মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রত্যাশা

২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ মার্চ সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ২০১২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটানের উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মানুষের জীবনে সুখের গুরুত্ব এবং সুখ প্রাপ্তিতে বাধার কারণগুলো তুলে ধরার জন্য দিবসটি পালন করা হয়। মূলত দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্যই হলো অসুখী মানুষদের সুখের সন্ধান দেওয়া, পথ দেখানো।

আন্তর্জাতিক সুখ দিবস একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। সরকার, সুশীল সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহ এই দিনে সম্মেলন, জনসমাবেশ, আলোচনা সভা, ইত্যাদির আয়োজন করে যাতে জনগণকে সচেতন করা যায় যে সুখী হওয়া একটি মানবাধিকার। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও দিবসটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও কম জনসমাগম এবং ন্যূনতম কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ রেখে দিবসটি উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এবারের সুখ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো–শান্ত থাকুন, বিচক্ষন হোন, দয়ালু হোন। অর্থাৎ প্রতিপাদ্যটিতে সুখ অর্জনের জন্য তিনটি মৌলিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ তৃপ্তি ও সুখ পেতে পারি। শান্ত থাকলে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। আর শান্তি সুখ সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত সহায়ক। বিচক্ষণতার সঙ্গে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা আমাদেরকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সফলতা মনের প্রসন্নতাকে উজ্জীবিত করে সুখের অনুভূতি দেয়। দয়া হলো একজন মানুষের সেরা মানবিক গুণাবলীর একটি এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া তাকে অপার সুখের জগতে নিয়ে যায়। দয়া-দাক্ষিণ্য অনুশীলনের মাধ্যমে মনে যে আনন্দানুভূতির সৃষ্টি হয় তার তুলনা হয় না। বিদ্যমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে এ বিষয়গুলো আমাদের সকলের জীবনের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রেক্ষিতে এই প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ যথাযথ হয়েছে বলে মনে করি।

পৃথিবীতে কে না সুখী হতে চায়? একজন মানুষের জীবনে সুখের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই হতে পারে না। এই যে আমরা এতো পরিশ্রম করছি সেতো সুখের জন্যই। জীবন তখনই অর্থবহ হয়ে ওঠে যখন সুখের আলোয় কারো জীবন আলোকিত হয়। সুখী মানুষের জীবনের সবকিছুই সুন্দর, প্রাণময় এবং গতিশীল। অসুখী মানুষের জীবনে কোনো কিছুরই মূল্য নেই, সবই যেন শূন্যতায় ভরা। জন্মই তার কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে। সে যেন এক অভিশপ্ত জীবন, কোনো দিন শেষ হবে না। তাইতো সুখের সন্ধানে মানুষের প্রচেষ্টার অন্ত নেই। সবাই সুখের পেছনে হন্যে হয়ে ছুটছে, দিনের পর দিন চলে যায় সুখের দেখা মিলে না।

সুখকে মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ যাতে একটি সুখী পরিবেশে শ্বাস নিতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বিশ্ব নেতৃত্বের বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মানুষ তাদের জীবনে সুখ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক বেশি পরিচিত, কিন্তু উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর মানুষের সুখ উপভোগের সুযোগ সবচেয়ে কম। প্রকৃতপক্ষে, দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার মতো বিষয়গুলো তাদের সুখ উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। এই বাধাগুলো অতিক্রম করার জন্য, জাতিসংঘ ২০১৫ সালে, দারিদ্র্য হ্রাস, বৈষম্য হ্রাস এবং পৃথিবীকে রক্ষাসহ ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য চালু করে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় ২০৩০ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য কাজ করছে।

একজন ব্যক্তি যে জন্য খুশি হতে পারে, অন্য ব্যক্তি তাতে খুশি নাও হতে পারে। সুখের উৎস যেমন ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন, তেমনি সুখের সংজ্ঞাও একেক জনের কাছে একেক রকম। সুখের অনুভব একেক জনে একেক ভাবে করে থাকে। তবে সুখের অর্থ এই নয় যে আমরা সুখী হওয়ার জন্য যখন যা খুশি তাই করে বেড়াব। সুখের অন্বেষণ বলতে অন্য কোন ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘন না করে নিজের জন্য সুখ খোঁজা বা অর্জিত সুখকে উপভোগ করার স্বাধীনতাকে বোঝায়। আমার সুখ ভোগের কারণে অন্যজনের সুখ নষ্ট হবে বা দুঃখের কারণ হবে, তা কখনোই কাম্য হতে পারে না।

