ই-মেইল সার্ভারের ঘটনায় যা বলল বিমান
বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভারে র্যানসমওয়্যার হামলার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিমান বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিমানের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি হচ্ছে, গত ১৮ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কিছু সংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়। সেদিনই সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আইসোলেটেড করা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, ধারা-১৫ অনুসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অধীন তফসিলভুক্ত প্রতিষ্ঠান বিধায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি প্রদত্ত কারিগরি দিকনির্দেশনার আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভারে র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনাটি হ্যাকিং নয়। আক্রান্ত হওয়া সার্ভারটি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। এ ঘটনায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এদিকে, বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভারে র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয় বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভার।
হ্যাকাররা ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করে। এরই মধ্যে পাঁচ দিন পার হলেও এখনও ই-মেইল সার্ভার উদ্ধার করা যায়নি। বাকি পাঁচ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়া না হলে সব তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কেএম/এমএমএ/