বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কথায় কথায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বলেছেন, ‘প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কিচ্ছতা সাধন করতে হবে। ব্যক্তিগত সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে। দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কথায় কথায় দৌঁড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।’

বুধবার (২৯ জুন) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার প্রধান একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত বাধা ও চাপের মুখে পড়লেও আমরা দৃঢ়ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক প্রতিকুল অবস্থায় এগোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের দেশে বিদেশে বাইরে সব জায়গায়তো একটা বাধা পেতে হয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে। আমাদের সরকার সব সময় ব্যবসা বান্ধব সরকার। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে করপোরেট কর হার আরও কমিয়ে কর হার ২ দশমিক ২৫ ভাগ হারে হ্রাস করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কিচ্ছতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ঢালাও ব্যবহার করবেন না, অপচয় যেন না হয় সকলেই কিছু কিচ্ছতা সাধন করে কিছুটা সঞ্চয় করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। এটা করতে গেলে তিনটা জিনিস নজর দিকে নজর দিতে হবে। তারমধ্যে রয়েছে-ব্যক্তিগত পর্যায়ে সঞ্চয় বাড়ানোর মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখা। সকল প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় তথা অপচয় কমানো, আমদানিকৃত বিলাস পণ্য পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় মনযোগ দিতে হবে। আমদানিজনিত মূল্যস্ফিতি রোধে সার বিদ্যুৎ তেল গ্যাসে ভর্তুকি প্রদান করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল প্রাকৃতি গ্যাসে সরকারের যে ঘাটতি হবে তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে ভোক্ত পর্যায়ে চাপিয়ে দেবো না। যার কারণে ভর্তুকি ব্যয় বাড়বে। ভর্তুকি ব্যয় সহনশীল রাখা। আমদানির উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, সবাইকে দেশীয় পণ্যে ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে। কথায় কথায় দৌড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিকুল অবস্থায় এগোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো যেখনে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের দেশে বিদেশে বাইরে সব জায়গায়তো একটা বাধা পেতে হয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। তার কারণ আমাদের দেশের মানুষ তাদের আলাদা শক্তি আছে। তারা বুঝতে পারে অনুধাবন করতে পারে। তখনই তাদের শক্তি বোঝা যায়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হয়েছে। জাতির পিতার ডাকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এদেশের মানুষ। তারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল সেই মানুষের দেশ আমাদের। আমাদের মানুষকে নিয়েই এগোতে হবে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাস এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য জনগণের সর্বাত্নক সহযোগিতায় চাই। জনগণের সর্বাত্নক সহযোগিতা পেলে এই বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দেয়ার জন্য যতটুকু করার আমরা সবটুকু করেছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশ কোন সংকটে পড়ে, আমি এটুকু কথা দিতে পারি আওয়ামী লীগ সরকার একইভাবে সবসময় মানুষের পাশে আছে, থাকবে।

তিনি বলেন, যখনই করোনা কমেছে তখনই আমাদের আমদানি বেড়েছে। অনেকে মেশিনারি কেনা নিয়ে সমালোচনা করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বেশিরভাগই ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি করেছি, যখনই এগুলো চালু হবে তার থেকে আমাদের দেশ লাভবান হবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এটা করতে গিয়ে আমাদের ডলারের কিছুটা টান পড়েছে, কিন্তু সেটা এখনো আশঙ্কাজনক কোনো বিষয় নয়। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ২২ জুন পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে সরবরাহ করেছে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছি, এই ফ্যামিলি কার্ড এক ধরনের রেশন কার্ড। এই কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে ৬টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমরা সরবরাহ করেছিলাম।

সংসদ নেতা বলেন, বিগত বছর অক্টোবর মাসে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। যেটা এখন ৪১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের আমদানি বেড়েছে সে কারণে এটি হয়েছে। তাছাড়া কৃষকের সার কিনতে হচ্ছে। যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে রাখার বিপরীতে টাকার মূল্য পুন:নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।

তিনি আরও বলেন, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি যত কম হয়, সেদিকে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেগুলো খুব একটা প্রয়োজন নাই, সেগুলো যেন আমরা কম আমদানি করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সেগুলো আনতে হবে। বিলাসবহুল পণ্যগুলো যেমন ব্যক্তিগত গাড়ি, ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানিতে কর মার্জিন রেখা ৭৫ শতাংশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে মূল্য নিয়ন্ত্রণের সরকারের মূল কৌশল হবে বিদ্যমান চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বাড়ানো। পদ্মা সেতুর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে আমদানি ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। ফলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তাছাড়া এই বন্যা মোকাবিলা করতে এই সেতু সহায়তা দিবে।

সংসদ নেতা বলেন, কিচ্ছুতা সাধনের জন্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমানো যায়। একইভাবে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নির্ভরতা কমানো হচ্ছে।

 

এসএম/

Header Ad
Header Ad

২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ৬টি ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আগামী রবিবার থেকে এসব ব্যাংকগুলোতে টাকা পেতে শুরু করবে গ্রাহকরা। তবে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না তুলতে গ্রাহকদের অনুরোধ করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্যেই এটি দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, ব্যাংক খাতে অস্থিরতা দূর করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, গ্রাহকদের আমানত নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, এ নিয়ে মাথা ব্যথা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

এ সময় আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খারাপ হচ্ছে না বরং আগে থেকেই খারাপ ছিল। এখন সে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একদিকে তারল্য দেবো, অন্যদিকে পুরানো টাকা আস্তে আস্তে বাজার থেকে সরিয়ে নেবো। এতে দেশের মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বলেছিলেন, নতুন করে আর টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে না।

Header Ad
Header Ad

বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্টের এজলাসে ডিম ছুড়ে বিচারককে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্টের এজলাসে ডিম ছুড়ে বিচারককে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত আইনজীবীদের বার কাউন্সিল সনদ বাতিল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

এদিকে ডিম মেরে বিচারপতিকে এজলাস থেকে নামানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। একইসঙ্গে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

এর আগে গতকাল বুধবার এজলাস কক্ষে বিচারপতির দিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলাকালে একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এখনও ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।’

একপর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্য থেকে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারা হয়।

র‍্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশর‍্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
তবে ছুড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এরপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

Header Ad
Header Ad

নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত

ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: সংগৃহীত

গেল কয়েক মাস ধরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বলিপাড়া। নিত্যদিনই কোন না কোন ঘটনা সামনে আসছে। যদিও এত গুঞ্জন রটলেও, অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে পারদ দিল এক ভিডিও। যা দেখে নিন্দুকরা নিশ্চিত, অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স হচ্ছেই!

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

দুবাই উইমেন ইস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পিছনে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে শুধুমাত্র ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটি।

বরাবরই অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটাকে না দেখে, আবার উঠছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ।

এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রোল করেছিল, তারা আজ কোণায় বসে কাঁদছে’। অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা ঐশ্বরিয়া নিজেই।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি এখনও ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়েরও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে’!

উক্ত অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একটি সিলভার কাজ করা নীল গাউনে দেখা গেছে। তার গ্ল্যমারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল স্মোকি আই। খোলা চুলে সফট কার্লে মোহনীয় লাগছিল এই অভিনেত্রীকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার