বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য চলছে, শিক্ষকরা লাঞ্চিত হচ্ছেন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য চলছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তাদের দাবি, শিক্ষায় দলীয়করণের কারণে শিক্ষকদের ছত্রছায়ায় ছাত্ররা মাস্তানি করছে। তাদের দ্বারা শিক্ষকরা লাঞ্চিত হচ্ছেন। যাতে দেশের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ সময় নড়াইলে অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক লাঞ্জিত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মঞ্জুর দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কী হচ্ছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেছেন, ডাক্তার, প্রকৌশলী বানাচ্ছি, কিন্তু মানুষ বানাচ্ছি কতগুলো। দায়িত্ব তো উনিও এড়াতে পারেন না। যখন যে দল ক্ষমতায় আসবে, সেই দলের শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে। তাদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির ছাত্রনেতারা মাস্তান হয়ে যায়।

তিনি বলেন, নড়াইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাঞ্চিত, জুতার মালা দিয়ে তাকে ঘুরানো হয়েছে। সাভারে একজন শিক্ষককে হত্যা করেছে। হত্যাকারী কিশোর গ্যাংয়ের কাছে দাদা বলে পরিচিত। পরিচালনা কমিটি তার আত্মীয়, আরেকজন শিক্ষক তাকে প্ররোচিত করেছে। ওই শিক্ষক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। শিক্ষার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে। শিক্ষার পরিবেশ দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হাতে সিগারেট দেখা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাতে কাপ আর সিগারেট। ছেলেমেয়ে হাত ধরাধরি করে হাঁটাহাঁটি করছে, আর সিগারেট খাচ্ছে। এটা কোন সংস্কৃতি? কোন শিক্ষা।’

শুধু শিক্ষার মান নয়, নৈতিকতাও কমেছে। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকেও শক্ত হতে হবে বলে জানান তিনি।

বলেন, ‘এখন যাদের হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গেছে, যাদের না আছে শিক্ষা, না আছে দীক্ষা। তারা শুধু বুঝে কীভাবে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ‘বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮-২০ লাখ নতুন চাকরি প্রত্যাশী জব মার্কেটে প্রবেশ করে। তার মধ্যে দেশে-বিদেশে মিলিয়ে ৫-৬ লাখের কর্মসংস্থান হয়। বাকি সবাই থাকে বেকার। এই বেকারের মধ্যে শিক্ষিত বেকার। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় বেকারত্ব তৈরি করে। কর্মবিমুখ যে শিক্ষা ব্যবস্থা, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা কেন রাখবো? কেন আমরা কর্মবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার চিন্তা করছি না।’

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা র‌্যাংকিংয়ে আমরা কোন জায়গায় আছি? কল্পনা করা যায়, ৫ হাজারের মধ্যেও নেই। ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায়। যেভাবেই থাকেন না কেন। আন্তর্জাতিক / র‌্যাংঙ্কিংয়ের জন্য কোনও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এখানে গবেষণা ও প্রকাশনা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান নিচে নেমে গেছে। সবক্ষেত্রে অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। এর কারণ জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। মানসম্পন্ন শিক্ষা তৈরি করতে শিক্ষকদের বেতনভাতা বাড়ানোর জন্য বলেন তিনি।

বিএনপি’র রুমিন ফারহানা বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে মানটাই বড় সমস্যা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার মানে ক্রম অবনমন। র‌্যাংঙ্কিংয়ে ধস নেমেছে। বর্তমান সরকার দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকলেও আন্তর্জাতিক র‌্যাংঙ্কিংয়ে জন্য কোনো সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুরো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এনআইডি ইসিতেই থাকা উচিত এবং সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, “এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই, এনআইডি ইসিতেই থাকুক। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব। তবে, কমিশন কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। সরকারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”

সরকারের কাছে কমিশনের অবস্থান লিখিতভাবে জানানো হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সবদিক বিবেচনা করেই সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, সরকার এখনো এনআইডি সেবা কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে এবং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, “এনআইডি যদি ইসি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সেবা সহজ করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে, বিগত সরকার এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য আইন করেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে দেয়। এখন আবারও সরকার এনআইডি আলাদা কমিশনের অধীনে রাখার পরিকল্পনা করছে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনআইডি আলাদা কমিশনে নেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে ১৩ মার্চ থেকে সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।

দুপুরে সিইসির দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বের হয়ে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান।

Header Ad
Header Ad

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৈশপ্রহরীদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সেহরির খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নৈশপ্রহরীদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুল ইসলাম শাওন বলেন, 'পবিত্র রমজান আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ভ্রাতৃত্ববোধের মাস। এই মাসে আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, বিশেষ করে যারা নিঃসন্দেহে আমাদের সুরক্ষার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় আজ আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। তারা সারারাত আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করেন, তাই তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটি একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই উদ্যোগ কবুল করুক এবং আমাদের সবাইকে রমজানের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করার তৌফিক দান করুক।'

Header Ad
Header Ad

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. তৌফিক হাসান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গতকাল বুধবার শাহবাগ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন মোস্তফা আসিফ– এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে তিনি ও তার বন্ধু পায়ে হেঁটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে মোস্তফা আসিফ বাদীর সামনে এসে তিনি পর্দা করেননি কেন বলে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূণ কথা বলে তাকে যৌনপীড়ন করেন। ওই ছাত্রী তখন প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি
কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ
পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন
পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি
২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা!
ভাষানটেকে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাষ্ট্র নাকি ব্যবসায়ী কার শক্তি বেশি দেখতে চান চট্টগ্রামের ডিসি
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: ড. ইউনূস
জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ভারতের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৫৬ বাংলাদেশি জেলে
রোজাদারের জন্য যেসব কাজ মাকরুহ
রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন
সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  
৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  
বসুন্ধরা এলাকায় হামলা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম  
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র