘ওমুক স্যার সুন্দর করে গ্রামার বুঝিয়ে দেন, কাজেই ওনার কাছে পড়লেই কেল্লা ফতে।’ গ্রামার বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, বুঝার বিষয়। একটি ভাষা কীভাবে গঠিত হয়েছে তার ব্যবহার থেকে, এপ্লিকেশন থেকে, টেক্সট থেকে আপনাকে বুঝতে হবে এবং নিজে নিজে আবিষ্কার করতে হবে এটি যেভাবে হলো তার যুক্তিটি কি। নিজে আবিষ্কার করলে সারাজীবন মনে থাকবে। একজন শিক্ষক আপনাকে বলে দিল ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নম্বর হলে ভার্বরের শেষে এস বা ইয়েস যোগ করতে হয়। আপনি বুঝলেন, সেটি অনেক দিন ধরে রাখতে পারবেন না। ধরে রাখলেও ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনার ব্যবহার করে করে অটোমেটিক আপনার ঠোঁটে, আপনার হাতে লেখায় নিয়ে আসতে হবে। সেটি না হলে ভাষা শিক্ষা হচ্ছে না। সাইকেল কিংবা মটর সাইকেলে আপনার সামনে যিনি আছে তিনি যদি সব সময় চালান তাতে আপনার কষ্ট কম হয়, টেনশন কম, আপনি আরামে থাকেন কিন্তু আপনি কখনো চালানো শিখতে পারছেন না। বিষয়টি ঠিক এ রকম যখন কোনো শিক্ষক আপনাকে বার বার বলে দিচ্ছেন, তাতে আপনার কষ্ট হয়ত কম হচ্ছে কিন্তু আপনি ভাষা ব্যবহার করা শিখছেন না। সাঁতার কাটতে হলে আপানকে পানিতে নামতে হবে, পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে হবে। এখানে শিক্ষকের ভূমিকা হবে ‘ফেসিলিটেশন’ অর্থাৎ সাঁতার কাটার সময় আপনার পাশে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, মাঝে মাঝে প্রয়োজনে আপনাকে সহায়তা করছেন কিন্তু সাঁতার আপনাকেই দিতে হবে। ভাষা শেখার বিষয়টি ঠিক তাই। শিক্ষক নিজে সাঁতার কাটতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সাঁতার কাটা শিখবে কীভাবে?

আমরা দেখতে পাচ্ছি এলাকাভিত্তিক কিছু কিছু শিক্ষক, কিছু কোচিং সেন্টার, কিছু শিক্ষার্থী নিজের আগ্রহে ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করছেন। তারা মূলত নিজ উদ্যোগে নিজেদের ব্যক্তিগত চিন্তায় ও ধারণায় যা এসেছে তা দিয়ে ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করছেন। এগুলো কিন্তু ভাষা শেখানোর মূল পদ্ধতি, অ্যাপ্রোচ থেকে আলাদা। তারা ট্রাডিশনাল পদ্ধতিই ব্যবহার করছেন। এতে স্থানীয়ভাবে কিছু শব্দ ও কিছু বাক্য তৈরি করতে পারবে শিক্ষার্থীরা, নির্ভুলই তৈরি করবে কিন্তু ভাষার ভিত্তি বা ভাষার ব্যবহার করার যে দক্ষতা, কম্পিটেন্সিগুলো অর্জিত হয় না।

ইংরেজি কিছু গল্প, ইংরেজির কিছু টেক্সট, ইংরেজি পত্রিকার কিছু সংবাদ ও কলাম শিক্ষার্থীরা পড়ে দেখলে সেটি চমৎকার প্রাকটিস। সেটি তারা বুঝে কিনা। একজন নেটিভ স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন আপনি তার কথা বুঝতে পারছেন কিনা, তিনি কীভাবে ইংরেজি ব্যবহার করছেন সেগুলো লক্ষ্য করবেন, দেখবেন আমরা যে, বলি বারটি টেন্স মুখস্থ করলে ইংরেজি ভাষা পুরোটাই শেখা হয়। এ কথার ভিত্তি কতটা সেটিও টের পাবেন। একজন নেটিভ স্পিকার অর্থাৎ যার মাতৃভাষা ইংরেজি তার সঙ্গে কথা বলে। আই ইট রাইস, আই গো, ইউ গো শিখিয়ে সময়ই অপচয় হচ্ছে। যে অপচয় আমরা দীর্ঘ বার বছর করেছি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। ওই ইংরেজি শিখে ইংরেজি ভাষা ক’জন শিখতে পেরেছে তার প্রমাণ আপনি হাতে হাতেই পেয়ে যাবেন, আমরা অহরহ দেখছি। কিছু কিছু শিক্ষার্থী এর মধ্যে থেকে ইংরেজি শিখেছে। তারা কীভাবে শিখেছে ইংরেজি পত্রিকা পড়ে, ইংরেজি গল্পের বই পড়ে যেখানে অরজিনাল ইংরেজি লেখা আছে, যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি তারা সেগুলো লিখেছেন, আর যাদের ইংরেজি মুভি দেখার শখ তারা সেগুলো দেখে দেখে ইউটিউব, গুগল থেকে ইংরেজি কথোপকথন শুনে, পড়ে, আর্ন্তজাতিক টেস্ট দেখে দেখে ইংরেজি শিখেছেন।

চলবে….

লেখক: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

আরএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