লোভ আমাদের সুখ লাভের পথে বড় অন্তরায়। লোভ হচ্ছে সকল অসুখের বীজ। জীবন থেকে লোভ দূর করতে না পারলে কখনও সুখের দেখা পাওয়া যায় না। যে আত্ম-হাহাকার মনকে লোভের বিষে ভরে রাখে তার থেকে না বেরুতে পারলে সুখের আলো আঁধারেই ঢেকে থাকে। লোভকে জীবন থেকে বিসর্জন দেওয়া গেলে জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। তখন সুখ এসে এভাবেই ধরা দেয়। আমাদের যা আছে তাতেই যদি আমরা সন্তুষ্ট থাকি তবেই সুখ আমাদের জীবনকে প্লাবিত করে দিতে পারে। এ বিশ্বাস ধারণ করতে পারলে প্রতিটি ব্যক্তিই সুখের অকৃত্রিম ছোঁয়ায় জীবনকে রাঙিয়ে তুলতে সক্ষম হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বর্তমানে ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে, যেখানে আরও অসংখ্য মানুষ তাদের জীবনে সুখের বিন্দুমাত্র ছোঁয়াও পাচ্ছে না। পরিবর্তনশীল সামাজিক ব্যবস্থা, পারিবারিক বন্ধনে শৈথিল্য, কাজের সন্তুষ্টির অভাব এবং নানা ধরণের বৈষম্যের মতো কারণ রয়েছে যা একজন ব্যক্তির হতাশাগ্রস্ত হওয়ার এবং একটি অসুখী জীবনযাপনের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আরও বলা হয় যে সুখ, যা একটি মানসিক বিষয়, শুধুমাত্র একটি পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উপরই নির্ভর করে না, এ ক্ষেত্রে সামাজিক কাঠামো ও রীতিনীতি এবং পারিবারিক পরিবেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভুটান দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের একটি ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘে সুখ বিষয়ক একটি প্রস্তাব উত্থাপনের পেছনে কি কোনো দর্শন কাজ করেছে? এর উত্তরে উল্লেখ করতে হয় যে, ভুটান ছাড়া বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (জিএনএইচ)’ নামক ‘উন্নয়ন মাপকাঠি’র কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। তবে অন্যরা বিশ্বাস না করলেও জিএনএইচ হচ্ছে ভুটানের উন্নয়ন মতাদর্শের অন্যতম স্তম্ভ। ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি ভুটানিদের জীবনধারা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই ভুটানের মানুষ সুখ বলতে কি বুঝে থাকে সে ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই, যা আমাদের সুখী হওয়ার উপায়গুলো অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

ভুটানে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ নামে দেশের উন্নয়ন সূচক নির্ধারণের একটি অনন্য পদ্ধতির প্রচলন ছিল, যা শেষ পর্যন্ত ১৯৭২ সালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের দর্শন হিসাবে জারি করা হয়। ভুটান সরকার জিএনএইচের চারটি স্তম্ভের কঠোর অনুসরণের মাধ্যমে নীতিগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে–ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ভুটানের সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুশাসনের প্রবর্ধন। তারা দেশের জিডিপি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। জিএনএইচ নিয়েই তাদের ওঠাবসা।

জিএনএইচের প্রবর্তক এবং অনুসারী হিসেবে, ভুটানিরা বিশ্বাস করে যে মানব সমাজের প্রকৃত বিকাশ হলো বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার ফলাফল। অর্থনৈতিক অর্জন যদি মানুষের আধ্যাত্মিক ও মানসিক সুস্থতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে সুখের দ্বার উন্মুক্ত হতে পারে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক চাহিদার মধ্যে একটি টেকসই ভারসাম্য শুধুমাত্র ব্যক্তি এবং সমাজ উভয় স্তরেই একটি সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করতে পারে। পরিবার ও সমাজের মতো প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও নৈতিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আসলে ভুটানের লোকেরা তাদের জীবিকার ক্ষেত্রে নানা প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনুশীলন করে থাকে। মনে হয়, বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের মতো তারা ততটা লোভী নয়। এ কারণেও তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। আমরা, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের মানুষ হওয়ায়, কীভাবে আমাদের জীবনে সুখ আনতে হয় সে সম্পর্কে ভুটানিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

