অফিস খুললেও কর্ম ব্যস্ততা নেই সচিবালয়ে
টানা ছয় দিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার (৫ মে) অফিস খুলেছে। তবে অফিসগুলোতে এখনো ছুটির আমেজ বিরাজ করছে।
প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে সকালে বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, অল্প কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের কারো মধ্যেই সেরকম কর্মব্যস্ততা লক্ষ করা যায়নি। অফিসে এসে সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে সময় পার করতে দেখা যায়।
কর্মব্যস্ত সচিবালয়ে অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি খুব সামান্য। মন্ত্রণালয়ের করিডরগুলো ছিল ফাঁকা, সুনসান নীরবতা।
তবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত হয়ে তাদের রুটিন কাজ শুরু করেছেন। সকাল ১১টায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নিজ দপ্তরে অফিস করতে উপস্থিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বেশিরভাগ কর্মকর্তারা অনুপস্থিত। যারা অফিসে এসেছেন তারাও আড্ডা, খোশগল্প আর টেলিভিশনে নাটক দেখায় ব্যস্ত।
সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম অফিস করছেন। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ নিজ নির্বচনী এলাকা নোয়াখালীতে গিয়েছেন। তিনি আগামী রবিবার অফিস করবেন বলে আশা করছেন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাদের অনেকেই নেই। মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম রয়েছেন নিজের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লায়। আগামী রবিবার মন্ত্রণালয়ে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো.লাল মিয়া।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোশেন জানিয়েছেন, আগামী দুই সাপ্তাহিক ছুটি থাকয় অনেকেই আজ বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। আগামী রবিবার থেকে তারা অফিস করবেন।
তিনি জানান, যারা ছুটিতে যাননি, ঢাকায় আছেন তারাই আজ অফিস করছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি হবে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আমেজ কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। বেশিরভাগ কর্মকর্তা কর্মচারীরাই ছুটি নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন।
এরকম কয়েকটি দপ্তর খোলা থাকলেও দর্শনার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণা ছিল খুব কম। ঈদের পর বৃহস্পতিবার এক দিন মাত্র অফিস থাকায় অনেকে অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে আরও দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি যোগ করে ঈদ উৎসব উপভোগ করছেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যারা অফিসে উপস্থিত হয়েছেন তাদের বক্তব্য মূলত আগামী রোববার থেকেই অফিস পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির আগে আজকে বৃহস্পতিবার প্রথম অফিস তাই অধিকাংশই বাড়তি ছুটি নিয়েছেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণত তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে। তবে এবার ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শেষ অফিস হওয়ার পর ২৯, ৩০ সপ্তাহিক ছুটি ও ১ মে মহান মে দিবসের ছুটি যে কারণে ২৮ এপ্রিলের পর থেকেই শুরু হয় ছুটি। ৩ মে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয় তাই ৪ মে পর্যন্ত ছুটি ছিল।
এসএম/এসএন