শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রত্যাশা

২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ মার্চ সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। ২০১২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটানের উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মানুষের জীবনে সুখের গুরুত্ব এবং সুখ প্রাপ্তিতে বাধার কারণগুলো তুলে ধরার জন্য দিবসটি পালন করা হয়। মূলত দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্যই হলো অসুখী মানুষদের সুখের সন্ধান দেওয়া, পথ দেখানো।

আন্তর্জাতিক সুখ দিবস একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। সরকার, সুশীল সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহ এই দিনে সম্মেলন, জনসমাবেশ, আলোচনা সভা, ইত্যাদির আয়োজন করে যাতে জনগণকে সচেতন করা যায় যে সুখী হওয়া একটি মানবাধিকার। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও দিবসটি পালনের জন্য নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও কম জনসমাগম এবং ন্যূনতম কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ রেখে দিবসটি উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এবারের সুখ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো–শান্ত থাকুন, বিচক্ষন হোন, দয়ালু হোন। অর্থাৎ প্রতিপাদ্যটিতে সুখ অর্জনের জন্য তিনটি মৌলিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ তৃপ্তি ও সুখ পেতে পারি। শান্ত থাকলে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। আর শান্তি সুখ সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত সহায়ক। বিচক্ষণতার সঙ্গে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তা আমাদেরকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সফলতা মনের প্রসন্নতাকে উজ্জীবিত করে সুখের অনুভূতি দেয়। দয়া হলো একজন মানুষের সেরা মানবিক গুণাবলীর একটি এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া তাকে অপার সুখের জগতে নিয়ে যায়। দয়া-দাক্ষিণ্য অনুশীলনের মাধ্যমে মনে যে আনন্দানুভূতির সৃষ্টি হয় তার তুলনা হয় না। বিদ্যমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে এ বিষয়গুলো আমাদের সকলের জীবনের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রেক্ষিতে এই প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ যথাযথ হয়েছে বলে মনে করি।

পৃথিবীতে কে না সুখী হতে চায়? একজন মানুষের জীবনে সুখের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই হতে পারে না। এই যে আমরা এতো পরিশ্রম করছি সেতো সুখের জন্যই। জীবন তখনই অর্থবহ হয়ে ওঠে যখন সুখের আলোয় কারো জীবন আলোকিত হয়। সুখী মানুষের জীবনের সবকিছুই সুন্দর, প্রাণময় এবং গতিশীল। অসুখী মানুষের জীবনে কোনো কিছুরই মূল্য নেই, সবই যেন শূন্যতায় ভরা। জন্মই তার কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে। সে যেন এক অভিশপ্ত জীবন, কোনো দিন শেষ হবে না। তাইতো সুখের সন্ধানে মানুষের প্রচেষ্টার অন্ত নেই। সবাই সুখের পেছনে হন্যে হয়ে ছুটছে, দিনের পর দিন চলে যায় সুখের দেখা মিলে না।

সুখকে মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ যাতে একটি সুখী পরিবেশে শ্বাস নিতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বিশ্ব নেতৃত্বের বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মানুষ তাদের জীবনে সুখ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক বেশি পরিচিত, কিন্তু উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর মানুষের সুখ উপভোগের সুযোগ সবচেয়ে কম। প্রকৃতপক্ষে, দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার মতো বিষয়গুলো তাদের সুখ উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। এই বাধাগুলো অতিক্রম করার জন্য, জাতিসংঘ ২০১৫ সালে, দারিদ্র্য হ্রাস, বৈষম্য হ্রাস এবং পৃথিবীকে রক্ষাসহ ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য চালু করে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় ২০৩০ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য কাজ করছে।

একজন ব্যক্তি যে জন্য খুশি হতে পারে, অন্য ব্যক্তি তাতে খুশি নাও হতে পারে। সুখের উৎস যেমন ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন, তেমনি সুখের সংজ্ঞাও একেক জনের কাছে একেক রকম। সুখের অনুভব একেক জনে একেক ভাবে করে থাকে। তবে সুখের অর্থ এই নয় যে আমরা সুখী হওয়ার জন্য যখন যা খুশি তাই করে বেড়াব। সুখের অন্বেষণ বলতে অন্য কোন ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘন না করে নিজের জন্য সুখ খোঁজা বা অর্জিত সুখকে উপভোগ করার স্বাধীনতাকে বোঝায়। আমার সুখ ভোগের কারণে অন্যজনের সুখ নষ্ট হবে বা দুঃখের কারণ হবে, তা কখনোই কাম্য হতে পারে না।

লোভ আমাদের সুখ লাভের পথে বড় অন্তরায়। লোভ হচ্ছে সকল অসুখের বীজ। জীবন থেকে লোভ দূর করতে না পারলে কখনও সুখের দেখা পাওয়া যায় না। যে আত্ম-হাহাকার মনকে লোভের বিষে ভরে রাখে তার থেকে না বেরুতে পারলে সুখের আলো আঁধারেই ঢেকে থাকে। লোভকে জীবন থেকে বিসর্জন দেওয়া গেলে জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। তখন সুখ এসে এভাবেই ধরা দেয়। আমাদের যা আছে তাতেই যদি আমরা সন্তুষ্ট থাকি তবেই সুখ আমাদের জীবনকে প্লাবিত করে দিতে পারে। এ বিশ্বাস ধারণ করতে পারলে প্রতিটি ব্যক্তিই সুখের অকৃত্রিম ছোঁয়ায় জীবনকে রাঙিয়ে তুলতে সক্ষম হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বর্তমানে ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে, যেখানে আরও অসংখ্য মানুষ তাদের জীবনে সুখের বিন্দুমাত্র ছোঁয়াও পাচ্ছে না। পরিবর্তনশীল সামাজিক ব্যবস্থা, পারিবারিক বন্ধনে শৈথিল্য, কাজের সন্তুষ্টির অভাব এবং নানা ধরণের বৈষম্যের মতো কারণ রয়েছে যা একজন ব্যক্তির হতাশাগ্রস্ত হওয়ার এবং একটি অসুখী জীবনযাপনের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আরও বলা হয় যে সুখ, যা একটি মানসিক বিষয়, শুধুমাত্র একটি পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উপরই নির্ভর করে না, এ ক্ষেত্রে সামাজিক কাঠামো ও রীতিনীতি এবং পারিবারিক পরিবেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভুটান দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের একটি ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘে সুখ বিষয়ক একটি প্রস্তাব উত্থাপনের পেছনে কি কোনো দর্শন কাজ করেছে? এর উত্তরে উল্লেখ করতে হয় যে, ভুটান ছাড়া বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (জিএনএইচ)’ নামক ‘উন্নয়ন মাপকাঠি’র কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। তবে অন্যরা বিশ্বাস না করলেও জিএনএইচ হচ্ছে ভুটানের উন্নয়ন মতাদর্শের অন্যতম স্তম্ভ। ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি ভুটানিদের জীবনধারা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই ভুটানের মানুষ সুখ বলতে কি বুঝে থাকে সে ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই, যা আমাদের সুখী হওয়ার উপায়গুলো অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

ভুটানে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ নামে দেশের উন্নয়ন সূচক নির্ধারণের একটি অনন্য পদ্ধতির প্রচলন ছিল, যা শেষ পর্যন্ত ১৯৭২ সালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের দর্শন হিসাবে জারি করা হয়। ভুটান সরকার জিএনএইচের চারটি স্তম্ভের কঠোর অনুসরণের মাধ্যমে নীতিগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে–ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ভুটানের সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুশাসনের প্রবর্ধন। তারা দেশের জিডিপি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। জিএনএইচ নিয়েই তাদের ওঠাবসা।

জিএনএইচের প্রবর্তক এবং অনুসারী হিসেবে, ভুটানিরা বিশ্বাস করে যে মানব সমাজের প্রকৃত বিকাশ হলো বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতার ফলাফল। অর্থনৈতিক অর্জন যদি মানুষের আধ্যাত্মিক ও মানসিক সুস্থতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে সুখের দ্বার উন্মুক্ত হতে পারে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক চাহিদার মধ্যে একটি টেকসই ভারসাম্য শুধুমাত্র ব্যক্তি এবং সমাজ উভয় স্তরেই একটি সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করতে পারে। পরিবার ও সমাজের মতো প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও নৈতিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আসলে ভুটানের লোকেরা তাদের জীবিকার ক্ষেত্রে নানা প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনুশীলন করে থাকে। মনে হয়, বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের মতো তারা ততটা লোভী নয়। এ কারণেও তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। আমরা, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের মানুষ হওয়ায়, কীভাবে আমাদের জীবনে সুখ আনতে হয় সে সম্পর্কে ভুটানিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

কয়েকদিন আগের এক জরিপে দেখা গেছে যে, সামাজিক সম্পর্ক যেসব দেশের মানুষের সুখের মাত্রা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেসব দেশ করোনা মহামারির কারণে সুখী দেশের তালিকায় আগের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। তবে যেসব দেশের মানুষ পারস্পরিক আস্থাকে সুখের ভিত্তি হিসাবে মনে করে সেসব দেশ তালিকায় এগিয়েছে। ওই জরিপ মতে, যেহেতু ভারত, লাতিন অঞ্চল ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে সামাজিক মেলামেশা ও সম্পর্ককে সুখের ভিত্তি ধরা হয় এবং এই মহামারিতে এসব সামাজিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়েছে, তাই ওই দেশগুলো সুখী দেশের তালিকায় নিচের দিকে চলে গেছে। অন্যদিকে, চীন, জাপান বা নরডিক দেশগুলোতে আইন ও প্রশাসনের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সুখের মাত্রা নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করে বিধায় ওই দেশগুলো করোনাকালেও পূর্বের তুলনায় বেশি সুখী হয়েছে এবং সুখী দেশের তালিকায় তাদের উন্নতি ঘটেছে।

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব যখন কিছুটা স্বস্তির দিকে যাচ্ছে, সেই সময় আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি উদযাপনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। করোনা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জীবন থেকে সুখ কেড়ে নিয়েছে। আমাদের অবশ্যই শান্ত থাকতে হবে এবং ইতিমধ্যে যে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে আমরা পতিত হয়েছি, সেই অবস্থা থেকে স্থায়ীভাবে কাটিয়ে উঠতে আমাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। যে মানুষগুলো অপরিসীম দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের মুখে সুখের হাসি ফোটাতে হবে। কথায় বলে–‘সুখের ভাগী কেউ যদি হয়, সুখ যে তখন দিগুণ হবে; দুঃখ যদি ভাগ করে নেই, দুঃখ তবে আধেক রবে।’ আমাদের সবার মন-মানসিকতায় সেই অনুভূতি জাগ্রত হোক–এই প্রত্যাশা নিয়ে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপনের সফলতা কামনা করি।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত