বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়ি অঞ্চলের নানা জাতের আনারস চাষ ও রাসায়নিক ব্যবহার। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র মাহে রমজানে টাঙ্গাইলের মধুপুরের ‘জিআই’ পণ্য আনারসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে যেসব আনারস পাওয়া যাচ্ছে, তার অধিকাংশই জলডুগি জাতের। তবে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেলেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আনারস বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

অপরদিকে, দ্রুত লাভের আশায় কৃষকরা ব্যাপক হারে রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে একদিকে যেমন আনারস দ্রুত বড় ও পাকছে, অন্যদিকে এর স্বাদ, গুণগতমান এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগানে প্রানোফিক্স, সুপারফিক্স, রাইপেন, ইথোফন, জিব্রেলিক এসিডসহ নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ৬০ পাতা হওয়ার আগেই কৃত্রিমভাবে ফল ধরানোর জন্য রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এক চাষি আক্কাস আলী বলেন, “প্রাকৃতিকভাবে আনারস একসঙ্গে পাকে না, কিন্তু রাসায়নিক ব্যবহার করলে সব আনারস একসঙ্গে পেকে যায়। এ কারণে শিয়াল, বানর, টগা, কটাবানরও এখন আর আনারস খায় না। মানুষও খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, তবে দেশের বাজারে ঠিকই বিক্রি হচ্ছে।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

একজন ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক জানান, “রমজানের আগে বাগান কিনে নেই। কিন্তু ক্রেতারা বড় ও উজ্জ্বল রঙের আনারস চান, তাই রাসায়নিক ব্যবহার করতে বাধ্য হই। এতে লাভও বেশি হয়।”

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, “এভাবে রাসায়নিক ব্যবহারে মানবদেহে নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই অসময়ে রাসায়নিক মিশ্রিত আনারস না খাওয়াই ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী আনারস ‘জিআই’ পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কৃষি বিভাগকে আরও কঠোর মনিটরিং করতে হবে, যাতে চাষিরা রাসায়নিকের অপব্যবহার না করেন।”

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাকিব আল রানা জানান, “মধুপুরের আনারস সুস্বাদু ও রসালো। কিন্তু অনেকে দ্রুত পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আমরা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধের দোকানও মনিটরিং করছি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজানে আনারসের চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারে এর গুণগতমান ও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি মনিটরিং বৃদ্ধি এবং চাষিদের সচেতনতা বাড়ানো না গেলে আনারসের ঐতিহ্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক হঠাৎ মাটিতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরের পর অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মাটিতে পড়ে মাথায় আঘাত পেলে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

স্বজনরা জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকা তুলেছেন আরেফিন সিদ্দিক। এরপর তিনি রমনায় ঢাকা ক্লাবে যান। সেখানে কথা বলতে বলতেই পড়ে যান। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান তার ফেসবুকে এক বার্তায় বলেন, আমাদের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক স্যার আজ হঠাৎ করে মাটিতে পড়ে গিয়ে ব্রেনে আঘাত পেয়ে এখন ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে আছেন। সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন এবং অন্যদের দোয়া করতে বলবেন যাতে আল্লাহপাক স্যারকে দ্রুত শেফা দান করেন।

আরেফিন সিদ্দিক ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন আরেফিন সিদ্দিক। ওই বছরের জুলাইয়ে তাকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে ৫ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ৫২০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, কম্বল, চাদর, থ্রী-পিচ, তৈরি পোশাক, মোবাইল, ঔষধ, মলম, কীটনাশক এবং বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস নোটে জানান, ০১ ফেব্রুয়ারি হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক মাসে বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালী চেকপোস্ট ও আন্দুলিয়া সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিজিবি'র অভিযানিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত চোরাচালান মালামালসহ পাচার চক্র আটকের ক্ষেত্রে সীমান্তে বিজিবির গোয়েন্দা ও টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। চোরাকারবারি কর্তৃক মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্যসামগ্রী চোরাচালানের কারণে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে বিজিবি’র দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানকে স্থানীয় জনগণ সাধুবাদ জানায়। এছাড়াও ভবিষ্যতে বিজিবি’র এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি
মিরপুরে মুশফিককে ‘গার্ড অব অনার’ দিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
‘ভালোবাসার মানুষের’ বাহুডোরে পরীমণি, আলোচনায় শেখ সাদী