ঈদযাত্রা
সড়কে চাপ বাড়ছে, ট্রেন-লঞ্চে স্বস্তি
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুন) থেকে বেশি সংখ্যায় মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তাই সড়ক পথে মূলত ভিড় হবে আজ বিকাল থেকে। নৌ ও রেলপথের যাত্রীরা স্বস্তিতেই ঢাকা ছাড়ছেন।
পদ্মা সেতুর কারণে নৌপথে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। লঞ্চে তেমন ভিড় নেই। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ চলাচল করার যে অভিযোগ দীর্ঘদিনের এবার সেটা নেই।
ফেরিঘাটগুলো ফাঁকা রয়েছে। যানবাহনের জন্য এতদিনের চিরাজচরিত নিয়ম ভেঙে ফেরি অপেক্ষা করছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং মাওয়া ফেরিঘাটে বৃহস্পতিবার এমন চিত্র দেখা গেছে।
সড়কে চাপ বাড়বে বিকাল থেকে
প্রতিবছর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বাড়ি যাওয়ারই সুযোগ পায় দুই ঈদে। এবার ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে (৮ জুলাই)।আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) শেষ অফিস। তাই আজ অফিসে কোনো রকমে হাজিরা দিয়েই মানুষ ছুটছে বাড়ির পথে।
এদিন ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি অফিস এবং পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় বেতন দিয়ে শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেবে। একারণেও বিকাল থেকে চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একটি এনজিওতে কর্মরত রাজশাহীর অনুপ কুমার দাশ দুপুরের পরেই রওনা দিয়েছেন গাবতলীতে। তার আজ শেষ অফিস। বিকালে বাস ছাড়বে।
অনুপ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পরিবার আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ শেষ অফিস ছিল। লাঞ্চ আওয়ারেই বের হয়েছি। বাড়ি যাব।
রাজধানী থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাইপাইল মোড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক লাখ যানবাহন ঈদের সময় প্রতিদিন এই মোড় দিয়ে যায়।
এখানকার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ আব্দুস সালাম দুপুরে বলেন, এখনো সড়কে চাপ নাই। তবে বিকালে কী হয় সেটাই দেখার বিষয়। কারণ গার্মন্টেস কারখানাও ছুটি হবে আজ বিকালে।
রেলপথে স্বস্তি
কমলাপুরে ঈদের তৃতীয় দিনের যাত্রায় তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী নেই। কোনো শিডিউল বিপর্য়য় নাই। এতে রেলযাত্রীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমলাপুর থেকে বেশির ভাগ ট্রেনই ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে।তবে কয়েকটি ট্রেন ১৫-২০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী ওঠানামা ও ট্রেনের রুটিন চেকের জন্যে এ দেরি হচ্ছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়েছে আধঘণ্টা দেরিতে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়েছে দুই ঘণ্টা দেরিতে। এ ছাড়া মহুয়া, কর্ণফুলী ও রংপুর এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে গেছে।
বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী খালেদ বলছেন, ট্রেনে স্বস্তির যাত্রা হবে মনে হচ্ছে। গতবারের চেয়েও এবার ভিড় কম। অতিরিক্ত যাত্রী নেই এটাই সবচেয়ে বেশি স্বস্তির।
স্বস্তি লঞ্চেও
পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এবার সড়কপথে ঢাকা ছাড়ছে বেশি। তাই লঞ্চে তেমন ভিড় দেখা গেল না। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। স্বস্তিকর যাত্রা।
বরিশালের যাত্রী আতিক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভিড় হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তেমন ভিড় দেখছি না। এটা ব্যতিক্রম। আশা করছি ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি যেতে পারব।
সাধারণত বিকাল ৪টা থেকে দূরপাল্লার লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যায়। দুপুরের পর থেকেই তাই সদরঘাটে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। তবে ছাদে বা অন্য নিষিদ্ধ কোথাও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়নি।
আরইউ/এমএমএ/