কয়েকদিন আগের এক জরিপে দেখা গেছে যে, সামাজিক সম্পর্ক যেসব দেশের মানুষের সুখের মাত্রা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেসব দেশ করোনা মহামারির কারণে সুখী দেশের তালিকায় আগের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। তবে যেসব দেশের মানুষ পারস্পরিক আস্থাকে সুখের ভিত্তি হিসাবে মনে করে সেসব দেশ তালিকায় এগিয়েছে। ওই জরিপ মতে, যেহেতু ভারত, লাতিন অঞ্চল ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে সামাজিক মেলামেশা ও সম্পর্ককে সুখের ভিত্তি ধরা হয় এবং এই মহামারিতে এসব সামাজিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়েছে, তাই ওই দেশগুলো সুখী দেশের তালিকায় নিচের দিকে চলে গেছে। অন্যদিকে, চীন, জাপান বা নরডিক দেশগুলোতে আইন ও প্রশাসনের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সুখের মাত্রা নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করে বিধায় ওই দেশগুলো করোনাকালেও পূর্বের তুলনায় বেশি সুখী হয়েছে এবং সুখী দেশের তালিকায় তাদের উন্নতি ঘটেছে।

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব যখন কিছুটা স্বস্তির দিকে যাচ্ছে, সেই সময় আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি উদযাপনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। করোনা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জীবন থেকে সুখ কেড়ে নিয়েছে। আমাদের অবশ্যই শান্ত থাকতে হবে এবং ইতিমধ্যে যে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে আমরা পতিত হয়েছি, সেই অবস্থা থেকে স্থায়ীভাবে কাটিয়ে উঠতে আমাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। যে মানুষগুলো অপরিসীম দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের মুখে সুখের হাসি ফোটাতে হবে। কথায় বলে–‘সুখের ভাগী কেউ যদি হয়, সুখ যে তখন দিগুণ হবে; দুঃখ যদি ভাগ করে নেই, দুঃখ তবে আধেক রবে।’ আমাদের সবার মন-মানসিকতায় সেই অনুভূতি জাগ্রত হোক–এই প্রত্যাশা নিয়ে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপনের সফলতা কামনা করি।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

এসএ/

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিরোধী দলগুলো এবং তার নিজ দল লিবারেল পার্টির ভেতর থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠে।

ট্রুডো এর আগে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তার এ সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে লিবারেল পার্টি এখন নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বাধ্য হবে।

ট্রুডোর এ সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কানাডার রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার এভাবে পদত্যাগের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) মাগুরা শহরের বরুণাতৈল গ্রামে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি জানান, তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রাব্বির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তারা এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার বকুল বলেন, "দেশের জন্য ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন রাব্বি। তার মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারেক রহমান এই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"

রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রীও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ার বকুল আরও বলেন, "রাব্বির পরিবার যাতে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।"

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকসেদুল মোমিন মিথুন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবুদ্দিন, এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাব্বি। তার মৃত্যুতে ছাত্রদলের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Header Ad
Header Ad

তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল

ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবালের ব্যাটিং জাদুতে দুর্দান্ত জয় পেল ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় অবদান রাখতে না পারলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজ রূপে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার অসাধারণ ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫ বল বাকি রেখেই দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল।

সোমবার বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে তামিমের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। তামিমের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ৩টি ছক্কায়। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও ছিল জয় নিশ্চিত করার পথে সহায়ক।

এদিন বরিশাল দল একাদশে পরিবর্তন এনে শান্তকে বাদ দিয়ে তামিমের সঙ্গে প্রিতম কুমারকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। যদিও প্রিতম ব্যর্থ হন এবং কাইল মেয়ার্স ২৪ রান যোগ করলেও তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের এবং মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করে।

রাজশাহীর ইনিংসে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৩৯ রান করলেও তার ধীর গতির ব্যাটিং দলের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়াসির আলী ২৩ বলে ৩৯ রান এবং জিসান আলম ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সেরা, ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

তামিমের নেতৃত্বে এই জয়ে ফরচুন বরিশাল ফের জয়ের ধারায় ফিরলো এবং দলটির আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেলো। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিম ও তার দলের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
কলকাতায় বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ বাংলাদেশি
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে মারধর, পুলিশে সোপর্দ
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রামের শিল্পপতি গ্রেপ্তার
এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি