ঈদের দিনে বৃষ্টি
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর ঈদে উৎসবের মেতেছে মুসলিম সম্প্রদায়। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিড়ম্বনার বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বয়ে যাচ্ছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি হচ্ছে।
রাজধানীতে সকালের ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় জামাতে সমস্যা না হলেও পরে বেকায়দায় পড়েছেন মুসল্লিরা। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ বৃষ্টি আজ সারাদিন থেমে থেমে চলবে। কখনো হালকা, আবার কখনো ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমা এবং বাংলাদেশ এলাকার অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
রাজধাসীতে সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তবে ৯টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এর পর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। বিড়ম্বনায় পড়েন ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা মানুষ। যদিও কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টি স্বস্তির হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নামাজ আদায় করে ফেরার পথে মুসল্লিরা খানিকটা কোয়দায় পড়েন।
যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবারই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে যেকোনো সময় বৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঈদের দিন সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকায় সকালের দিকে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, আর বিকালে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
প্রকৃতি শীতল থাকায় স্বস্তি নিয়ে মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেছেন। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে নামাজের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। বৃষ্টির কারণে নামাজ ফেরত মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েন। রাজধানীর মিরপুরে ঈদের নামাজ শেষে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জেও ঈদগাহ ময়দানে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এরপরই আকাশ কালো হয়ে আসে। শুরু হয় বৃষ্টি। অন্ধকার নেমে আসে।
এদিকে পাবনায় অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে ঈদের জামাত ছিল সকাল ৮টায়। সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ঈদ জামাতের প্রথম রাকাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি শুরু হয়। দ্বিতীয় রাকাত নামাজ শেষ হওয়ার পর তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। খুতবা তড়িঘড়ি শেষ করার মাধ্যমে নামাজ শেষ হয়। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে।
যশোরের বেশিরভাগ জায়গায় বৃষ্টির মধ্যে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টায় দিকে যশোর শহরের প্রধান ঈদগাসহ এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাতের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
যশোর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ এ শহরের বেশ কিছু এলাকার মুসল্লিরা জানান, যশোরের অধিকাংশ জায়গায় আজ ঈদের জামাতের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে যার কারণে মুসল্লিরা বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করেছেন।
মুসল্লিরা বলেন, ঝড় বৃষ্টির মধ্যে ঈদের আনন্দটা সমানভাবে ভাগাভাগি করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম বলেন, যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতের মধ্যে মুসল্লিরা বৃষ্টিতে ভিজে যান। এরপর যে যার মতো করে তাদের গন্তব্যে চলে যান।
চাপাইনবাবগঞ্জে ভোর থেকে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এসএন