বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কথায় কথায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বলেছেন, ‘প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কিচ্ছতা সাধন করতে হবে। ব্যক্তিগত সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে। দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কথায় কথায় দৌঁড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।’

বুধবার (২৯ জুন) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার প্রধান একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বাধা ও চাপের মুখে পড়লেও আমরা দৃঢ়ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক প্রতিকুল অবস্থায় এগোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের দেশে বিদেশে বাইরে সব জায়গায়তো একটা বাধা পেতে হয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে। আমাদের সরকার সব সময় ব্যবসা বান্ধব সরকার। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে করপোরেট কর হার আরও কমিয়ে কর হার ২ দশমিক ২৫ ভাগ হারে হ্রাস করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কিচ্ছতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ঢালাও ব্যবহার করবেন না, অপচয় যেন না হয় সকলেই কিছু কিচ্ছতা সাধন করে কিছুটা সঞ্চয় করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। এটা করতে গেলে তিনটা জিনিস নজর দিকে নজর দিতে হবে। তারমধ্যে রয়েছে-ব্যক্তিগত পর্যায়ে সঞ্চয় বাড়ানোর মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখা। সকল প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় তথা অপচয় কমানো, আমদানিকৃত বিলাস পণ্য পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় মনযোগ দিতে হবে। আমদানিজনিত মূল্যস্ফিতি রোধে সার বিদ্যুৎ তেল গ্যাসে ভর্তুকি প্রদান করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল প্রাকৃতি গ্যাসে সরকারের যে ঘাটতি হবে তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে ভোক্ত পর্যায়ে চাপিয়ে দেবো না। যার কারণে ভর্তুকি ব্যয় বাড়বে। ভর্তুকি ব্যয় সহনশীল রাখা। আমদানির উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, সবাইকে দেশীয় পণ্যে ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে। কথায় কথায় দৌড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিকুল অবস্থায় এগোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো যেখনে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের দেশে বিদেশে বাইরে সব জায়গায়তো একটা বাধা পেতে হয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। তার কারণ আমাদের দেশের মানুষ তাদের আলাদা শক্তি আছে। তারা বুঝতে পারে অনুধাবন করতে পারে। তখনই তাদের শক্তি বোঝা যায়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হয়েছে। জাতির পিতার ডাকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এদেশের মানুষ। তারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল সেই মানুষের দেশ আমাদের। আমাদের মানুষকে নিয়েই এগোতে হবে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাস এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য জনগণের সর্বাত্নক সহযোগিতায় চাই। জনগণের সর্বাত্নক সহযোগিতা পেলে এই বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেয়ার জন্য যতটুকু করার আমরা সবটুকু করেছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশ কোন সংকটে পড়ে, আমি এটুকু কথা দিতে পারি আওয়ামী লীগ সরকার একইভাবে সবসময় মানুষের পাশে আছে, থাকবে।

তিনি বলেন, যখনই করোনা কমেছে তখনই আমাদের আমদানি বেড়েছে। অনেকে মেশিনারি কেনা নিয়ে সমালোচনা করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বেশিরভাগই ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি করেছি, যখনই এগুলো চালু হবে তার থেকে আমাদের দেশ লাভবান হবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এটা করতে গিয়ে আমাদের ডলারের কিছুটা টান পড়েছে, কিন্তু সেটা এখনো আশঙ্কাজনক কোনো বিষয় নয়। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ২২ জুন পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে সরবরাহ করেছে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছি, এই ফ্যামিলি কার্ড এক ধরনের রেশন কার্ড। এই কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে ৬টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমরা সরবরাহ করেছিলাম।

সংসদ নেতা বলেন, বিগত বছর অক্টোবর মাসে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। যেটা এখন ৪১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের আমদানি বেড়েছে সে কারণে এটি হয়েছে। তাছাড়া কৃষকের সার কিনতে হচ্ছে। যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে রাখার বিপরীতে টাকার মূল্য পুন:নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।

তিনি আরও বলেন, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি যত কম হয়, সেদিকে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেগুলো খুব একটা প্রয়োজন নাই, সেগুলো যেন আমরা কম আমদানি করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সেগুলো আনতে হবে। বিলাসবহুল পণ্যগুলো যেমন ব্যক্তিগত গাড়ি, ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানিতে কর মার্জিন রেখা ৭৫ শতাংশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে মূল্য নিয়ন্ত্রণের সরকারের মূল কৌশল হবে বিদ্যমান চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বাড়ানো। পদ্মা সেতুর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে আমদানি ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তাছাড়া এই বন্যা মোকাবিলা করতে এই সেতু সহায়তা দিবে।

সংসদ নেতা বলেন, কিচ্ছুতা সাধনের জন্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমানো যায়। একইভাবে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নির্ভরতা কমানো হচ্ছে।

 

এসএম/

Header Ad
Header Ad

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুরো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এনআইডি ইসিতেই থাকা উচিত এবং সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, “এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই, এনআইডি ইসিতেই থাকুক। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব। তবে, কমিশন কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। সরকারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”

সরকারের কাছে কমিশনের অবস্থান লিখিতভাবে জানানো হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সবদিক বিবেচনা করেই সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, সরকার এখনো এনআইডি সেবা কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে এবং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, “এনআইডি যদি ইসি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সেবা সহজ করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে, বিগত সরকার এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য আইন করেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে দেয়। এখন আবারও সরকার এনআইডি আলাদা কমিশনের অধীনে রাখার পরিকল্পনা করছে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনআইডি আলাদা কমিশনে নেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে ১৩ মার্চ থেকে সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।

দুপুরে সিইসির দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বের হয়ে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান।

Header Ad
Header Ad

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৈশপ্রহরীদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সেহরির খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নৈশপ্রহরীদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুল ইসলাম শাওন বলেন, 'পবিত্র রমজান আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ভ্রাতৃত্ববোধের মাস। এই মাসে আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, বিশেষ করে যারা নিঃসন্দেহে আমাদের সুরক্ষার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় আজ আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। তারা সারারাত আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করেন, তাই তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটি একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই উদ্যোগ কবুল করুক এবং আমাদের সবাইকে রমজানের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করার তৌফিক দান করুক।'

Header Ad
Header Ad

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. তৌফিক হাসান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গতকাল বুধবার শাহবাগ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন মোস্তফা আসিফ– এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে তিনি ও তার বন্ধু পায়ে হেঁটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে মোস্তফা আসিফ বাদীর সামনে এসে তিনি পর্দা করেননি কেন বলে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূণ কথা বলে তাকে যৌনপীড়ন করেন। ওই ছাত্রী তখন প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি
কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ
পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন
পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি
২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা!
ভাষানটেকে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাষ্ট্র নাকি ব্যবসায়ী কার শক্তি বেশি দেখতে চান চট্টগ্রামের ডিসি
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: ড. ইউনূস
জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ভারতের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৫৬ বাংলাদেশি জেলে
রোজাদারের জন্য যেসব কাজ মাকরুহ
রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন
সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  
৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  
বসুন্ধরা এলাকায় হামলা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম  
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র